আইনিউজ ডেস্ক
আপডেট: ২১:২০, ২৪ জুন ২০২১
গ্রামবাসি মেরে ফেলে মা গোখরাকে, ডিম ফোটে জন্ম নিলো ৪৪টি বাচ্চা
গত ৩১ মে যশোর সদর থানার গাঁওঘরা গ্রামের জনৈক এক ব্যক্তি তার বসত বাড়ির কয়েকটি মেহগনি গাছ বিক্রি করেন। মেহগনি গাছ কাটার পর গাছের গুঁড়ির নিচে থেকে একটি খৈয়া গোখরা সাপ বের হয়ে আসে এবং উৎসুক জনতা সাপটিকে মেরে ফেলে।
পরবর্তীতে গাছের গুঁড়ির নিচে মাটির ভিতর গোখরা সাপের ডিম ও অপর একটি গাছের গুঁড়ির নিচে মাটির ভিতর ঢোঁড়াসাপের ডিম দেখতে পায় যা, উৎসুক জনতা নষ্ট করতে চাইলে রক্সি নামের স্থানীয় এক বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র ডিমগুলো নষ্ট না করতে বাধা প্রদান করেন ও দ্রুত বন্যপ্রাণী ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিটের পরিচালক জহির আকনকে জানায়।
পরে ৪৭ টি খৈয়া গোখরার ডিমগুলো স্থানীয় বনবিভাগের সহযোগিতায় উদ্ধার করে গাজীপুরের শেখ কামাল ওয়াইল্ডলাইফ সেন্টারে পাঠানো হয়।
শেখ কামাল ওয়াইল্ডলাইফ সেন্টারের কর্তৃপক্ষ প্রাকৃতিক ভাবে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানোর ব্যবস্থা গ্রহন করে এবং অবশেষে গত ২০ তারিখ প্রথম একটি খৈয়া গোখরা সাপের বাচ্চা জন্ম নেয় এবং পরবতীতে ২৩ তারিখ পযন্ত মোট ৪৪টি খৈয়া সাপের বাচ্চা পৃথিবীতে আসে যা সফলতার হারে প্রায় ৯৪%।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শেখ কামাল ওয়াইল্ডলাইফ সেন্টার গাজিপুরের হারপেটোলজিস্ট মো. সোহেল রানা জানান, বাচ্চাগুলোর যত্ন নেওয়া হচ্ছে। পরে তাদের কি করা হবে সে সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি।
সদ্য জন্ম নেওয়া বাচ্চাদের সম্পর্কে তিনি আরও জানান, প্রতিটি বাচ্চা ২০-৩০ সেমি লম্বা হয়। দেহ লম্বা ও মোটাসোটা। পুরুষ গোখরা লম্বা ও শক্তিশালী। মাথা চ্যাপ্টা ও ত্রিকোণাকার। দেহের উপরটা ধূসর-বাদামি বা বাদামি-কালো; ফণার পেছনে চশমার মতো ছোপ রয়েছে।
তবে দেহের রং ও ফণার ছোপের ধরনে ভিন্নতা থাকতেও পারে। দেহের নিচের রং হালকা, গলায় কালো দাগ বা ব্যান্ড থাকে। ফণা তোলার সময় ঘাড় প্রসারিত করতে পারে। এপ্রিল থেকে জুলাই মাস এদের প্রজননকাল।
আইনিউজ/রিপন দে/এসডি
- ফুল | Flower | Eye News
- বিলুপ্ত প্রজাতির গন্ধগোকুল উদ্ধার; লাউয়াছড়ায় অবমুক্ত
- টর্নেডো: কি, কেন কীভাবে?
- শুশুক বাঁচলে বেঁচে যায় গোটা জলজ জীবন চক্র
- ফুল ছবি | Flower Photo | Download | Eye News
- ঘুমন্ত মানুষের ঘামের গন্ধে আসে এই সাপ, দংশনে নিশ্চিত মৃত্যু
- পটকা মাছ বিষাক্ত কিনা বুঝবেন যেভাবে
- পাখির ছবি । Bird Photo | Eye News
- ফ্রি ডাউনলোড-গোলাপ ফুলের ছবি
- পটকা মাছ কেন বিষাক্ত?