নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের অবৈধ টাকায় কানাডায় সাহেবদের ‘বেগম পাড়া’!
সংগৃহীত
কথিত আছে বেগম পাড়ার বউরা আয়েশী জীবন যাপন করেন। আর তাদের কাছে অবৈধ উপার্জনের টাকা পাঠান বাংলাদেশে থাকা স্বামীরা। দেশে উপার্জনে ক্লান্তি আসলে অবসর কাটাতে কানাডায় বেগমদের কাছে যান এসব সাহেবরা। আর এ কারণেই স্থানটির নাম দেওয়া হয়েছে বেগম পাড়া।
কোটি কোটি টাকা পাচার করে কানাডার বেগম পাড়ায় অনেক বাংলাদেশির স্থায়ী হওয়ার ঘটনা এখন ওপেন সিক্রেট। এমনকি সরকারের অনেক আমলারও বাড়ি আছে বেগম পাড়ায়। সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন জানান, সংখ্যার দিক থেকে সেখানে অনেক সরকারি কর্মকর্তাদেরও বাড়ি আছে। সেখানে তাদের ছেলে-মেয়েরা বাস করেন। এ তথ্য আছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছেও।
দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) মোজাম্মেল হক জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা এ অভিযোগ শুনে আসছেন। তবে সেখানে কত সংখ্যক বাড়ি আছে, এর সুনির্দিষ্ট সংখ্যা তাদের কাছে নেই। তিনি জানান, সেখানে কত সংখ্যক বাড়ি আছে এর সঠিক পরিসংখ্যান কারো কাছেই নেই। এটি এখনো একটি মিথ। তবে অভিযোগের অনুসন্ধান হচ্ছে। বিষয় উদঘাটন হলে এর সঠিক সংখ্যা জানাতে পারবো।
কানাডায় এ রকম আরো অনেক বেগম পাড়া আছে বলে জানা গেছে। অভিযোগ আছে ৩৬শ’ কোটি টাকা পাচার করে পলাতক আলোচিত পিকে হালদারও বেগম পাড়ায় স্থায়ী হয়েছে। স্থানীয় বাংলাদেশিদের কাছে ‘বেগম পাড়া’ টরন্টোর একটি এলাকা।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, এই বাংলাদেশি ‘বেগম’দের আরাম-আয়েশ দেখলে মোগল বেগমরাও হিংসায় জ্বলতেন। তাদের অ্যাপার্টমেন্টগুলো বিলাসসামগ্রীতে ভরা। তাদের সন্তানেরা সে দেশের ভালো ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করে। ‘বেগম’দের একমাত্র কাজ হলো ছেলেমেয়েদের দেখাশোনা করা আর ‘আরাম’ করা।
সারা কানাডায় এ রকম অনেকগুলো ‘বেগম পাড়া’ আছে। বিদেশে তারা এই ‘সেকেন্ড হোম’ বানিয়েছেন বিনিয়োগকারী কোটায়। খরচ বেশি নয়; মাত্র দেড় লাখ কানাডীয় ডলার অর্থাৎ এক কোটি ১০ লাখ টাকা জমা দিলেই কানাডা আপনাকে নাগরিকত্ব দেবে। বেগমদেরও এই পরিমাণ টাকা দিতে হয়েছে। বিনিময়ে তারা পেয়েছেন প্রবাসে নিরাপদ ঘর।
যখন আরাম চাইবেন, যখন বিপদের দিনে দেশ থেকে পালাতে চাইবেন; তখন সব সুবিধা আর নিরাপত্তা নিয়ে এই ঘর ‘বেগম সাহেবা’সহ অপেক্ষা করবে। এটা বয়ে বেড়াতে হয় না, বয়ে বেড়াতে হয় কেবল দেড় লাখ ডলার দিয়ে কেনা নাগরিকত্বের কার্ডটা। এই কার্ডটাই তাদের মাতৃভূমির বালা-মুসিবত থেকে রক্ষা করবে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ট্যাক্স জাস্টিস নেটওয়ার্ক জানাচ্ছে, ১৯৭৬ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে এক লাখ ৯৭ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার হয়েছে। ইউএনডিপি জানাচ্ছে, ২০১৩ সাল পর্যন্ত অবৈধ পুঁজি পাচারে বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষে ছিল। এ সময়ে তারা আরো বলছে, কালোটাকাই এ দেশের অর্থনীতির ৩৫ দশমিক ২৯ শতাংশের চালক।
- ডিভি লটারি আবেদনের নিয়ম
- ইউরোপ যাওয়ার আগে যা জানা প্রয়োজন
- লন্ডনের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা তথ্য ২০২৩
- মৌলভীবাজারের জুনেদ পেলেন ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সম্মাননা
- ভুয়া বিয়ের নিমন্ত্রণে কানাডায় যাওয়ার পথে আটক ৪২ বাংলাদেশি
- বিনা খরচে জার্মানি ওয়ার্ক ভিসা ২৬ হাজার কর্মী নিচ্ছে জার্মানি
- অস্ট্রেলিয়া ওয়ার্ক ভিসা ২০২৪ আবেদন করবেন যেভাবে
- গ্রিসে নিখোঁজের দেড় মাসেও খোঁজ মিলেনি হবিগঞ্জের ওয়াহিদ আলীর
- কানাডায় সড়ক দুর্ঘটনায় মৌলভীবাজারের সৈয়দ আবু বক্করের মৃত্যু
- বাংলাদেশিরা যেভাবে গ্রিসে বৈধ হবেন