Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শুক্রবার   ১৮ জুলাই ২০২৫,   শ্রাবণ ৩ ১৪৩২

আই নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৩২, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
আপডেট: ১৬:৩৬, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

সিলেটে

খু ন করার ১ সপ্তাহ আগে থেকেই সোনিয়াদের বাসায় ছিলো সজীব 

নিহত অভিনেত্রী এবং অভিযুক্ত মামাতো ভাই সজীব।

নিহত অভিনেত্রী এবং অভিযুক্ত মামাতো ভাই সজীব।

সিলেটের শেখঘাট খুলিয়াটুলা আবাসিক এলাকায় ঘটা তরুণীকে গ লা কে টে হ ত্যা কা ণ্ডে র ঘটনায়  অভিযুক্ত মামাতো ভাইকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। সোনিয়া বেগম (২০) নামের ওই তরুণী খু ন হবার এক সপ্তাহ আগে থেকেই অভিযুক্ত মামাতো ভাই তাদের বাসায় ছিলো বলে জানিয়েছে র‍্যাব। 

সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ৯র দিকে অভিযান চালিয়ে র‍্যাব-৯ এর একটি টিম ঢাকার যাত্রাবাড়ি থানাধীন সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে। তার নাম মো. সজিব। শে হবিগঞ্জ জেলার আজমেরীগঞ্জ উপজেলার শরীফনগর গ্রামের মো. নুরুদ্দিনের ছেলে।

আজ মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টায় প্রেস ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে জানায় র‍্যাব।

র‍্যাব-৯ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার মো. মোমিনুল হক জিডি-পি জানান- ঘটনার এক সপ্তাহ আগে থেকেই সোনিয়াদের বাসায় অবস্থান করছিলেন সজিব। এসময় তিনি সোনিয়াকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায়ও যান। 

এর আগে গত রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিলেট মহানগরের শেখঘাট খুলিয়াটুলা আবাসিক এলাকার নীলিমা-১৪ নম্বর বাসা থেকে সোনিয়ার গলা কাটা লা শ উদ্ধার করা হয়। সে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার কলাছড়া গ্রামের বিল্লাল আহমদের মেয়ে ও দক্ষিণ সুরমার নুরজাহান মেমোরিয়াল মহিলা ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী। মা ও সৎ বাবার সঙ্গে ওই বাসার ৪র্থ তলায় থাকতেন সোনিয়া। পাশাপাশি সিলেটের আঞ্চলিক ভাষার নাটকে অভিনয় করতেন।

পারিবারিক ও পুলিশ সূত্র জানায়, হ ত্যা কা ণ্ডে র আগের রাতে সোনিয়ার বাসায় রাত্রিযাপন করে তার মামাতো ভাই সজিব আহমদ। রোববার সকালে সোনিয়া পরিবারের সাথে নাস্তা করেন। পরে পরিবারের অন্য সদস্যরা সোনিয়ার সৎ বাবা সেলিম মিয়াকে দেখতে হাসপাতালে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর অভিযুক্ত সজিবও বাসা থেকে বের হয়ে যায়।

দুপুর ১২টার দিকে সাড়াশব্দ না পেয়ে সোনিয়র ভাবি তাকে ডাকতে যান। রুমে ঢুকে তিনি সনিয়ার গলা কা টা লা শ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশ গিয়ে লা শ উদ্ধার করে এবং রুমের ভেতর থেকে কাপড় কাটার একটি রক্তমাখা কাঁচি জব্দ করে। 

সোনিয়ার পরিবারের দাবি ছিলো- এই হ ত্যা র সঙ্গে সজিব জড়িত। প্রাথমিকভাবে পুলিশের সন্দেহও ছিলো সজিবের দিকে। ঘটনার পর থেকে সজিব গা ঢাকা দেওয়ায় সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়। সোনিয়ার ঘর থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণলঙ্কারও খোয়া গেছে বলে দাবি করেন পরিবারের সদস্যরা। 

যেভাবে ধরা হলো অভিযুক্ত সজীবকে 
চাঞ্চল্যকর এ হ ত্যা কা ণ্ডে র পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর পাশাপাশি র‍্যাব-৯-ও ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে। ছায়া তদন্তের এক পর্যায়ে র‍্যাব তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সজিবের অবস্থান সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। 

এক পর্যায়ে সোমবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ঢাকার যাত্রাবাড়ি থানাধীন সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। 

র‍্যাব-৯ এর অধিনায়ক মোমিনুল হক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান- প্রায় সোনিয়াদের বাসায় আসতো সজিব। তিনি তার গর্ভবতী স্ত্রীর চিকিৎসার কথা বলে গত ৭ দিন যাবৎ সোনিয়াদের বাসায় অবস্থান করেছিল। 

ঘটনার আগের দিন (১১ ফেব্রুয়ারি) সোনিয়া চাকরির সন্ধানে সজিবকে নিয়ে বিয়ানীবাজার যায়। ঐদিন বিয়ানীবাজার থেকে ফেরার পথে সিলেট শহরের শেখঘাটে সোনিয়ার অসুস্থ খালাকে দেখে তারা রাত ১২টার দিকে সোনিয়াদের বাসায় যান দুজন। 

ঘটনার দিন সকালে সোনিয়ার সৎ বাবা অসুস্থ থাকায় পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে হাসপাতাল হতে সোনিয়ার মা দুপুর ১২ টার দিকে বাসায় ফিরে সোনিয়াকে দেখতে না পেয়ে তার শয়নকক্ষে ঢুকে রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। 

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লা শ উদ্ধার করে। সোনিয়ার মরদেহের গলার বাম পাশে কাটা এবং ডান হাতের কব্জির রগ কাটা পাওয়া যায়। পুলিশ এসময় তল্লাশি করে ঘটনাস্থলের খাটের তোষকের নিচ থেকে ধারালো রক্তমাখা একটি কাঁচি উদ্ধার করে। 

র‍্যাব আরও জানায়- সজিবের নামে ঢাকার ভাষাণটেক থানায় মামলা রয়েছে। মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে শিশু অপহরণ ও সহায়তার অভিযোগে এ মামলা দায়ের করা হয়েছিলো। 

এ মামলায় তিনি গ্রেফতারের পর জেলও খেটেছেন।

আই নিউজ/এইচএ 

আই নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও দেখুন

জলময়ূর পাখির সাথে একদিনের দারুণ গল্প | A story with Water Peacock

Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ