Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শুক্রবার   ২৪ অক্টোবর ২০২৫,   কার্তিক ৯ ১৪৩২

তথ্য-প্রযুক্তি ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:৪৬, ২৮ জুলাই ২০২১
আপডেট: ২২:৩২, ২৮ জুলাই ২০২১

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে প্রেরণা ফাউন্ডেশন ও দারাজ

প্রেরণা ফাউন্ডেশনের 'আমরা শিখি, আমরা পারি' কর্মসূচির অধীনে বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের তৈরি ‘প্রেরণা মাস্ক’, এখন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম দারাজে পাওয়া যাচ্ছে। দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি এবং অর্থবহ ক্রয়ের মাধ্যমে সমাজে সমতা নিশ্চিত করে তোলার প্রচেষ্টায় দেশের নাগরিকদের অবদান রাখার সুযোগ তৈরি করা এ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।

আগ্রহী ক্রেতারা তাদের পছন্দের ফ্যাব্রিক্স ফেসমাস্ক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ও কিনতে ভিজিট করতে পারেন - https://www.daraz.com.bd/shop/prerona-foundation

কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের ফলে আমাদের জীবনযাপন প্রতিদিন বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ রোধ করতে সবাইকে নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হচ্ছে। মহামারিকালে প্রেরণা ফাউন্ডেশন বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীদের জন্য জীবিকা অর্জনের সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে সক্ষমতা বৃদ্ধি ও মার্কেট লিংকেজ স্থাপন সহ প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে কাজ করছে। এখন দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজের সাথে হাত মিলিয়েছে প্রেরণা ফাউন্ডেশন, এবং এই উদ্যোগ আমাদের সবাইকে অর্থবহ ক্রয়ের প্রতি আরও বেশি অনুপ্রাণিত করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই তৈরি হচ্ছে চার-স্তরযুক্ত কাপড়ের তৈরি প্রেরণা মাস্ক। দারাজ প্ল্যাটফর্মে বিস্তৃত পরিসরের ফ্যাশনেবল, ট্রেন্ডি এবং আরামদায়ক এই মাস্কগুলো পাওয়া যাচ্ছে। এ মাস্ক ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) উৎপাদনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) প্রদত্ত সকল নির্দেশিকা মেনে তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সার্টিফিকেশন এজেন্সি দ্বারা পরীক্ষীত ও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এই মাস্কের ভেতরে রয়েছে পলিপ্রোপিলিনের দুইটি স্তর, নিরাপদ ফিটিংয়ের জন্য একটি নোজ-সাপোর্ট এবং আরামদায়ক ইয়ার-লুপ।

ডিজাইন এবং বান্ডল অফারের ওপর নির্ভর করে এই মাস্কের মূল্য ১৮০ টাকা থেকে শুরু করে ২৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সকল প্রেরণা মাস্ক সঠিক নিয়মে ধুয়ে, বিশবার পর্যন্ত পুনঃব্যবহারযোগ্য। 

প্রতিটি প্রেরণা মাস্ক কিনে ক্রেতারা, এ মাস্কগুলো তৈরির সাথে সম্পৃক্ত বিশেষ চাহিদা-সম্পন্ন ব্যক্তিদের সহায়তা করতে পারেন, যা তাদের সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে প্রেরণা যোগাবে। 

বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভবিষ্যৎকে উজ্জ্বলতর করার লক্ষ্য নিয়ে একাগ্রে কাজ করে যাচ্ছে প্রেরণা ফাউন্ডেশন। জাতিসংঘ নির্ধারিত সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল বা এসডিজি-র আওতাধীন উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসমূহকে সামনে রেখে প্রেরণার সকল কার্যক্রমের গতিপ্রকৃতি নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রাসমূহ অর্জন করার জন্য সামষ্টিক এবং সকল কার্যক্ষেত্রব্যাপী উদ্যোগ গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন, যে সকল উদ্যোগ সমাজের দারিদ্র্যপীড়িত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষদেরকে যথাযথ বিজনেস মডেলের আওতাধীন করার মাধ্যমে নিজ নিজ ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে সক্ষম করবে। যে কারণে প্রেরণা ফাউন্ডেশন বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে হাত মিলিয়ে এক জোটে তৈরী করছে নতুন নতুন সম্ভাবনা। ২০৩০ সাল নাগাদ সরকারের উদ্দীষ্ট এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা জয়ে এভাবেই তৈরী হচ্ছে একেকটি নতুন সোপান। ইতোমধ্যেই প্রেরণার উদ্যোগে বিভিন্ন মাল্টি-স্টেকহোল্ডার এবং মাল্টি-সেক্টরাল প্রজেক্ট বাস্তবায়িত হয়েছে, যার ধারাবাহিকতায় একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করা সম্ভব বলে প্রেরণা ফাউন্ডেশন আত্মবিশ্বাসী।

আইনিউজ/এসডি

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়