নিজস্ব প্রতিবেদক
কুয়েতে পাপুলের সাজা প্রায় নিশ্চিত
ফাইল ছবি
কুয়েতের আদালতে বাংলাদেশের সাংসদ শহিদ ইসলাম পাপুলের সাজা প্রায় নিশ্চিত। কুয়েত সম্প্রতি মানব পাচার ও মূদ্রা পাচারের সঙ্গে যুক্তদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। দেশটির দুজন সাংসদ ও উচ্চপদস্থ একজন সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ থাকার পরও রক্ষা পাননি লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সাংসদ পাপুল। আগামী ২৮ জানুয়ারি মামলার মামলার রায় হওয়ার কথা রয়েছে।
কুয়েতের আদালত এরই মধ্যে পুলিশের সাবেক ও বর্তমান প্রধানেকে মামলার সাক্ষ্য দিতে ডাকা হয়।
সম্প্রতি আদালতে তার মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। রায়ে তার খালাস পাওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করছেন কুয়েতের একটি ফৌজদারি আইনি পরামর্শক সংস্থার দুই আইনজীবী।
ওই দুই আইনজীবী জানান, কুয়েতের মানব পাচারবিরোধী আইন অনুযায়ী, অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ১৫ বছর শাস্তির বিধান রয়েছে। তবে নারী–শিশুকে পাচারের পর যৌনকর্মে জড়িত হতে বাধ্য করা হলে সে ক্ষেত্রে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। পাপুলের বিরুদ্ধে অবশ্য ভুয়া ভিসায় শ্রমিক পাচার ও নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিকে গালফ নিউজের গত বুধবারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানব পাচারের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সম্প্রতি কুয়েতের একটি আপিল আদালত দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্নেল এবং মিসরের তিন নাগরিককে তিন বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। আর কুয়েতের আইন অনুযায়ী অবৈধ মুদ্রা পাচারের অভিযোগ প্রমাণিত হলে ৫০ হাজার কুয়েতি দিনার থেকে ১০ লাখ কুয়েতি দিনার (এক দিনারে ২৭৫ টাকা ৫০ পয়সা) জরিমানার বিধান রয়েছে। একই অপরাধে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
কুয়েতের সূত্রে জানা গেছে, সাংসদ শহিদের বিরুদ্ধে করা মামলায় আদালতে শুনানিতে যেসব সাক্ষ্যপ্রমাণ হাজির করা হয়েছে তাতে তার সাজা হওয়ার বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত। এ মামলায় অভিযুক্ত কুয়েতের দুই সাংসদ সাদাউন হামাদ ও সালাহ খুরশিদকে আগেই জামিন দিয়েছেন আদালত। তারা দুজনই পাপুলের কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছিলেন, এমন তথ্য কুয়েতের গণমাধ্যমে এসেছে।
আর গত বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার দিন আরেক আসামি মেজর জেনারেল মাজেন জারাহর জামিন দিয়েছেন আদালত। মামলার শুনানিতে হাজির হয়ে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাবেক এক শীর্ষ কর্মকর্তা জেনারেল জারাহর পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। এসব ঘটনাপ্রবাহ ইঙ্গিত দিচ্ছে ঘুষ দিয়ে অনৈতিকভাবে ব্যবসা পরিচালনা ও ভিসা–বাণিজ্যের অভিযোগ থেকে সাংসদ কিছুটা ছাড় পেলেও মানব ও মুদ্রা পাচারের দায় থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না বাংলাদেশের সাংসদ।
এদিকে, মানব পাচারের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সম্প্রতি কুয়েতের একটি আপিল আদালত দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্নেল এবং মিসরের তিন নাগরিককে কারাদণ্ড দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৬ জুন রাতে কুয়েত সিটির বাসা থেকে দেশটির গোয়েন্দারা সাংসদ পাপুলকে গ্রেপ্তার করেন। পরে তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে তল্লাশি চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও প্রমাণ সংগ্রহ করে কুয়েতের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গত ১৭ সেপ্টেম্বর মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপর থেকে রায়ের তারিখ ঘোষণা (গত বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত সাত দফায় শুনানি হয়।
আদালতে কুয়েতের সরকারি কৌঁসুলির প্রশ্নের জবাবে সাংসদ শহিদ তাঁর বিরুদ্ধে আনা মানব ও অবৈধ মুদ্রা পাচারের পাশাপাশি ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। কুয়েতের দুই সাংসদ সাদাউন হামাদ ও সালাহ খুরশিদ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরখাস্ত হওয়া সহকারী আন্ডারসেক্রেটারি মেজর জেনারেল শেখ মাজন আল-জারাহকে তিনি চেনেন না বলেও দাবি করেন।
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ন্যূনতম দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়াসহ কিছু কারণে সংসদ সদস্য পদ বাতিলের বিধান রয়েছে।
- কাল থেকে যেসব শাখায় পাওয়া যাবে নতুন টাকার নোট
- 'জাতীয় মুক্তি মঞ্চ' গঠনের ঘোষণা
- এক বছরেই শক্তি, ক্ষিপ্রতা জৌলুস হারিয়ে 'হীরা' এখন বৃদ্ধ মৃত্যুপথযাত্রী
- ওয়াহিদ সরদার: গাছ বাঁচাতে লড়ে যাওয়া এক সৈনিক
- এবার ভাইরাস বিরোধী মাস্ক বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলো বাংলাদেশ
- ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের ইতিকথা (প্রথম পর্ব)
- মায়েরখাবারের জন্য ভিক্ষা করছে শিশু
- ২৫ কেজি স্বর্ণ বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ
- তালিকা হবে রাজাকারদের