তাহিরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২১:২২, ২৪ মে ২০২০
আপডেট: ২৩:৫২, ২৪ মে ২০২০
আপডেট: ২৩:৫২, ২৪ মে ২০২০
পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে হাওরের পাকা ধান
ভারতের চেরাপুঞ্জিতে অধিক পরিমাণে বৃষ্টি হওয়ায় হঠাৎ করে সুনামগঞ্জের সীমান্ত নদী যাদুকাটা, রক্তি, বৌলাই, চলতি ও চেলা নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার তাহিরপুর উপজেলায় পাহাড়ি ঢলে পচাশোল হাওরের ২শ কিয়ার পাকা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে।
কৃষি কর্মকর্তা জানান, পানিতে তলিয়ে যাওয়া জমিগুলোতে পানি খুব বেশি দিন স্থায়ী হবে না, ধীরে ধীরে কমে যাবে।
রোববার (২৪ মে) সকাল থেকে সুনামগঞ্জ শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জানা যায়, জেলার তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের পচাশোল হাওরে আমতৈল, পুরানঘাট,শান্তিপুর,হলহলিয়া, ব্রাহ্মণগাও গ্রামের কৃষক সুজন মিয়া, জাহের মিয়া, লাল মিয়া, আব্দুল মিয়া, পুরানঘাটের জমির উদ্দিন তালুকদার, কবির হোসেন, হলহলিয়া গ্রামের ইয়াছিন, বেলাশা গ্রামের বাসিন্দারা ব্রি আর ২৯ ধান চাষ করেছিলেন। হঠাৎ করে পাহাড়ি ঢল আসায় তাদের প্রায় ২শ কিয়ার পাকা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে অনেক কৃষক পানিতে তলিয়ে যাওয়া পাকা ধান কাটছেন।
পচাশোলা হাওরের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক আশরাফুল ইসলাম আকাশ জানান, তিনি এই হাওরে ২০ কিয়ার জমিতে ব্রি আর ২৯ ধান চাষ করেছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন ঈদের পর কাটবেন। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে পাহাড়ি ঢলে সব পাকা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। এমনই অবস্থা এই হাওরের সকল কৃষকের।
সুনামগঞ্জ পাউবো সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় ভারতীয় অংশের চেরাপুঞ্জিতে ৩২৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর পূর্বে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে সুনামগঞ্জের সীমান্ত নদী যাদুকাটা, রক্তি, বৌলাই, চলতি ও চেলা নদীতে পানি বেড়েছে। এভাবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে নদীর পানি আরও বাড়তে পারে।
তাহিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান উদ দোলা জানান, আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি এই পানি থাকবে না। পাহাড়ি ঢলের পানির চাপ এখন বেশি থাকায় জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এই পানি ধীরে ধীরে কমে যাবে আর এর মধ্যে কৃষকরা এখন ধান কাটছেন। আর পানি কমে গেলেই ডুবে যাওয়া ধান কেটে ফেলবে। আশা করছি কোনও ক্ষতি হবে না।
সুনামগঞ্জ পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী সাবিবুর রহমান জানান, রোববার সকালে পানি বিপদ সীমার ৬ দশমিক ৩৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সুনামগঞ্জ শহরের পাশ বয়ে যাওয়া সুরমা নদীর ষোলঘর অংশে সাধারণ বিপদ সীমা ৬ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার। চেরাপুঞ্জিতে গত দুই দিন যেভাবে বৃষ্টি হয়েছে, এভাবে বৃষ্টিপাত হলে নদীর পানি দ্রুত বাড়তে থাকবে। আর নদীর পানি বাড়ায় হাওরে নৌ চলাচেলের সুবিধার জন্য প্রয়োজনীয় অংশের বাঁধ কেটে দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’
- করোনা জয় করে সুস্থ হয়েছেন মৌলভীবাজারের ৩ চিকিৎসক
সর্বশেষ
জনপ্রিয়