Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৩ জুলাই ২০২৫,   আষাঢ় ১৯ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:২০, ১ আগস্ট ২০২০

কেমন আছেন আবরারের মা?

সংগৃহীত

সংগৃহীত

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েট শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বিকে পিটিয়ে হত্যা করেছিল ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী।

নৃশংস সেই হত্যার ঘটনা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। এভাবে এক সম্ভাবনাময় তরুণের মৃত্যুর স্মৃতি ভোলার নয়। একজন মায়ের জন্য তা আরো কষ্টের। কষ্ট আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজেরও।   

মা-বাবার দুই সন্তানের মধ্যে তিনি বড়। সবসময় ছোট ভাইকে আগলে আগলে রাখতেন। মায়ের দুই নয়ন ছিলেন তার দুই ছেলে। কিন্তু আজ সেই দুচোখে শুধু জল।

শনিবার ঈদুল আজহার আগের দিন শুক্রবার তিনি ছবিসহ জানিয়েছেন সেই বেদনার কথা।  আবরার ফাইয়াজ তার ফেইসবুকে লেখেন-

'আজ পবিত্র ঈদুল আযহা।

এবার অবশ্য গ্রামে এসেছি।

সাধারণত আগে আম্মু, ভাইয়া, আমি ঈদ করতে গ্রামে আসতাম। আব্বু বাসায় থাকত। আব্বু এবারো বাসায় আছে। আমি আর আম্মু গ্রামের বাড়িতে। আমরা ৯ ভাইবোনই গ্রামে থাকি এই সময়ে। কিন্তু এবার ৮ জন।

বাড়ির বড় ছেলে হিসাবে প্রায় সবকিছুতেই ও সামনে থাকতো।এবার ভিন্ন। এবার ভাইগুলা আমার দিকে তাকাচ্ছে, কিন্তু আসলে আমি কার দিকে তাকাবো সেটাই বুঝছি না। ছোট থেকে খুব একটা সিরিয়াস মাইন্ডের মানুষও না আমি... সব বিষয়ে ভাইয়াই বলতো কখন কী করব, কই যাবো। গ্রামে একা একা গেছি এমন জায়গাও কম। কিছু বছর ধরেই ঈদগুলো মূলত ভাইয়ার সাথে গল্প করেই কাটত ।

সবচেয়ে খারাপ অবস্থা আম্মুর। বাড়ি আসার পর এক মুহূর্তের জন্যও চোখ পানি ছাড়া দেখলাম না। একটু পরপরই বলে উঠছে "সবাই আসছে, রাব্বি আসে নাই, রাব্বি তো আর নাই, আর কোনো দিন আসবেও না। ঘুমানোর আগ পর্যন্ত ও আর আসবে না আসবে না বলছিল"।

বাড়ির সবাই কিংবা আশেপাশের সবাই ও কেমনভাবে তাকাচ্ছে যেন।

গত বছর ও কুরবানীর ঈদের আগের দিন সবাই মিলে কত মজা করছিলাম... ভাইয়া নিজেই সবাইকে নিয়ে খেতে গেল। সেই দিন কীভাবে যেন ভাইয়া অনেক দিনের প্রিয় এই টুপিটা হারিয়ে ফেলেছিল।

কোনোদিন আর সেভাবে ঈদ করা হবে না।

সবাই দোয়া করবেন ওর জন্য। সামনে যেন দ্রুতই বিচার শেষ হয় সেজন্যও।

ঈদ মোবারক।'

আইনিউজ/এসডিপি

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়