প্রকাশিত: ১৪:৫০, ২ জুন ২০২০
সাহায্যের জন্য কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোর আবেদন
মৌলভীবাজার বেসরকারি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বেসিক ট্রেড স্কীল ডেভেলপমেন্ট ফোরাম কর্তৃক সরকারি সহায়তার আবেদন
করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংকট কালীন সময়ে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদিত মৌলভীবাজার জেলার কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সমূহ প্রনোদনা চেয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন করেছেন।
বেসিক ট্রেড স্কীল ডেভেলপমেন্ট ফোরাম মৌলভীবাজার জেলা শাখার যুগ্ম আহবায়ক, কম্পিউটার সাইন্স এন্ড টেকনোলজি ইন্সটিটিউট এর পরিচালক সুজন কান্তি সিংহ এবং ফোরামের সদস্য সচিব জিনিয়াস কম্পিউটার সাইন্স এন্ড টেকনোলজি এর পরিচালক প্রকৌঃমোঃ সাইফুর রহমান, সহ সংঘঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে জেলা প্রশাসক বরাবর এই আবেদন হস্তান্তর করা হয়ে
সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড অনুমোদিত বেসিক ট্রেড প্রতিষ্ঠান সমূহের সংগঠন বেসিক ট্রেড স্কীল ডেভেলপমেন্ট ফোরামে’র আহব্বায়ক নিত্যানন্দ সরকার ও সদস্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন স্বাক্ষরিত স্বারক লিপির সুত্র ধরে মৌলভীবাজার জেলা শাখার আহবায়ক সুমন দেববর্মা ও সদস্য সচিব স্বাক্ষরিত আবেদনের বর্তমান করোনা ভাইরাস সংকট সময়ে সারা বাংলাদেশ ন্যায় মৌলভীবাজার জেলার সকল কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোর সংকটময় অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে। মহামারী “করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯)” থেকে সৃষ্ট বিশ্বব্যাপী চরম অর্থনৈতিক ক্ষতি ও পরিবর্তন ঘটতে চলেছে।
এসংকটে পড়ে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের বেসিক ট্রেডের আওতাধীন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান /উদ্যোক্তাগন চলমান করোনা সংকট মোকাবেলায় কর্মহীন হয়ে চরম আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। এই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ বেতন-ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে সরকারি কোন অনুদান বা আর্থিক সহযোগিতা পায় না। নিজস্ব অর্থায়নে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরিচালিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলো নানা কারণে এখন অর্থনৈতিক দুর্বলতার শিকার। এ প্রতিষ্ঠানগুলো বেশিরভাগ ভাড়া বাড়িতে পরিচালিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায়কৃত বেতন দিয়েই প্রতিষ্ঠানের ভবন ভাড়া, সব ইউটিলিটি বিল এবং প্রশিক্ষক সহ কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়।
কিন্তু করোনার সংকট কালীন সময়ে সরকারি সিদ্ধান্তে সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কোন প্রতিষ্ঠানই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিউশন ফি আদায় করতে পারবে না বা করতে পারছে না। ফলে চরম অর্থনৈতিক সংকটে এখন এই কারিগরি সেক্টর। মৌলভীবাজার জেলায় প্রায় ৪৫টি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রায় তিনশতাধিক পরিচালক/অধ্যক্ষ, প্রশিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আর্থিক সংকটে দিন যাপন করছে এবং সামাজিক সম্মান ও অবস্থানের কারণে কারও দ্বারস্থ হতেও পারছে না। এ কারণে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সরকারিভাবে সহযোগিতা কামনা করছে।
প্রতিষ্ঠানগুলো কম্পিউটার প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল ও বেকার সমস্যা দূরীকরণ, দক্ষ জনশক্তি তৈরি ও বিদেশে দক্ষ জনশক্তি প্রেরণের মাধ্যমে রেমিট্যান্স বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ভিশন-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা পালনকারী নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়া এ প্রতিষ্ঠানগুলো বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে স্থবির হয়ে আজ হুমকির সম্মুখীন। ফলে এ সেক্টরে সরকারি সহায়তা ছাড়া সংকটময় পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানগুলো টিকিয়ে রাখা কঠিন।
আরও পড়ুন
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’
- করোনা জয় করে সুস্থ হয়েছেন মৌলভীবাজারের ৩ চিকিৎসক
সর্বশেষ
জনপ্রিয়