নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
আপডেট: ১৯:২৩, ২৪ এপ্রিল ২০২২
‘আমার হাতে বেত ছিলো কিন্তু বেতের বাড়ি তাঁর হাতে লেগেছে এমন প্রমাণ নেই’
মেয়র আরিফুল হকের দাবি, ‘আমার হাতে বেত ছিল, ওই ছেলেও হাত পেতে আছে। কিন্তু বেতের বাড়ি তার হাতে লেগেছে ছবিতে এমন কোনো প্রমাণ তো নেই। এটা এক ধরনের সস্তা অপপ্রচার। এটা কেবল বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা করা। সিসিটিভি ফুটেজ দেখেন।’
এক ভ্যানচালককে বেত দিয়ে মারার অভিযোগে সমালোচনার মুখে পড়েছেন সিলেটে সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। মারার কথা অস্বীকার করলেও মেয়র জানিয়েছেন তার হাতে সব সময়ই লাঠি থাকে।
‘বেত্রাঘাতের’ ঘটনায় সমালোচনার জবাবে সিলেট সার্কিট হাউসে সিসিক মেয়র সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘লাঠি হাতে রাখা সুন্নত, আমার হাতে সব সময়ই লাঠি থাকে।’
মেয়রের বিরুদ্ধে ভ্যানচালককে মারার অভিযাযোগ ওঠে শনিবার। প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্র ইউনিয়নের সিলেট জেলা সংসদের সাবেক সভাপতি সপ্ত দাসের অভিযোগ, চৌহাট্টার দিকে গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন মেয়র আরিফ। এ সময় সড়কের ওপর একটি ভ্যান দাঁড় করিয়ে রাখা দেখতে পান তিনি। তখন মেয়র গাড়ি থামিয়ে ওই ভ্যানচালককে ডেকে নিয়ে তার হাতে থাকা বেত দিয়ে আঘাত করেন।
রুবেল আহমদ নামে ওই ভ্যানচালকও অভিযোগ করেছেন, মেয়র তার হাতে বেত দিয়ে বাড়ি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সড়কে ভ্যান রেখে আমি পাশের দোকানে সিগারেট দিতে গিয়েছিলাম। মেয়রকে দেখে দৌড়ে ভ্যান সরাতে আসি। কিন্তু তার আগেই মেয়র লাঠি দিয়ে আমার হাতে বাড়ি দেন।’
ভ্যানচালককে মেয়রের বেত্রাঘাতের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা নিয়ে চলছে তীব্র সমালোচনা।
তবে ছড়িয়ে পড়া ছবি সম্পর্কে মেয়র আরিফুল হক বলেন, ‘আমার হাতে বেত ছিল, ওই ছেলেও হাত পেতে আছে। কিন্তু বেতের বাড়ি তার হাতে লেগেছে ছবিতে এমন কোনো প্রমাণ তো নেই।’
তার দাবি, ‘এটা এক ধরনের সস্তা অপপ্রচার। এটা কেবল বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা করা। সিসিটিভি ফুটেজ দেখার কথাও বলেন সিসিক মেয়র।’
হাতে সব সময়ই লাঠি থাকে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বেত উঁচিয়ে আমি তাকে ধমকের সুরে ভ্যান সরাতে বলেছি। এটা সত্য। ধমক তো আমি সবাইকেই দিই। এখন এটাকেই ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে আমি বেত্রাঘাত করেছি।’
বেত্রাঘাতের কথা মেয়র অস্বীকার করলেও তার বিরুদ্ধে আগেও বিভিন্ন সময় এমন অভিযোগ উঠেছে।
ভ্যানের সামনে থাকা গাড়িচালককে কিছু না বলার অভিযোগ প্রসঙ্গ টেনে সিটি মেয়র বলেন, ‘সামনে ছিল স্পেশাল পিপির গাড়ি। আমি ধমক দেয়ার পর তিনি গাড়ি নিয়ে চলে যান। একজন সিনিয়র আইনজীবী হওয়ায় তাকে আর কিছু বলিনি।’
এদিকে মেয়র আরিফের এমন কর্মকান্ডে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সরব হয়েছে তাঁর সমালোচনায়।
সোশ্যাল মিডিয়া সরগরম মেয়র আরিফের নিন্দায়
লেখক আলমগীর শাহরিয়ার এ নিয়ে ফেসবুকে লেখেন, সামন্তপ্রভু বা অত্যাচারী জমিদারদের যুগ নয়। উল্টো জনপ্রতিনিধিরা এখন সেবাদাস। জনগনের পয়সায় কেনা গাড়িতে সিলেটের মেয়র আরিফকে বেত নিয়ে ঘুরতে এবং মানুষকে বেত্রাঘাত করা ও শাসানোর অধিকার তাঁকে কে দিয়েছে?
সিলেটের সিনিয়র সাংবাদিক গুলজার আহমেদ মেয়র আরিফকে উদ্দেশ্য করে ফেসবুকে পোস্ট দেন, এটা অনুচিত..... সমানুপাতিক হারে আইন প্রয়োগে ব্যর্থ আপনি। প্রতিকী হলেও মানতে নারাজ আমি।
সাংবাদিক একুশ তাপাদার লিখেছেন, ‘কারও গায়ে হাত তোলার অধিকার তাকে কে দিল? দেশে কি আইন নাই! এটা কি বর্বর যুগ?’
সাংবাদিক রিপন দে লিখেন, 'মেয়র আরিফ জঘন্য কাজ করেছেন। একজন গরীব দোকানিকে রাস্তায় বেত দিয়ে মারার ক্ষমতা আপনার নাই। আপনি প্রমাণ করেছেন ক্ষমতা মানুষকে বেহুশ করে, এটা ঔদ্ধত্য আচরণ। আপনার ক্ষমা চাওয়া উচিত।'
সাংবাদিক ও কলামিস্ট আ ফ ম সাঈদ লিখেছেন, ‘মেয়র আরিফের এহেন কাজ জঘন্য ও অসভ্যতামূলক। তীব্র নিন্দা জানাই।’
আহমেদ শিপলু নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘বডি টাচ সমর্থনযোগ্য নয়। এখানে পাজেরো গাড়ি পার্ক করলে, সেই গাড়ির চালক বা যাত্রীকে নামিয়ে এ রকম মারতে পারতেন?’
আইনিউজ/এসডি
আইনিউজ ভিডিও
বৃদ্ধ বয়সে নামাজ পড়তাম, ঘরে বসে খাইতাম, কে খাওয়াবে! | বৃদ্ধের কষ্ট
বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় দৌড়ে অন্ধ শিক্ষার্থীদের ক্ষিপ্রগতি দেখে সবাই মুগ্ধ
শবে বরাত ভাগ্যরজনীর রাত, যে রাতে আল্লাহ মানুষের রিযেক-ধনদৌলত-আয়ু দান করেন
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’
- করোনা জয় করে সুস্থ হয়েছেন মৌলভীবাজারের ৩ চিকিৎসক