-
স্কুলের বাইরে থাকা ছেলে-মেয়েদের জন্য ইউনিসেফ জাতীয় টেকনিক্যাল ও ভোকেশনাল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় শিক্ষার বিকল্প ব্যবস্থা করে, যাতে তারা চাকরির উপযোগী হয়ে উঠতে পারে।
-
আইএলও ও ব্র্যাকের সঙ্গে যৌথভাবে স্কুলের বাইরে থাকা কিশোর-কিশোরীদের জন্য একটি অনানুষ্ঠানিক এপ্রেন্টিসশিপ প্রোগ্রাম তৈরি করেছে ইউনিসেফ।
-
বিদ্যালয়ের বাইরে থাকা কিশোর-কিশোরীদের কর্মমূখী দক্ষতা বৃদ্ধিতে ইউনিসেফ দ্বিতীয় শিক্ষা সুযোগের আওতায় একটি যুগোপযোগী শিক্ষা ও দক্ষতা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।
-
ইউনিসেফ টেকনিক্যাল ও ভোকেশনাল এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেইনিং-টিভিইটির ব্যবস্থা করছে,যাতে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে ছেলে-মেয়েদের উৎসাহিত করা হয়।
-
এডুকেশন ওয়াচ সার্ভেতে অংশগ্রহণকারী কিশোর-কিশোরীদের দুই-তৃতীয়াংশ এপ্রেন্টিসশিপের পাশাপাশি টিভিইটিতে অংশগ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।এটা শিক্ষায় অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি এবং ঝরে পড়াদের ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষা কর্মসূচিতে একটি বিকল্প শিক্ষা পদ্ধতি আসবে।
-
বয়ঃসন্ধিকালীন ছেলে-মেয়েদের ধরে রাখতে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিবেশ উন্নয়নে স্কুল ধরে ধরে পরিকল্পনা করে ইউনিসেফ।এতে ঝরে পড়া কমার পাশাপাশি মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করার হার বাড়ে।মাধ্যমিক শিক্ষায় অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি এবং তা চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যে সব প্রতিবন্ধকতা আছে সেগুলো দূর করতে কাজ করছে ইউনিসেফ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০০:৫৪, ২৬ মে ২০২০
আপডেট: ০১:১১, ২৬ মে ২০২০
আপডেট: ০১:১১, ২৬ মে ২০২০
মাঝপথে নয় হারিয়ে যাওয়া, সফলতার জন্য তৈরি হওয়া
বাংলাদেশের কিশোর-কিশোরীদের শিক্ষা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় দিকটি বিবেচনায় নিয়ে ইউনিসেফ বিভিন্ন কৌশল ও পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে উত্তোরণের হার যদিও বাংলাদেশে অনেক ভাল তবে তুলনামূলকভাবে স্বল্প সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীই শিক্ষা ব্যবস্থায় তাদের উপস্থিতি বজায় রাখতে পারে।
শিক্ষা ক্ষেত্রে নাজুক পরিস্থিতিতে থাকা কিশোর-কিশোরীদের তিন ভাগে ভাগ করা যায়:
১. বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া ও যারা কখনও বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়নি
২. বিদ্যালয়ে গেছে কিন্তু ঝরে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে
৩. লেখাপড়া শেষ করলেও চাকরির জন্য দক্ষতা তৈরি না হওয়া ।
বাংলাদেশে মাধ্যমিক পর্যায়ে ছাত্র-ছাত্রীর আনুপাতিক হার দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বনিম্ন। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ হওয়া ৯৫ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে মাত্র ৪৬ ভাগ মাধ্যমিক পর্যায়ে লেখাপড়া করে।
মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি হওয়ার প্রকৃত হার ৫০ শতাংশ,যেখানে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের সংখ্যা বেশি।এই বয়সী ছেলে-মেয়েদের ৭৫ শতাংশই মাধ্যমিক শেষ করার আগে ঝরে পড়ে।ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে মেয়েদের ঝরে পড়ার হার ছেলেদের দ্বিগুণ।অষ্টম শ্রেণীতে ঝরে পড়ার হার সর্বোচ্চ।এই পর্যায়ে ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ ছেলে-মেয়ে স্কুল ত্যাগ করে।
মাধ্যমিক শিক্ষায় অনেক পশ্চাৎপদতা রয়েছে।লিঙ্গ বৈষম্য, আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও দূর্গম এলাকায় বসবাসের কারণে এ সমস্যা আরও প্রকট হয়। মাধ্যমিক পর্যায়ে ঝরে পড়া বন্ধ করতে হলে মান সম্মত পাঠ্যক্রম, শ্রেণীকক্ষের শিক্ষা উন্নয়ন ও কর্মমূখী শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে।
কিশোর-কিশোরীদের লেখাপড়া ছাড়ার আরও একটি কারণ স্কুলের দূরত্ব।এর কারণে দূর্গম এলাকায় বসবাসকারী অনেক ছাত্র-ছাত্রী বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দেয়।শিক্ষা ব্যয়, শিশুবান্ধব পরিবেশের ঘাটতি এবং যৌন হয়রানি থেকে সুরক্ষার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।বাল্যবিয়ের কারণেও মেয়েরা ঝরে পড়ে।
আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থার বাইরে বয়ঃসন্ধিকালীন ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার বিকল্প তেমন কোনো ব্যবস্থা এদেশে নেই।জীবিকা ও দক্ষতা তৈরির শিক্ষার সুযোগও সীমিত এখানে।লেখাপড়া শেষ করলেও চাকরির জন্য দক্ষতা তৈরি না হওয়া।
সমাধান:
কিশোর-কিশোরীদের প্রয়োজনের দিকটি বিবেচনায় নিয়ে ইউনিসেফ বিভিন্ন কৌশল ও পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন
শিক্ষা ও ক্যাম্পাস বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
- মাস্টার্স পরীক্ষার ফলাফল ২০২৩
- এসএসসি বোর্ড চ্যালেঞ্জ এর রেজাল্ট ২০২৩
- এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩ | এসএসসি ফলাফল
- অনার্স ১ম বর্ষ পরীক্ষা রুটিন ২০২৩
- এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩ কবে হবে
- চবি ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩
- ‘বাঁচতে চাইলে পরীক্ষায় এ্যাটেন্ড কর’, ছাত্রীকে শাবি শিক্ষক
- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩
- কেন পড়ব সমাজকর্ম?
- মধ্যরাতে শাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
সর্বশেষ
জনপ্রিয়