বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
কুবিতে শিক্ষক সমিতির একাংশের পাল্টা নির্বাচন কমিশন গঠন
ফাইল ছবি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ ২০২১ এর নির্বাচন কমিশন গঠন হওয়ার তিন দিন পর স্বেচ্ছাচারিতা ও গঠনতন্ত্র ভঙ্গের অভিযোগ তুলে পাল্টা নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে শিক্ষক সমিতির একাংশ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পৃথক দুইটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা ৩ সদস্যের এ কমিশন গঠন করেন। তবে এভাবে নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে তারা গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষক সমিতির বর্তমান সভাপতি রশিদুল ইসলাম শেখসহ কমিটির ১৫ জনের আট জন।
তাদের অভিযোগ, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হয়। তারা গঠনতন্ত্র না মেনে ও সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতে গঠিত নির্বাচন কমিশনকে উপেক্ষা করেন। একই দিনে নির্বাচন করতে অবৈধভাবে আলাদা নির্বাচন কমিশনও গঠন করেন।
জানা যায়, গত ৩০ ডিসেম্বর শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে ১৩ ডিসেম্বর নির্বাচন করার জন্য রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. রায়হান উদ্দিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নকীবুন নবী এবং ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সিদ্দিকুর রহমানকে নির্বাচন কমিশনার করে কমিশন গঠন করা হয়। সেই নির্বাচন কমিশন গত ২ ডিসেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
এরপর ৩ ডিসেম্বর সমিতির একাংশ গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আইনুল হককে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ফার্মেসী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: এনামুল হক এবং রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. জুলহাস উদ্দিনকে নির্বাচন কমিশনার করে পাল্টা একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করে। শিক্ষক সমিতির একাংশের গঠিত এ নির্বাচন কমিশনও ১৩ ডিসেম্বর একই স্থানে নির্বাচন করার ঘোষণা দেন।
শিক্ষক সমিতির একাংশের নেতৃত্ব দেওয়া বর্তমান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. স্বপন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আমরা ফেডারেশনের সভার জন্য অপেক্ষা করেছি এজন্য আমরা দেরি করেছি। উনারা মাত্র ১ ঘণ্টার ব্যবধানে সভা ডেকেছেন এটা গঠনতন্ত্র পরিপন্থী।
নির্ধারিত সময়ের পর নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে করোনাকালীন সংকটে ফেডারেশনের ১ তারিখের সভার সিদ্ধান্তের জন্যই আমাদেরকে এটা উপেক্ষা করতে হয়েছে।
তবে শিক্ষক সমিতির সভাপতি রশিদুল ইসলাম শেখ বলেন, ‘শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্রের ১০ এ খ ধারা অনুযায়ী ১৫ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হলেও নিয়মতান্ত্রিকভাবে ৩০ নভেম্বর গঠন হওয়া কমিশনকে উপেক্ষা করে তারা অবৈধভাবে আরেকটি কমিশন গঠন করে। এছাড়া গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভা আহ্বানের ক্ষেত্রে সভাপতির পরামর্শ নিতে হয়। তাও তারা নেয়নি। এছাড়া আমি ক্যাম্পাসে থাকার পরও আমার স্বাক্ষরকে তারা জালিয়াতি করেছে। এটা অপরাধ। বিজ্ঞপ্তির প্যাডটিরও অনুমোদন নেই। নির্বাচনকে সামনে রেখে হাতেগোনা কয়েকজনের একটি মহল বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।
এক ঘণ্টার ব্যবধানে সভা ডাকা যায় কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘৩০ তারিখের কার্যনির্বাহী সভার বিষয়ে আগের দিনের সভায়ই বলা হয়েছে যে, সাধারণ সভা শেষে ৩০ তারিখের মধ্যেই কমিশন গঠন করতে হবে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ঐদিনই কমিশন গঠনের শেষদিন ছিল।
এদিকে শিক্ষক সমিতির পাল্টাপাল্টি নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়টি শিক্ষকদের জন্য বিব্রতকর বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন কয়েকজন শিক্ষক। একই দিনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে কে কোথায় ভোট দিবে এ নিয়েও বিস্মিত তারা। এছাড়া একই স্থানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতির শঙ্কায় করছেন সংশ্লিষ্টরা।
উদ্ভূত পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, এমন পরিস্থিতি কোনভাবেই কাম্য নয়। তাদের দুই পক্ষেরই উচিৎ সাধারণ সভা ডেকে সকল শিক্ষকের মতামতের ভিত্তিতে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া। এটা সকলের জন্য শুভকর হবে।
আইনিউজ/খালেদুল হক
- মাস্টার্স পরীক্ষার ফলাফল ২০২৩
- এসএসসি বোর্ড চ্যালেঞ্জ এর রেজাল্ট ২০২৩
- এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩ | এসএসসি ফলাফল
- অনার্স ১ম বর্ষ পরীক্ষা রুটিন ২০২৩
- এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩ কবে হবে
- চবি ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩
- ‘বাঁচতে চাইলে পরীক্ষায় এ্যাটেন্ড কর’, ছাত্রীকে শাবি শিক্ষক
- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩
- কেন পড়ব সমাজকর্ম?
- মধ্যরাতে শাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ