Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শুক্রবার   ০২ মে ২০২৫,   বৈশাখ ১৯ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০০:৪৩, ২২ মে ২০২০
আপডেট: ০১:০৩, ২২ মে ২০২০

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের অর্থ, ঝড়ের নামকরণের ইতিহাস

ঘূর্ণিঝড় হলো ক্রান্তীয় অঞ্চলের সমুদ্রে সৃষ্ট বৃষ্টি,বজ্র ও প্রচন্ড ঘূর্ণি বাতাস সম্বলিত আবহাওয়ার একটি নিম্নচাপ প্রক্রিয়া।ঘূর্ণিঝড়ের ঘূর্ণন উত্তর গোলার্ধে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে ঘড়ির কাঁটার দিকে। এটি আবহাওয়ার একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, যা পৃথিবীতে তাপের ভারসাম্য রক্ষা করে,যদিও এটি প্রচন্ড শক্তি নিয়ে উপকূলে আঘাত হানলে তা অনেক সময় ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হয়ে উঠে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘আম্ফান’।

আম্ফান' অর্থ কি? কারাই বা এসব ঝড়ের নামকরণ করেন?

বুধবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপে প্রথম আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান।এরপর একইদিন রাত নয়টায় ১৫১ কিলোমিটার গতিবেগে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা উপকূলে আঘাত হানে।স্বাভাবিকভাবেই এতে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ নানাভাবে ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় আম্ফান যতোই তাণ্ডব চালাক না কেন এর নামের অর্থ কিন্তু সুন্দর,অর্থাৎ আকাশ।ঘূর্ণিঝড় 'আম্ফান' নামটি রেখেছিলো থাইল্যান্ড। এর আগে ঘূর্ণিঝড়ের নাম 'ফণী' রেখেছিলো বাংলাদেশ,যার অর্থ হলো সাপ।

ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট ঝড়কে বলা হয় সাইক্লোন।আর প্রশান্ত এবং আটলান্টিক মহাসাগরের ঝড়কে বলা হয় যথাক্রমে টাইফুন ও হারিকেন।১০০ বছর পূর্বে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দারা বিভিন্ন ঝড়ের নামকরণ করতেন।পরে মার্কিন আবহাওয়াবিদরা নামকরণের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে তিনটি মহাসাগরের ঝড়ের নাম সাইক্লোন,হারিকেন এবং টাইফুন রাখেন।

ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট ঝড়ের নামকরনের জন্য বাংলাদেশ, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, আরব আমিরাত ও ইয়েমেনের সমন্বয়ে একটি আঞ্চলিক কমিটি রয়েছে।

আগে ইংরেজি বর্ণমালার দিয়ে ঝড়ের নাম রাখা হলেও তা মনে রাখার অসুবিধার দরুন পুরোপুরিভাবে নামকরণের প্রথা শুরু হয়।আর এজন্য ১৩টি দেশের প্রস্তাবিত নামের তালিকা আগে থেকেই ঠিক করে রাখা হয়।এখান থেকেই বাছাই করা হয় ঘূর্ণিঝড়ের নাম।

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের পরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে 'নিসর্গ'।আর এই নামটি রেখেছে বাংলাদেশ।

 

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়