Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১০ জুলাই ২০২৫,   আষাঢ় ২৬ ১৪৩২

আই নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২:৪৬, ২১ মে ২০২৩

ভারতে যেভাবে বদল করা যাবে ২০০০ রুপির নোট

ভারতের সর্বোচ্চ মুদ্রা ২ হাজার রুপির নোট আকস্মিকভাবে বাজার থেকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)। শুক্রবার আরবিআই জানায়, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নোটগুলো ব্যাংকে জমা এবং এর পরিবর্তে অন্য নোট নেওয়া যাবে। তবে এ নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তি তৈরি হওয়ায় রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে ২ হাজার রুপির নোট বদল কিংবা জমার উপায় নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আরবিআই।

দেশটির কেন্দ্রীয় এই ব্যাংক বলেছে, ২০০০ রুপির নোট জমা দিতে হলে বা বদলাতে গেলে কাউকে পরিচয়পত্র দেখাতে হবে না। নির্দিষ্ট কোনো ফরমও পূরণ করতে হবে না। তবে একবারে একজন ব্যক্তি মোট দশটি ২০০০ রুপির নোট অর্থাৎ ২০ হাজার রুপি ব্যাংকে জমা কিংবা বদলাতে পারবেন।

আরবিআই বলছে, কারও কাছে ২ হাজার রুপির নোট থাকলে তা ২৩ মে থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ব্যাংকে জমা করতে হবে। ব্যাংকটির ১৯টি আঞ্চলিক অফিসে এবং বিভিন্ন ব্যাংকে ২ হাজার রুপির নোট বদল করা যাবে। কেউ চাইলে ২ হাজার রুপির নোট জমাও রাখতে পারবেন ব্যাংকে। প্রয়োজনে নোট বদল করার সময় আরও বাড়ানো হবে বলেও জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।

২ হাজার রুপির নোট প্রত্যাহারের ঘোষণাটি ভারতবাসীকে আবারও ২০১৬ সালের ঘটনা মনে করিয়ে দিয়েছে। ওই বছর রাতারাতি দেশের চলমান মুদ্রার ৮৬ শতাংশ প্রত্যাহার করে নিয়েছিল নরেন্দ্র মোদির সরকার। যা দেশটির মানষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল।

তবে এবার নোট প্রত্যাহার করে নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে— অর্থনীতিতে সেটির বড় কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন দেশটির অর্থনীতিবিদ এবং বিশ্লেষকরা। কারণ এ নোটগুলো ধীরে ধীরে প্রত্যাহার করা হবে।

২০১৬ সালে পুরোনো মুদ্রা প্রত্যাহারের কারণে যে শূন্যস্থান সৃষ্টি হয়েছিল সেটি দ্রুত পূরণে ২ হাজার রুপির নোট বাজারে ছাড়া হয়েছিল। কিন্তু কয়েকদিন পরই ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, তারা এ নোটের প্রচলন কমাতে চায়। এমনকি গত ৪ বছরে নতুন করে ২ হাজার রুপির একটি নোটও ছাপানো হয়নি। ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ‘সাধারণ মানুষও এই বড় নোট খুব বেশি ব্যবহার করতেন না।’

এখন কেন প্রত্যাহার করা হলো?
ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্দিষ্ট করে জানায়নি, কেন এই সময়ে ২ হাজার রুপির নোট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতে সামনে সাধারণ নির্বাচন আসছে। আর নির্বাচনের আগে অবৈধ লেনদেন বেড়ে যায়। এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই ২ হাজার রুপির নোট প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এল অ্যান্ড টি ফিন্যান্স হোল্ডিংসের প্রধান অর্থনীতিবিদ রুপা রেগে নিতসুরে বলেছেন, ‘সাধারণ নির্বাচনের আগে এ ধরনের সিদ্ধান্ত খুবই বুদ্ধিমানের কাজ। যারা এসব নোট জমা করছিল তারা এখন অসুবিধার মুখে পড়বে।’

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে প্রভাব পড়বে?
ভারতে ২ হাজার রুপির নোটের মূল্যমান হলো ৩ দশমিক ৬২ ট্রিলিয়ন রুপি (৪৪ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার)। বর্তমানে দেশটিতে যত মুদ্রা রয়েছে এই সংখ্যাটি সেটির ১০ দশমিক ৮ শতাংশের সমান।

অর্থনীতিবিদ রুপা রেগে নিতসুরে বলেছেন, ‘এই নোট প্রত্যাহারের কারণে বড় ধরনের কোনো সমস্যা দেখা যাবে না। কারণ বাজারে ছোট সংখ্যার পর্যাপ্ত নোট রয়েছে। এছাড়া গত ৬-৭ বছরে ডিজিটাল লেনদেন এবং ই-কমার্স খাত অনেক বেশি সমৃদ্ধ হয়েছে।’

আইনিউজ/ইউএ

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়