Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, রোববার   ০৬ জুলাই ২০২৫,   আষাঢ় ২২ ১৪৩২

স্বাস্থ্য ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২:৩৭, ২৩ ডিসেম্বর ২০২০

ঢোক গিলতে কষ্ট হলে কি করবেন?

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

অনেক সময় পানি পান করার সময় ঢোক গিলতে কষ্ট হয়। অনেকেরই জানা নেই এই সমস্যা কেন হয়! 

নাক, কান ও গলা রোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, খাবার খাওয়ার সময় তা পাকস্থলীতে যায় এবং হজম শুরু হয়। আর খাবার যখন হজম না হয়ে ওপরের দিকে গলাতে উঠে আসে ও ঢোক গিলতে সমস্যা হয় তখন তাকে রিফ্লাক্স বলে। 

স্বরযন্ত্র এর মানে হলে পাকস্থলীর খাবার ও তার এসিড স্বরযন্ত্র বা গলার মধ্যে উঠে আসে। এটা দিনে বা রাতে যেকোনো সময় হতে পারে। যাদের রিফ্লাক্স থাকে তাদের সবার বুকজ্বালা বা হজমের অসুবিধা নাও থাকতে পারে।

রিফ্লাক্সের উপসর্গ

♦ গলার স্বর বসে যাওয়া, গলা বারবার পরিষ্কার করা, গলায় শ্লেষ্মা বৃদ্ধি পাওয়া, খাদ্য-পানি বা বড়ি গিলতে অসুবিধা হওয়া, খাওয়ার পর বা শোয়ার পর কাশি হওয়া, শ্বাস নিতে অসুবিধা বা শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া ও কষ্টকর বা বিরক্তিকর কাশি। 

♦ এছাড়া গলার ভেতর কিছু আটকে থাকা গলার ভেতর টিউমারের মতো কিছু বোধ করা। 

♦ বুকজ্বলা, বুকব্যথা, হজমের অসুবিধা বা ঢেকুরের সঙ্গে টক পানি উঠে আসে। আর অনেক সময় গলায় টিউমারের মতো বাধা ও ঢোক গিলতে অসুবিধা হওয়া। 

এই রোগের বেশি সমস্যা হলে চিকিৎসা নেয়া উচিত। যাদের ওষুধে কাজ হয় না তাদের ক্ষেত্রে এনিটি রিফ্লাক্স সার্জারি করতে হয় এবং যাদের সার্জারি হয় তারা এলপিআর থেকে অনেক যায় সুস্থ থাকেন। 

করণীয়

♦ খাদ্যাভ্যাস বদলানো উচিত, যাতে রিফ্লাক্স কম হয় এবং ওষুধ ব্যবহার করা যাতে পাকস্থলীর এসিড কম বের হয়। আর প্রয়োজনে সার্জারি করান, যাতে রিফ্লাক্স না হয়। 

♦ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন, ধূমপান বর্জন, খুব টাইট জামাকাপড় না পরা, বিশেষ করে কোমরের দিকে ও খাবার পরপরই না শোয়া। 

♦ এছাড়া স্বল্প চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত, মাখন, গরু ও খাসির মাংস না খাওয়া, ভাজা-পোড়া কম যাওয়া, পনির, চকলেট ও পেস্ট্রি বর্জন করা এবং লেবু জাতীয় পানীয় না পান করা। 

♦ আর অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলা ও উত্তেজক পানীয় না খাওয়া।

আইনিউজ/এসডিপি

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়