সিলেট প্রতিনিধি
সিলেটের সাদা পাথর এলাকায় পর্যটকদের যাতায়াতে সময় নির্ধারণ
সিলেটের পর্যটন স্পট সাদা পাথর এলাকায় পর্যটকদের যাতায়াতে সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি ও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বিবেচনায় প্রতিদিন বিকেল চারটার পর আর কোনও নৌকা সাদা পাথর এলাকায় যাতায়াত করতে পারবে না।
নির্দেশনাটি শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) বিকেল চারটা থেকে কার্যকর করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকেলে সাদা পাথর এলাকার নৌপথ অভিমুখে কাঁটাতারের একটি ফটক স্থাপন করে এতে এই নতুন নির্দেশনাসংবলিত ব্যানার সাঁটানো হয়েছে।বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে পাহাড় আর এপারে পাথর আর স্বচ্ছ জলের মোহনীয় হাতছানিতে বছরজুড়ে সাদা পাথর এলাকায় পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। সড়কপথে ‘সাদা পাথর পরিবহন’ নামের একটি বাস সার্ভিস চালুর পর প্রতিদিন অন্তত তিন হাজার পর্যটকের আগমন ঘটে। এর মধ্যে শুক্র, শনিবারসহ ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকসংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে এ বছর শীতকালে বিকেল চারটা থেকে সাদা পাথর অভিমুখে নৌকাসহ যেকোনো প্রকার নৌযান চলাচল বন্ধ করার নির্দেশনা কার্যকর করা হয়। এ সংক্রান্ত উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা শুক্রবার বিকেলে সাঁটানো হয়।
এ ব্যাপারে সিলেট কোম্পানিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্য নজরুল ইসলাম জানান, সাদা পাথর এলাকায় প্রতিদিন শতাধিক নৌকা চলাচল করে। প্রতিদিন এখানে হাজারের অধিক পর্যটকের আগমন ঘটে। ছুটির দিন এই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়। এর ফলে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও শীতকালীন করোনার দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিকেল চারটার পর এখানে যাতায়াত নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং বিষয়টি নোটিশ আকারে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ এলাকায় বাংলাদেশের অন্যতম বড় পাথরকোয়ারি এই সাদা পাথর। ওপারে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাহাড়ি অঞ্চল লুংলংপুঞ্জি ও শিলংয়ের চেরাপুঞ্জি, এপারে ধলাই নদের উৎসমুখের বিস্তৃত এলাকায় সারা বছর নদের পানি প্রবহমান থাকে। বৃষ্টিবহুল চেরাপুঞ্জির পাদদেশ থেকে বর্ষায় ঢলের পানির সঙ্গে পাহাড়ের পাথরখণ্ড এপারে নেমে আসে। তাই বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের শূন্যরেখার কাছে সাদা পাথরের স্তূপ ঘিরে গড়ে উঠেছে পর্যটনকেন্দ্র।
পর্যটক আকর্ষণের যে স্থানটিতে ১৯৯০ সালে পাহাড়ি ঢলে প্রথম পাথর জমা হয়। কিন্তু সেগুলো সংরক্ষণ না করায় তখন ব্যাপক লুটপাট হয়েছিল। দুই যুগের বেশি সময়ের পর ২০১৭ সালের বর্ষাকালে আবার পাথর জমা হলে এবার স্থানীয় মানুষজন পাথর লুটপাটের বিরুদ্ধে নামেন। জনগণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করায় গোটা এলাকা পর্যটনকেন্দ্রে রূপ নিয়েছে। গত বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলে জমা হওয়া পাথরের স্তূপ আরও বিস্তৃত হয়েছে। যা প্রতিনিয়ত মোহনীয় হাতছানিতে পর্যটক ও প্রকৃতিপ্রেমীদের ডাকতে থাকে।
আইনিউজ/এজেএল
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’
- করোনা জয় করে সুস্থ হয়েছেন মৌলভীবাজারের ৩ চিকিৎসক