নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট: ২৩:০৫, ২৫ আগস্ট ২০২১
বন্ধ হবে টিকটক-লাইকিও
দেশে বন্ধ হয়েছে পাবজি-ফ্রি ফায়ার
দেশে পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ বিপজ্জনক ইন্টারনেট গেম বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কমিশন-বিটিআরসি। ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক-লাইকির মতো অন্যান্য ক্ষতিকর অ্যাপও বন্ধে কাজ চলমান আছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বুধবার (২৫ আগস্ট) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র।
আদালতের নির্দেশনায় এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে জানিয়ে বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের নির্দেশে এরইমধ্যে পাবজি ও ফ্রি ফায়ার বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকমকে নির্দেশ দেয়ার পর তারা বন্ধ করে দিয়েছে। বাকি ক্ষতিকর অনলাইন প্লাটফর্ম নিয়েও সিদ্ধান্ত হবে।
ইন্টারনেট ভিত্তিক এসব গেম ও অনলাইন ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপের কারণে তরুণ প্রজন্মের ‘বিরূপ প্রভাব’ পড়ছে। এমন বক্তব্য তুলে ধরে গত ১৯ জুন সরকারের সংশ্লিষ্টদের কাছে উকিল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী।
কিন্তু উকিল নোটিশে সাড়া না পেয়ে গত ২৪ জুন উচ্চ আদালতে রিট করেন এই আইনজীবীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অগাস্ট দেশের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ ‘বিপজ্জনক’ সব গেম ও টিকটক-লাইকির মতো ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ তিন মাসের জন্য বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে এসব অনলাইন গেম ও টিকটক, লাইকির মতো ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপ কেন বন্ধের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে রুল জারি করা হয়।
রিটকারী আইনজীবীদের ভাষ্য, পাবজি ও ফ্রি ফায়ারের মতো গেমে বাংলাদেশের যুব সমাজ এবং শিশু-কিশোররা ব্যাপকভাবে আসক্ত হয়ে পড়েছে। এর ফলে সামাজিক মূল্যবোধ, শিক্ষা, সংস্কৃতি বিনষ্ট হচ্ছে। এসব গেম যেন যুব সমাজকে সহিংসতা প্রশিক্ষণের এক কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে পাবজি, ফ্রি ফায়ারের মতো ইন্টারনেট গেইমের লিংক বন্ধে কাজ শুরু করে বিটিআরসি। এ দুটি অনলাইন গেম ছাড়াও টিকটক, বিগো লাইভ ও লাইকির মতো অ্যাপগুলো সমাজে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করছে বলেও উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন অনেকে। তাই ক্ষতিকর সকল গেমিং অ্যাপ বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, আগে কোনো অ্যাপ বা ওয়েবসাইট বন্ধ করতে হলে ইন্টারনেট গেটওয়ে, ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল অপারেটরদের নির্দেশনা দিতে হতো। এখন ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকম নিজেই এ কাজ করতে পারে।
তবে বাংলাদেশের কোনো অ্যাপের লিংক বন্ধ করা হলেই তা বন্ধ হয়ে যায় না। এক্ষেত্রে ভিপিএন দিয়ে সেগুলো চালানো যায়, তা বন্ধ করার মতো সক্ষমতা বাংলাদেশের নেই। তাই অ্যাপগুলোর কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েও বাংলাদেশে সেগুলো বন্ধের অনুরোধ জানানো হবে বিটিআরসির পক্ষ থেকে।
সুব্রত রায় বলেন, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনা পেয়েই আমরা কাজ শুরু করেছি। পাবজি, ফ্রি ফায়ার বন্ধ করার কাজটি করবে ডট। আমরা দেশে ফ্রি ফায়ার ও পাবজি বন্ধ করতে বলেছি। এছাড়া ক্ষতিকর অ্যাপস যেমন- লাইকি, বিগো, টিকটকের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। যেগুলো বন্ধ (ব্লক) করা সম্ভব হবে আমরা করে ফেলব। যেগুলো বন্ধ করা সম্ভব হবে না, সেগুলোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অ্যাপসগুলোর অফিসে চিঠি পাঠানো হবে।
এ ব্যাপারে আজ জার্মানভিত্তিক গণমাধ্যম ডয়েচে ভেলেকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘আমার জানা মতে পাবজি দেশের বাইরে থেকে বিটিআরসির সঙ্গে ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। আর ফ্রি ফায়ার কখনোই যোগাযোগ করেনি। বাংলাদেশে তাদের কোনো এজেন্ট আছে বলে আমার জানা নাই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা হাইকোর্টের রুলের আওতায় কাজ করছি। যে দুইটিকে সরাসরি বন্ধ করতে বলেছেন তা বন্ধ করে দিয়েছি। বাকিগুলো এখন দেখতে হবে ক্ষতিকর কী না। কারণ কেউ বলে ক্ষতিকর আবার কেউ বলে ক্ষতিকর না। আমরা এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, রিটকারীসহ আরও অনেকের সঙ্গে কথা বলব। তারপর সিদ্ধান্ত নেব। আদালত প্রাথমিকভাবে তিন মাসের জন্য বন্ধ করতে বলেছেন আমরা সেটাই করব।’
‘এইসব গেম কর্তৃপক্ষ দাবি করছে বাংলাদেশ থেকে কোনো টাকা নিচ্ছে না। তবে এটা দেখা উচিত। এনবিআর সেটা পেলে তো ট্যাক্স আদায় করতে পারে’-বলে যোগ করেন মন্ত্রী।
- আমেরিকান ডিভি লটারি ২০২৪ বাংলাদেশ
- ফেসবুক মনিটাইজেশন আপডেট ২০২৩
- বাংলাদেশে কম দামে ভালো মোবাইল ফোনের দাম
- অনলাইনে কানাডা ভিসা চেক করার নিয়ম ২০২৩
- মোবাইল নাম্বার দিয়ে লোকেশন বের করার নিয়ম
- অনলাইনে বিধবা ভাতা আবেদন করার নিয়ম ২০২৩
- পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম ২০২৪
- সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস ডেলিভারি চার্জ
- দৈনিক ৫০০ টাকা ইনকাম করার উপায় ২০২৩
- মৌলভীবাজারের যুবকের কৌশল উদ্ভাবন রেললাইন থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন

























