সিলেট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১২:২১, ৬ জুলাই ২০২০
করোনায় সিলেটের পর্যটন খাতে দৈনিক ৩ কোটি টাকার ক্ষতি
করোনাভাইরাসের কারণে জনজীবন অনেকটাই বিপর্যস্ত। ভাইরাসটির প্রভাবে পড়েছে সিলেটের পর্যটন খাতে।
পর্যটন নগরী হিসেবে পরিচিত সিলেটে গত এক দশকে পর্যটক সমাগম বেড়েছে। ছুটির দিনগুলোয় কোনো হোটেল-মোটেলের কক্ষ খালি পাওয়া যেত না। কিন্তু এবছরের চিত্র অনেকটাই আলাদা।
বর্তমানে সাধারণ ছুটি শেষে ব্যবসা-বাণিজ্য অনেকটাই সচল। কিন্তু এখনও থেমে আছে পর্যটন খাতগুলো। হোটেল-মোটেল বন্ধ, পর্যটনকেন্দ্রগুলো ফাঁকা, নেই পর্যটকদের আনাগোনা।
এই অবস্থা ঠিক কতদিন পর্যন্ত চলবে তা কেউ বলতে পারছেন না। ফলে ঘোর অন্ধকার দেখছেন উদ্যোক্তারা। এমনকি উদ্যোক্তাদের মতো বিপাকে পড়েছেন পর্যটন খাতের কর্মীরাও।
সিলেটের বিভিন্ন হোটেলে কাজ করা কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মার্চ থেকেই ছুটিতে রয়েছেন তারা। মার্চের বেতন পেলেও এপ্রিল থেকে বেতন পাচ্ছেন না। সিলেটের পর্যটন খাতের ৯০ শতাংশ কর্মীই এভাবে এপ্রিল থেকে বেতনহীন অবস্থায় রয়েছেন।
এদিকে হোটেল-মোটেল মালিকরা বলছেন, প্রতিদিন কেবল সিলেটের হোটেল-মোটেল খাতে প্রায় ৩ কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে।
এই ব্যাপারে সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব বলেন, সিলেটে তেমন ভারী শিল্প-কারখানা নেই। ট্রেডিং, পর্যটন আর আমদানি-রফতানিই এখানকার প্রধান ব্যবসা। এ তিন খাতের ব্যবসায়ীরাই এখন করোনার কারণে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। এর মধ্যে পর্যটন খাতের উদ্যোক্তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। দ্রুত তাদের ব্যবসা সচল হওয়ারও কোনো আশা নেই।
সিলেটের পর্যটন খাতের উন্নয়নে পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন হাসান মোরশেদ। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও পর্যটন সেক্টরের সংকট কেটে যাবে না। কারণ মানুষের আয় কমবে। ফলে খরচ কমাবে। আগের মতো পর্যটকরা আসবেন না। এতে একেবারে শূন্য থেকে শুরু করতে হবে পর্যটন খাতের উদ্যোক্তাদের।
নগরীর জিন্দাবাজার এলাকার হোটেল গোল্ডেন সিটির ব্যবস্থাপক মিষ্টু দত্ত বলেন, মার্চের মাঝামাঝি আমাদের হোটেলে কিছু গেস্ট ছিলেন। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত পুরো ফাঁকা। অথচ কর্মীদের বেতন ও ইউটিলিটি বিল দিতে হচ্ছে।
গোয়াইনঘাটের হাদারপাড় এলাকার ইঞ্জিন নৌকার চালক সমুজ মিয়া বলেন, জীবনে কখনো এ রকম বেকার হইনি। বিছনাকান্দিতে পর্যটকদের আনোগোনা সবসময় লেগেই থাকে। ফলে আয় ভালোই হচ্ছিল। কিন্তু তিন মাস ধরে এখানে কোনো পর্যটক আসেননি। মানুষের সাহায্য-সহায়তা নিয়ে চলতে হচ্ছে।
সিলেট হোটেল, মোটেল ও গেস্ট হাউজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমাত নুরী জুয়েল বলেন, তিন মাস ধরে হোটেল-মোটেলে ব্যবসা নেই। এ অবস্থা চলতে থাকলে অনেকেই ব্যবসা গুটিয়ে নেবে। সিলেটে পর্যটন খাতে প্রতি মাসে প্রায় ১০০ কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে। কবে যে এ খাত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারবে তাও আমরা জানি না।
আইনিউজ/এসডিপি
আরও পড়ুন
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’
- করোনা জয় করে সুস্থ হয়েছেন মৌলভীবাজারের ৩ চিকিৎসক
সর্বশেষ
জনপ্রিয়