Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৮ জুলাই ২০২৫,   আষাঢ় ২৩ ১৪৩২

স্বাস্থ্য ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:৫২, ১৩ জুন ২০২০

উপসর্গহীন করোনা রোগী নিয়ে কিছু তথ্য

সারাবিশ্বে বাড়ছে উপসর্গহীন রোগীর সংখ্যা। আমাদের আশেপাশে হয়ত এমন অনেকেই আছেন যারা করোনা আক্রান্ত, কিন্তু আমরা বুঝতেই পারছি না।

সাধারণত প্রাণঘাতী এই ভাইরাস মানুষের হাঁচি-কাশি, থুতু, মুখের লালা বা সরাসরি সংস্পর্শের মাধ্যমে একজন থেকে আরেকজনের শরীরে সংক্রমিত হয়। সেক্ষেত্রে আক্রান্ত হলে সাধারণত জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্টের মতো বেশ কিছু উপসর্গ দেখা দেয়।

করোনা সংক্রমণের সবচেয়ে পরিচিত উপসর্গগুলো হচ্ছে- জ্বর, সর্দি, শুষ্ক কাশি, শ্বাসকষ্ট, গলায় খুসখুস, ডাইরিয়া, স্বাদহীনতা প্রভৃতি।

তবে গবেষণায় দেখা গেছে, এমন অনেকেই করোনা পজিটিভ হয়েছেন কিন্তু তাদের নেই কোনো উপসর্গ। তাই এই ধরণের রোগীদের ব্যাপারে জানতে হবে পাঁচটি তথ্য যা সবার জন্য প্রয়োজনীয়।

উপসর্গহীন রোগী কারা?

যারা আক্রান্ত হয়েছেন কিন্তু উপসর্গ নেই তাদের উপসর্গহীন বা অ্যাসিম্পটমেটিক রোগী বলা হয়। তবে অ্যাসিম্পটমেটিকের সঙ্গে প্রি-সিম্পটমেটিক রোগীর পার্থক্য রয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর উপসর্গ দেখা দিতে সাধারণত বেশ কিছুদিন সময় লাগে। সেক্ষেত্রে উপসর্গ দেখা দেয়ার আগপর্যন্ত এ ধরনের রোগীকে বলা হচ্ছে প্রি-সিম্পটমেটিক।

উপসর্গহীনরা কি করোনা ছড়ায়?

উপসর্গহীনদের মাধ্যমে করোনা ছড়াতে পারে এ ধারণা বজায় রেখেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। এ বিষয়ে আরও জানতে গবেষণা চলছে।অ্যাসোসিয়েশন অব পিজিশিয়ানস অব পাকিস্তানি ডিসেন্ট অব নর্থ আমেরিকার সভাপতি ডা. নাহিদ উসমান বলেন, ‘উপসর্গহীনদের সাধারণত স্ক্রিনিং করা হয় না, অন্তত যুক্তরাষ্ট্রে হচ্ছে না। তারা অবশ্যই রোগ ছড়াতে পারেন।’

উপসর্গহীনরা কীভাবে ভাইরাস ছড়ান?

সিম্পটমেটিক (উপসর্গযুক্ত) ও প্রি-সিম্পটমেটিক রোগীদের মতো অ্যাসিম্পটমেটিক রোগীরাও হাঁচি, কাশি, থুতু বা সরাসরি শারীরিক সংস্পর্শের মাধ্যমে করোনার বিস্তার ঘটাতে পারেন।

ইউসিএলএ’র স্কুল অব পাবলিক হেলথের প্রফেসর অ্যানি রিমোইন বলেন, ‘আপনি যখন কথা বলেন তখন কিছুটা হলেও থুতু ছিটান। আপনি নাক ঘষবেন, মুখ স্পর্শ করবেন, চোখ ডলবেন, তারপর অন্য পৃষ্ঠতল স্পর্শ করবেন। যদি আপনি আক্রান্ত থাকেন, তবে সেখান থেকেই ভাইরাস ছড়িয়ে দেবেন।’

উপসর্গহীনরা কি কম সংক্রামক?

ডব্লিউএইচও বলছে, উপসর্গযুক্ত রোগীদের চেয়ে উপসর্গহীনদের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কম। তবে এটি নিয়ে আরও গবেষণা চলছে।

কীভাবে রক্ষা করবেন নিজেকে?

করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে বারবার সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়া, ব্যবহার্য জিনিসপত্র জীবাণুমুক্ত রাখা, ভিড়ের মধ্যে গেলে অবশ্যই মুখে মাস্ক পরাসহ যাবতীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এছাড়া, কারও শরীরে উপসর্গ দেখা দিলে তার কাছ থেকে যতটা সম্ভব দূরত্ব বজায় রাখা এবং অপরিষ্কার হাতে চোখ-মুখ স্পর্শ থেকেও বিরত থাকতে বলেছেন গবেষকরা।

আইনিউজ/এসডিপি

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়