Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ০৭ জুলাই ২০২৫,   আষাঢ় ২৩ ১৪৩২

আই নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:০৩, ১৬ মার্চ ২০২৪

আ ত্ম হ ত্যা র আগে যা লিখে গেলেন জবি শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা।

রাজধানীর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা আ ত্ম হ ত্যা করেছেন। শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে আ ত্ম হ ত্যা করেন এ শিক্ষার্থী। তবে, আ ত্ম হ ত্যা র আগে অবন্তিকা তাঁর একটি লেখায় সহপাঠী, শিক্ষকদের দায়ী করেছেন। যা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে নতুন জল্পনাকল্পনা।

আ ত্ম হ ত্যা র আগে যা লিখে আগে ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে যা লিখেছিলেন তিনি-
আমি যদি কখনো সু*ইসাইড করে মা*রা যাই তবে আমার মৃ*ত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে আমার ক্লাসমেট আম্মান সিদ্দিকী, আর তার সহকারী হিসেবে তার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকার কারণে তাকে সাপোর্টকারী জগন্নাথের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। আম্মান যে আমাকে অফলাইন ও অনলাইনে থ্রেটের (হু*মকি) উপর রাখতো সে বিষয়ে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করেও আমার লাভ হয় নাই। দ্বীন ইসলাম আমাকে নানানভাবে ভয় দেখায়, আমাকে বহিষ্কার করা ওনার জন্য হাতের ময়লার মতো ব্যাপার।

আমি জানি এখানে কোনো জাস্টিস (বিচার) পাবো না। কারণ দ্বীন ইসলামের অনেক চামচা ওর পাশে গিয়ে দাঁড়াবে। এই লোককে আমি চিনতামও না। আম্মান আমাকে সেক্সুয়ালি এবি*উজিভ কমেন্ট করায় আমি তার প্রতিবাদ করলে আমাকে দেখে নেওয়ার জন্য দ্বীন ইসলামের শরণাপন্ন করায়। আর দ্বীন ইসলাম আমাকে তখন প্রক্টর অফিসে একা ডেকে নারীজাতীয় গালিগালাজ করে। সেটা অনেক আগের ঘটনা হলেও সে এখনো আমাকে নানাভাবে মানহানি করতেসে বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন কথা বলে। 

আর এই লোক কুমিল্লার হয়ে কুমিল্লার ছাত্র কল্যাণের তার ছেলেমেয়ের বয়সী স্টুডেন্টদের মাঝে কী পরিমাণ প্যাঁচ ইচ্ছা করে লাগায় সেটা কুমিল্লার কারো সৎ সাহস থাকলে সে স্বীকার করবে। এই লোক আমাকে আম্মানের অভিযোগ এর প্রেক্ষিতে ৭ বার প্রক্টর অফিসে ডাকায় নিয়ে ".... (প্রকাশ অযোগ্য শব্দ) তুই এই ছেলেরে থাপড়াবি বলসস কেনো? তোরে যদি এখন আমার জুতা দিয়ে মারতে মারতে তোর ছাল তুলি তোরে এখন কে বাঁচাবে? 

আফসোস এই লোক নাকি ঢাবির খুব প্রমিনেন্ট ছাত্রনেতা ছিল। একবার জেল খেটেও সে এখন জগন্নাথের প্রক্টর। সো ওর পলিটিক্যাল আর ন*ষ্টামির হাত অনেক লম্বা না হলেও এতো কুকীর্তির পরও এভাবে বহাল তবিয়তো থাকে না এমন পোস্টে। কোথায় এই লোকের কাজ ছিল গার্ডিয়ান হওয়া, আর সো কিনা আমার জীবনটারেই শেষ না হওয়া পর্যন্ত মুক্তি দিলো না। আমি উপাচার্য সাদোকা হালিম ম্যামের কাছে এই প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক হিসেবে বিচার চাইলাম।  

আর আমি ফাঁ*সি দিয়ে মরতেসি। আমার উপর দিয়ে কী গেলে আমার মতো নিজেকে এতো ভালোবাসে যে মানুষ সে মানুষ এমন কাজ করতে পারে। আমি জানি এটা কোনো সলিউশন না কিন্তু আমাকে বাঁচতে দিতেসে না বিশ্বাস করেন। আমি ফাইটার মানুষ। আমি বাঁচতে চাইছিলাম! আর পোস্ট ম*র্টেম করে আমার পরিবারকে ঝামেলায় ফেলবেন না। এমনিতেই বাবা এক বছর হয় নাই মা*রা গেছেন, আমার মা একা। ওনাকে বিব্রত করবেন না। এটা সুইসাইড না এটা মা*র্ডার। টেকনিক্যালি মা*র্ডার। আর আম্মান নামক আমার ক্লাসমেট ইভটিজারটা আমাকে এটাই বলছিল যে আমার জীবনের এমন অবস্থা করবে যাতে আমি ম*রা ছাড়া কোনো গতি না পাই। তাও আমি ফাইট করার চেষ্টা করসি। এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে সহ্য ক্ষমতার।

ফাইরুজ অবন্তিকার নামাজে জানাজা
শনিবার (১৬ মার্চ) বেলা ৩টায় ফাইরুজ অবন্তিকার প্রথম নামাজে জানাজা পুলিশ লাইন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহতের বড়ভাই অপূর্ব। 

ফাইরুজ অবন্তিকা কুমিল্লা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক মৃত জামাল উদ্দিনের মেয়ে।

নি হ তে র অপূর্ব জানান, শনিবার দুপুর ২টার দিকে পুলিশ ময়নাতদন্ত শেষে অবন্তিকার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে। তারপর সেখান থেকে কুমিল্লার বাহিচাগাঁওয়ে নিজ বাড়িতে মরদেহ নিয়ে আসা হবে। আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকাল ৩টায় নগরীর পুলিশ লাইন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নিহতের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

আই নিউজ/এইচএ 

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়