আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আপডেট: ১৪:৫৩, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০
কৃষি বিল নিয়ে উত্তাল রাজ্যসভা, বরখাস্ত ৮ সাংসদ
কৃষি বিল নিয়ে রোববার উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্যসভা। রাজ্যসভায় অশোভন আচরণের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং দোলা সেন সহ ৮ সাংসদকে সাসপেন্ড করলেন চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু।
টাইমস অব ইন্ডিয়া, আনন্দবাজার জানায়, বরখাস্ত অন্যান্য সাংসদরা হলেন, আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিং, কংগ্রেসের রাজীব সতাভ, সিপিআইএমের কেকে রাগেশ, কংগ্রেসের সৈয়দ নাসির হুসেন, কংগ্রেসের রিপুন বোরা ও সিপিআইএমের এলামারাম করিম।
রোববার বিরোধী দলগুলোর প্রবল আপত্তির মুখে পাস হয় কৃষি বিল। বিরোধী সাংসদরা রাজ্যসভার ওয়েলে নেমে প্রতিবাদ করতে থাকেন। তখন সভা পরিচালনা করছিলেন ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংহ। তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ডেপুটি চেয়ারম্যানের কাছে গিয়ে কিছু নথিপত্র ছেঁড়ার চেষ্টা করতে থাকেন। যেটিকে কেউ বিলের প্রতিলিপি, আবা কেউ রাজ্যসভার রুল বুক বলছেন। এরপরই স্থগিত হয়ে যায় রাজ্যসভার অধিবেশন।
বিরোধী সাংসদদের এমন আচরণ সোমবার অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদরা। তারই প্রেক্ষিতে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু বিরোধী সাংসদদের আচরণের তীব্র নিন্দা করে আটজনকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেন।
এ দিন ডেপুটি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনা বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবটি খারিজ করার পাশাপাশিই বেঙ্কাইয়া নাইডু বলেন, ‘ওই সাংসদরা সামগ্রিকভাবে সভার অসম্মান করেছেন। ডেপুটি চেয়ারম্যানকে লক্ষ্য করে কটু মন্তব্য করেছেন। তাই সংসদের অধিবেশনের বাকি সময়ের জন্য তাদের সাসপেন্ড করা হচ্ছে।’
ওই শাস্তির প্রেক্ষিতে তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রতিনিধি সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ‘রাজ্যসভা পরিচালনার ১২৫ নম্বর ধারায় স্পষ্ট বলা রয়েছে, কোনও সদস্য কোনও বিল নিয়ে আপত্তি তুললে সেটিকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠাতে হবে। যদি না আগেই সংশ্লিষ্ট বিলটি সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো হয়ে থাকে। রবিবার রাজ্যসভায় যা হয়েছে, তা এই ধারার স্পষ্ট উল্লঙ্ঘন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভোট না নিয়ে ধ্বনিভোটে বিলটি পাস করিয়ে সেটিকে আইনে পরিণত করা হয়েছে। গণতন্ত্রের মন্দির সংসদে যা হয়েছে, তা গোটা দেশের নিন্দার যোগ্য। রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান শাসকদলের মর্জি মতো কাজ করেছেন। তিনি কোনও আইনেরই তোয়াক্কা করেননি। তার আচরণ নজিরবিহীন এবং বেআইনি। যেভাবে আট সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, তা হল ভবিষ্যতে কণ্ঠরোধ করার প্রয়াস।’
কৃষি বিল নিয়ে ক্ষমতাসীন বিজেপির ভাষ্য, কৃষি সংস্কার সংক্রান্ত এসব বিলে ভারতের কৃষকদের বৃহৎ ক্রেতাদের কাছে সহজে পণ্য বিক্রির সুবিধা করে দেওয়া হয়েছে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘নতুন এ বিলগুলো আইনে পরিণত হলে সেগুলো মান্ধাতার আমলের আইনের সংস্কারের পাশাপাশি কৃষিপণ্যের ব্যবসা থেকে দালাল ও ফড়িয়াদের উৎখাত করবে। কৃষকদের সুযোগ করে দেবে ওয়ালমার্টের মতো খুচরা বিক্রেতা এবং প্রাতিষ্ঠানিক ক্রেতাদের কাছে পণ্য বিক্রি করার।’
তবে বিরোধীরা বলছে, বিজেপির আনা সংস্কার বিলগুলোতে কৃষকদের দর-কষাকষির সুযোগ সীমিত করে দেওয়া হয়েছে, যে কারণে খুচরা বিক্রেতারা এখন কৃষকদের উপর বেশি মাতবরি করার সুযোগ পাবে।
আইনিউজ/এসডিপি
- আইয়ুব খানের পদত্যাগের দিন আজ
- ভারতের স্বাধীনতা দিবস শনিবার
- মাঙ্কিপক্স ঠেকাতে পুরুষদের সেক্স পার্টনার কমানোর পরামর্শ
- সুখবর! অক্সফোর্ডের তৃতীয় ট্রায়ালও সফল, ভ্যাকসিন আসছে জুলাইতেই
- টাই পরা বাদ দিয়ে জ্বালানি সাশ্রয় করতে চান স্পেনের প্রধানমন্ত্রী
- যুদ্ধবন্দী কারাগারে বোমা হামলা, পরস্পরকে দোষছে রাশিয়া-ইউক্রেন
- চীনা ভূখণ্ডে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রবেশ
- টাইমস স্কোয়ারে ‘ট্রাম্প ডেথ ক্লক’
- পঙ্গপাল না মেরে বিক্রি করে আয় করছেন কৃষকরা!
- আবারও মক্কায় কালো পাথর স্পর্শ-চুম্বনের সুযোগ পাচ্ছেন মুসল্লিরা