Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ২৭ অক্টোবর ২০২৫,   কার্তিক ১২ ১৪৩২

তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২:২১, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০

বাংলাদেশ তথ্য চাইলেও সাড়া দেয়নি টিকটক

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে টিকটকের কাছে দুটি অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছিল। এ অনুরোধে সাড়া দেয়নি টিকটক কর্তৃপক্ষ। তারা কোনো তথ্যও দেয়নি।

জনপ্রিয় অ্যাপ টিকটকের মালিকাধীন প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) নিজ ওয়েবসাইটে তাদের ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যায়, ইংরেজি অক্ষর ক্রম অনুযায়ী সাজানো তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। মোট ৪২টি দেশ টিকটকের কাছে তথ্য চেয়ে অনুরোধ করেছে বলে সেখানে উল্লেখ রয়েছে।

ওই তালিকায় এ বছরের প্রথম ছয় মাস অর্থাৎ, ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বিবেচনা করা হয়েছে। ওই সময়ে বিশ্বে ১০ কোটি ৪৫ লাখ ৪৩ হাজার ৭১৯টি ভিডিও সরিয়ে ফেলে টিকটক। নীতিমালা লঙ্ঘন ও কমিউনিটি নীতিমালা না মানায় এসব ভিডিও সরিয়ে ফেলা হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ সংখ্যা টিকটকে বছরের প্রথম ছয় মাসে আপলোড হওয়া ভিডিওর এক শতাংশেরও কম।

টিকটক জানিয়েছে, তারা সবচেয়ে বেশি ভিডিও সরিয়েছে ভারতীয়দের। বছরের প্রথমার্ধে তিন কোটি ৭০ লাখের বেশি ভিডিও সরিয়েছে তারা। গত জুন মাসে ভারত সরকার টিকটকসহ ৫৮টি চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে। অ্যাপল অ্যাপ স্টোর ও গুগল প্লে স্টোর ভারতে অ্যাপ দুটি সরিয়ে দেয় এবং টেলিকম প্রতিষ্ঠানগুলো ওই প্ল্যাটফর্মে ঢোকা বন্ধ করে দেয়।

টিকটক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা ভারতে যেসব ভিডিও সরিয়েছে তার ৯৬.৪৬ শতাংশ ভিডিও কোনো অভিযোগ পাওয়ার আগেই সরানো হয়। এর মধ্যে ৯০.৩২ শতাংশ ভিডিও কেউ দেখেনি।

অ্যাপটি জানিয়েছে, টিকটক ব্যবহারকারী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের কাছে বিভিন্ন সরকারের পক্ষ থেকে আইনি অনুরোধ পাওয়ার হারও বেড়েছে। এর মধ্যে ৪২টি দেশ বা মার্কেট থেকে ব্যবহারকারীর তথ্য চেয়ে এক হাজার ৭৬৮টি অনুরোধ করা হয়।

এর মধ্যে ১২১টি অনুরোধ সরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে করা হয় যে, ১৫টি ভিন্ন দেশের কনটেন্ট সরিয়ে ফেলা বা আটকে দেওয়ার জন্য।

তবে অঞ্চলভিত্তিক সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করেনি টিকটক। যদিও ১০ হাজার ৬২৫টি কপিরাইট করা কনটেন্ট সরানোর অনুরোধ পর্যালোচনা করেছে তারা। ভারতের পরই কনন্টেন্ট সরানো দেশগুলো হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, ব্রাজিল ও যুক্তরাজ্য।

আইনিউজ/এসডিপি

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়