Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ০৪ আগস্ট ২০২৫,   শ্রাবণ ২০ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:৫৭, ২৬ ডিসেম্বর ২০২০
আপডেট: ১৮:০৭, ২৬ ডিসেম্বর ২০২০

এইচএসসির ফল প্রকাশ জানুয়ারিতে

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল তৈরির নীতিমালা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এখনো অনুমোদন না হওয়ায় চলতি মাস ডিসেম্বরে প্রকাশের কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে শিক্ষা বোর্ডের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আগামী বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝিতে ফল প্রকাশ করা হতে পারে।

এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যপক এস এম আমিরুল ইসলাম বলেন, ফলাফল তৈরির নীতিমালা অনুমোদন হলে পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যে এইচএসসির ফলাফল তৈরির কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। আমাদের সব প্রস্তুতি রয়েছে।

করোনা পরিস্থিতির কারণে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা বাতিল করা হয়। অপেক্ষামান সব পরীক্ষার্থীকে অটোপাশ দেয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ডিসেম্বরের মধ্যে এ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের কথাও জানান তিনি।

পাশাপাশি অটোপাশের ফল তৈরিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের সমন্বয়ে আট সদস্যের গ্রেড মূল্যায়ন টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়। চলতি মাসের শুরুতে কমিটি ফলাফল তৈরিতে জিপিএ গ্রেড নির্ণয়ের বেশ কয়েকটি প্রস্তাবের সমন্বয়ে একটি গাইডলাইন তৈরি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল পিছিয়ে যাচ্ছে। তার অসুস্থার কারণে টেকনিক্যাল কমিটির প্রস্তাবিত গাইডলাইন অনুমোদন দেয়া সম্ভব হয়নি। সেটি অনুমোদন হলে তার আলোকে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে সফটওয়্যারের মাধ্যমে ফলাফল তৈরি করা হবে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সচিব তপন কুমার শনিবার বলেন, ফল প্রকাশে বিশেষজ্ঞদের দেওয়া প্রস্তাব আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি, সেটি এখনো অনুমোদন দেয়া হয়নি। সেটি এলে আমরা কাজ শুরু করব। তিনি বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা সম্ভব না হলেও পরবর্তী মাসে তা হতে পারে। যেহেতু খাতা মূল্যায়নের কাজ নেই, তাই এক সপ্তাহের মধ্যে সব কাজ শেষ করে ফলাফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে।

টেকনিক্যাল কমিটির প্রস্তাব অনুযায়ী, জেএসসি পরীক্ষার ফলে ২৫ শতাংশ এবং এসএসসি পরীক্ষার ফলে ৭৫ শতাংশ নম্বর মূল্যায়ন করা হবে। তবে যারা জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি তাদের ক্ষেত্রে এসএসসির ফলকে কেন্দ্র করে নম্বর নির্ধারণ করা হবে। বিষয় ভিত্তিক উন্নতির ক্ষেত্রে আগের ক্লাসের সেই বিষয়ের ফল মূল্যায়ণ করা হবে। তবে আগের দুই পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেলেও বিষয় ভিত্তিক সর্বোচ্চ নম্বর না থাকলে সে ক্ষেত্রে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ থেকে অনেকে পিছিয়ে পড়তে পারে।

Green Tea
সর্বশেষ