শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা শাবিপ্রবির সম্যক ব্যাচের
ফাইল ফটো
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তুলে ধরা দাবিসমূহ পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ ব্যাচের (সম্যক) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানান, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৩ ডিসেম্বর শাবিপ্রবি প্রশাসনের গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আমাদের দুই সেমিস্টারের জন্য টিউশন ফি (সেমিস্টার প্রতি ৪০০ টাকা) এবং যাতায়াত ফিসহ (সেমিস্টার প্রতি ৫৩০ টাকা) সর্বমোট মওকুফ করা হয়েছে ১৮৬০ টাকা। কিন্তু প্রতি সেমিস্টারে আমাদের সেমিস্টার ফি এবং ক্রেডিট ফি দিতে হয় প্রায় ৫০০০ টাকা। যা, দুই সেমিস্টার মিলিয়ে সর্বমোট ১০০০০ টাকা। অর্থাৎ আমাদের মওকুফ করা হয়েছে মাত্র প্রায় ১৮.৬০%।
কিন্তু আমাদের দাবি ছিলো সকল ধরনের ফি (সেমিস্টার ফি এবং ক্রেডিট ফি) ৭০% মওকুফ করতে হবে। এবং যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা আমাদের প্রতিটি দাবি ও একটি প্রশ্নের যথোপযুক্ত জবাব না পাচ্ছি, আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
তবে, রাষ্ট্রীয় সকল প্রকার সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নেবো। তবে সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে মিল রেখে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬২তম একাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ে হল বন্ধ রেখে ১৭ জানুয়ারীর মধ্যে পরীক্ষা চালুসহ বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় একাডেমিক কাউন্সিল সদস্যরা।
তবে একাডেমিক সভার বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সাথে একমত না হওয়ায় ৫দফা দাবি জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর শাবিপ্রবির ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বরাবর স্মারকলিপি দেয় ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের (সম্যক ব্যাচ) শিক্ষার্থীরা। এবং ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এসকল দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আল্টিমেটামও দেয় তারা।
কিন্তু ৪৮ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কোন জবাব না পাওয়ায় আল্টিমেটাম শেষে আন্দোলন চালিয়ে আসছে তারা।
পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে, গত ২৩ ডিসেম্বর শাবিপ্রবি প্রশাসন শিক্ষার্থীদের আর্থিক বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্তসমূহ হল- ১) জানুয়ারী-জুন এবং জুলাই-ডিসেম্বর, এ দুই সেমিস্টারের বেতন (টিউশন ফি) এবং পরিবহন ফি সম্পূর্ণ মওকুফ করা। ২) পরিক্ষার্থীগণ সেমিস্টার ফি ও ক্রেডিট ফি পরীক্ষার পূর্বে পরিশোধে অপারাগ হলে তা পরবর্তিতে পরিশোধ করা যাবে। এজন্য কোন জরিমানা দিতে হবে না। ৩) কোর্স রেজিস্ট্রেশনের জন্য সংশ্লিষ্ট হলের ছাড়পত্রের প্রয়োজন হবে না।
তবে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তসমূহে শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়িত হয়নি জানিয়ে আন্দোনল চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয় তারা।
সার্বিক বিষয়ে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এর কাছে জানতে চাইলে, তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের ৫দফা দাবি সমূহ হলো- অফলাইন রিভিউ ক্লাসের (থিওরি এবং ল্যাব) জন্য প্রতি সেমিস্টারের পূর্বে এক মাস সময় দিয়ে থিওরি পরীক্ষা শেষে ল্যাব পরীক্ষা নিতে হবে। পরীক্ষার সময় প্রতি ক্রেডিটে দুইদিন করে বিরতি দিতে হবে।শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নাম্বার ১০০% দিতে হবে।
সকল ধরনের ফি ৭০ শতাংশ মওকুফ করে পরীক্ষা শুরুর তিন কার্যদিবস আগ পর্যন্ত কোনো প্রকার জরিমানা ছাড়া পরিশোধযোগ্য হতে হবে। সকল আবাসিক হল খুলে দিতে হবে।
তাছাড়া চলমান সকল সেমিস্টারের পরীক্ষাসংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। দাবি মেনে নেওয়া হবে এই শর্তসাপেক্ষে পরীক্ষা পদ্ধতি পূর্বের ন্যায় রাখতে হবে। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কোন শিক্ষার্থী কোভিড -১৯ এ আক্রান্ত হলে প্রশাসনের করণীয় কী হবে?
জিএম ইমরান হোসেন/ শাবিপ্রবি/ আইনিউজ
- মাস্টার্স পরীক্ষার ফলাফল ২০২৩
- এসএসসি বোর্ড চ্যালেঞ্জ এর রেজাল্ট ২০২৩
- এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩ | এসএসসি ফলাফল
- অনার্স ১ম বর্ষ পরীক্ষা রুটিন ২০২৩
- এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩ কবে হবে
- চবি ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩
- ‘বাঁচতে চাইলে পরীক্ষায় এ্যাটেন্ড কর’, ছাত্রীকে শাবি শিক্ষক
- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩
- কেন পড়ব সমাজকর্ম?
- মধ্যরাতে শাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ