নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজ নিজ স্কুলে করোনার টিকা পাবে শিক্ষার্থীরা
কয়েকটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের একসঙ্গে করে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সরকার। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ স্কুলেই পাবে করোনাভাইরাসের টিকা।
বৃহস্পতিবার বিকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি রাজধানীর মহাখালীতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে ‘বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ ২০২১’ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছিলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা এতদিন চার-পাঁচটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের একটি স্কুলের মাধ্যমে টিকা দিয়েছি। এক্ষেত্রে আমরা দেখছি যে, নিবন্ধনসহ নানা বিষয়ে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। তাই আমরা সারাদেশের প্রতিটি স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, যেসব স্কুলে করোনাভাইরাসের টিকাদান কেন্দ্র নেই, আমরা কেন্দ্র করতে পারিনি, ওই স্কুলে আমাদের টিম চলে যাবে, সেখানে টিকা দেবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন যে কেন্দ্রগুলোয় টিকা দেওয়া হচ্ছে, তাও চলবে। স্কুলের শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে, সেটাই দেওয়া হবে।’
গত ১৪ অক্টোবর মানিকগঞ্জের কয়েকটি স্কুলের ১২০ জন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষামূলকভাবে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়৷ তাদের কারও কোনো সমস্যা না হওয়ায় ১ নভেম্বর থেকে সারাদেশে স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনার কাজ শুরু হয়৷
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, সিনোভ্যাকের সাত কোটি ডোজের বেশি টিকা কিনছে বাংলাদেশ। চলতি মাসেই এই টিকা আসা শুরু হতে পারে। ইতিমধ্যে নয় কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, করোনার দুঃসময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সব মানুষের জন্য ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। আজ পর্যন্ত দেশের জন্য ২১ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন কেনা হয়েছে। এর মধ্যে আট কোটি ডোজ ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে। হাতে দুই কোটির বেশি ভ্যাকসিন আছে।
মন্ত্রী বলেন, দেশের সাধারণ মানুষের পাশাপাশি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বস্তিবাসীদেরও ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। এসব কারণে দেশ এখন নিরাপদ আছে। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল আছে, স্কুল-কলেজ খোলা রয়েছে, ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিক অবস্থায় চলে এসেছে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক গ্রহণ আমাদের দেহে চিকিৎসার অতি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্টেন্স দেখা যাচ্ছে। যা অত্যন্ত বিপদজনক। হাস-মুরগির ফার্ম বা মাছের ফার্মে এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার, গবাদি পশুর খাদ্যেসহ নানাভাবে এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ হয়ে থাকে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কিছু অসাধু ফার্মেসি বা ওষুধ কোম্পানিও এগুলো উপযুক্ত চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই মানুষকে নিতে উদ্বুদ্ধ করছে। এটি একটি অপরাধমূলক কাজ। ইতিমধ্যেই আমরা বেশকিছু ফার্মেসি ও ওষুধ কোম্পানি বন্ধ করে দিয়েছি। আগামীতেও এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কঠোর নজরদারি রাখবে।
- মাস্টার্স পরীক্ষার ফলাফল ২০২৩
- এসএসসি বোর্ড চ্যালেঞ্জ এর রেজাল্ট ২০২৩
- এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩ | এসএসসি ফলাফল
- অনার্স ১ম বর্ষ পরীক্ষা রুটিন ২০২৩
- এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩ কবে হবে
- চবি ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩
- ‘বাঁচতে চাইলে পরীক্ষায় এ্যাটেন্ড কর’, ছাত্রীকে শাবি শিক্ষক
- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩
- কেন পড়ব সমাজকর্ম?
- মধ্যরাতে শাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ