Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, রোববার   ১৩ জুলাই ২০২৫,   আষাঢ় ২৯ ১৪৩২

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:০৭, ৫ জুন ২০২২

পপ সম্রাট আজম খান চলে যাওয়ার এগারো বছর

পপ সম্রাট আজম খান

পপ সম্রাট আজম খান

একুশে পদকপ্রাপ্ত বাংলা পপ গানের সম্রাট আজম খান চলে যাওয়ার এগারো বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০১১ সালের এই দিনে (৫ জুন) রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে মরণব্যাধি ক্যানসারে ভুগছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আজম খান। অবশেষে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে পরাজিত হন তিনি। তারপর থেকে ৫ জুন মানে দেশের সংগীতপিপাসু মানুষের কাছে শোকের দিন। এই দিনটিতে নানাভাবে তাকে স্মরণ করে থাকেন গানপাগল মানুষরা।

আজম খান ১৯৫০ সালে ঢাকার আজিমপুরে জন্মগ্রহন করেন। বাবা সরকারী কর্মকর্তা হওয়ার সুবাদে তার ছেলেবেলা কাটে আজিমপুরের ১০নং স্টাফ কোয়ার্টারে। পরে ১৯৫৫ সালে ঢাকেশ্বরী স্কুলে ভর্তি হন। এর পরের বছরই পরিবারের সঙ্গে কমলাপুর চলে যান তিনি।

আরও পড়ুন- কেকে’র মৃত্যু : সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে ক্ষমা চাইলেন রূপঙ্কর

১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময়ে আজম খান পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠির বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। সেসময় তিনি ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠির সদস্য ছিলেন এবং পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গণসংগীত প্রচার করেন। পরবর্তীতে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়ে তিনি ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে ২ নং সেক্টরে পাকিস্তানি হানাদার শত্রু মোকাবিলায় যুদ্ধ করেন।

দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে আজম খান তার বন্ধুদের নিয়ে 'উচ্চারণ' নামের একটি ব্যান্ড দল গঠন করেন। সে বছরই বিটিভিতে 'এতো সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে' এবং 'চার কালেমা সাক্ষী দিবে' শিরোনামের গান দু'টি গেয়ে তুমুল জনপ্রিয়তা পান এই শিল্পী।

১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে 'রেল লাইনের ঐ বস্তিতে' গানটি গেয়ে সারা দেশে ব্যাপক হৈ চৈ ফেলে দেন আজম খান। তার জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে, 'ওরে সালেকা ওরে মালেকা', 'আলাল ও দুলাল', 'দিদিমা', 'এক্সিডেন্ট', 'আসি আসি বলে', 'অভিমানি', 'হাইকোর্টের মাজারে', 'পুড়ে যাচ্ছে', 'থাকবো না যেদিন' প্রমুখ।

আরও পড়ুন- ৯ জুন আর্মি স্টেডিয়ামে বসছে তারকায় ভরপুর কনসার্ট

সংগীতের পাশাপাশি ক্যামেরার সামনেও অভিনয় করেছেন তিনি। একক নাটক 'হীরা কালা বাউল' (১৯৮৬), শাহিন-সুমন পরিচালিত সিনেমা 'গডফাদার' (২০০৩) এবং ক্রাউন এনার্জি ড্রিংকসের বিজ্ঞাপনে দেখা যায় তাকে।

১৯৮৪ সালের ১৪ জানুয়ারি জোবেদা খাতুনের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন আজম খান। তাদের সংসারে দুই মেয়ে ইমা ও অরনী এবং ছেলে হৃদয় খান রয়েছে। স্ত্রীর সঙ্গে আলাদা হয়ে যাওয়ার পর একাকী জীবন কাটান এই কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী।

আজম খান দেশীয় ফোক ফিউশনের সাথে পাশ্চাত্যের যন্ত্রপাতির ব্যবহার করে বাংলা গানের এক নতুন ধারা তৈরি করেছিলেন। অনেকে তাকে বাংলাদেশের বব মার্লে বা বব ডেলান বলেও সম্মানিত করে থাকেন।

আইনিউজ/এসডিপি

লাউয়াছড়ায় ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিসীমা

কৃষক ও ফিঙে পাখির বন্ধুত্ব (ভিডিও)

পোষ মানাতে হাতির বাচ্চাকে নির্মম প্রশিক্ষণ 

Green Tea
বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ