হেলাল আহমেদ
আপডেট: ১৬:৪১, ২ আগস্ট ২০২২
শুশুক বাঁচলে বেঁচে যায় গোটা জলজ জীবন চক্র

শুশুক বা ডলফিনকে আঞ্চলিক ভাষায় হুম মাছ/হু মাছ নামে ডাকলেও, আসলে এরা মাছ প্রজাতীর প্রাণী নয়। এরা শান্ত স্বভাবের বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন জলজ স্তন্যপায়ী প্রাণী। বলা হয় শুশুক জলে অধিক থাকা মানে সুস্থ-সনল মাছের আধিক্য হওয়া। শুশুক বাঁচলেই রক্ষা পাবে জলজ জীবনচক্র।
বাংলাদেশের মিঠাপানির নদ-নদী, শাখা নদী, বড় খাল, ও গভীর জলাধার শুশুক/ডলফিনের উপযুক্ত আবাসস্থল ও নিরাপদ বিচরণক্ষেত্রে। এদেরকে বলা হয় জলজ পরিবেশের সুস্থতার নির্দেশক। কারণ, যে জলাধারে ডলফিন থাকে সেখানে জীবনচক্রের ভারসাম্য রক্ষা হয়। এতে মাছের সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পায় তেমনি পরিবেশ এদের উপস্থিতি ও আচরণ পানির গুণগতমান ও পরিবেশের ভালো-মন্দ অবস্থার তথ্য দেয়। তাই বিপন্নপ্রায় এই শুশুক/ডলফিন রক্ষা করা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব।
কেন শুশুক বা ডলফিন রক্ষা করা দরকার?
- পানি দূষণ রোধ করে জলজ পরিবেশ সুস্থ রাখে।
- জলজ বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য ও জীববৈচিত্র্যকে সমৃদ্ধ করে।
- দুর্বল ও রোগাক্রান্ত মাছ খেয়ে অন্যান্য সুস্থ মাছের মধ্যে সংক্রমণ রোধ করে।
- শুশুক জলে অধিক থাকা মানে অধিক সুস্থ-সবল মাছের আধিক্য হওয়া।
- এরা বাঁচলেই রক্ষা পাবে জলজ জীবনচক্র।
শুশুক শিকার বা হত্যার শাস্তি:
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ অনুযায়ী- শুশুক বা ডলফিন শিকার/হত্যা করা, পাচার কিংবা ক্রয়-বিক্রয় করা আইনত: দণ্ডনীয় অপরাধ। এরূপ অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি ৫ বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা।
আইনিউজে আরও পড়ুন-
- এবার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে চলে এসেছে তিমি
- ঘুমন্ত মানুষের ঘামের গন্ধে আসে এই সাপ, দংশনে নিশ্চিত মৃত্যু
- মারবেল ক্যাট: শ্রীমঙ্গলে দেশের একমাত্র এবং সবচেয়ে বিরল বিড়াল
- তৌহিদ পারভেজ বিপ্লবের ক্যামেরায় সুন্দরবনের চিত্রা হরিণ
- পটকা মাছ কেন বিষাক্ত?
- পটকা মাছ বিষাক্ত কিনা বুঝবেন যেভাবে
- মাছরাঙা হত্যা: যুবকের বিরুদ্ধে মামলা
- মৌলভীবাজারে গরুর দলের সাথে চিত্রা হরিণ শাবক...
- গ্রামবাসি মেরে ফেলে মা গোখরাকে, ডিম ফোটে জন্ম নিলো ৪৪টি বাচ্চা
- সাপুড়ের বাড়ি থেকে কিং কোবরা, খৈয়া গোখরাসহ কালনাগিনী উদ্ধার