Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শুক্রবার   ১১ জুলাই ২০২৫,   আষাঢ় ২৭ ১৪৩২

প্রকাশিত: ১১:১২, ২৮ মে ২০১৯
আপডেট: ১১:৫৫, ২৮ মে ২০১৯

শশুরবাড়িতে শিকলে বেঁধে জামাইকে নির্যাতন

চুয়াডাঙ্গা: স্ত্রী সন্তানের ঈদের কাপড় দিতে গিয়ে শশুর বাড়িতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এক ব্যক্তি। গত রবিবার (২৬ মে)  চুয়াডাঙার জীবননগর উপজেলায় এ ঘটনাটি ঘটে। জানা যায়, নির্যাতনের শিকার ওই ব্যক্তির নাম সোহরাব হোসেন (৩০)। তিনি পার্শ্ববর্তী ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার শ্যামকুড় গ্রামের আবদুল হামিদের ছেলে।রবিবার সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রী সন্তানদের ঈদের কাপড় দিতে গেলে নির্যাতনের শিকার হন তিনি। সোহরাব হোসেনকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে তার স্ত্রী, শাশুড়ি ও মামাশ্বশুরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আজ মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
  সোহরাব জানান, কয়েক দিন আগে মুঠোফোনে ব্যালেন্স দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্ত্রী নীলার সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। নীলা ওই সময় হাতে আঘাত পেলে রাগ করে বাবার বাড়ি চলে আসেন। রবিবার সন্ধ্যায় স্ত্রী ও সন্তানকে ঈদের জামাকাপড় দিতে জীবননগরে শ্বশুরবাড়িতে যান সোহরাব। তখন মামাশ্বশুর মসলেম উদ্দিন অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকেন তাকে। একপর্যায়ে বাড়ির বাইরে বাঁশের মাচার সঙ্গে সোহরাবকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখেন তিনি। সারা রাত তাঁকে বাঁশের মাচায় বাঁধা অবস্হায়ই রাখা হয়। ওই সময় স্ত্রী ও শাশুড়ির প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় মামাশ্বশুর তাঁকে মারপিটও করেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে জীবননগর থানার পুলিশ গতকাল রাতে তাঁকে উদ্ধার করে।’ অভিযুক্ত মামাশ্বশুর মসলেম উদ্দিন জীবননগর থানায় সাংবাদিকদের জানান, ভাগনিকে মারপিট করার ঘটনায় রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় ভাগনিজামাই সোহরাবকে বকাঝকা করা হয়। তিনি যাতে আত্মগোপনে থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নামে মিথ্যা গুমের মামলা দিতে না পারেন, সে জন্য তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। উদ্দেশ্য ছিল তাঁকে (সোহরাবের) বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হবে। কিন্তু তার আগেই পুলিশ চলে আসে এবং তাঁদের গ্রেপ্তার করে থানায় নেয়। জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গনি মিয়া জানান, সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে শিকলবন্দী জামাই সোহরাব হোসেনের ছবি প্রকাশের পরপরই তাঁকে উদ্ধার করা হয়। সেই সাথে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আটক করে থানায় নেওয়া হয়। এইচএ/ ইএন 
Green Tea
সর্বশেষ