Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, রোববার   ১৩ জুলাই ২০২৫,   আষাঢ় ২৮ ১৪৩২

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৩৫, ১১ এপ্রিল ২০২৩

সঙ্গীত শিল্পী মিতা হক চলে যাওয়ার দুই বছর 

সঙ্গীত শিল্পী মিতা হক।

সঙ্গীত শিল্পী মিতা হক।

খ্যাতিমান রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী মিতা হক চলে যাবার দুই বছর পূর্ণ হয়েছে আজ। দুই বছর আগ ২০২১ সালে মহামারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান এই গুণী শিল্পী। আজ মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) তাঁর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী।  

সঙ্গীত শিল্পী মিতা হক করোনা আক্রান্ত হবার পর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে  চিকিৎসাধীন ছিলেন। শুরু থেকেই তাঁর শারিরীক অবস্থা খারাপ থাকায় লাইফ সাপোর্টে রাখতে হয়েছিল। ১১ এপ্রিল ভোর ৬টা ২০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

এদিন সকালে মিতা হকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন তার জামাতা অভিনেতা মোস্তাফিজ শাহীন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘মিতা হক সকাল সোয়া ৬টায় চলে গেলেন। সবাই ভালোবাসা আর প্রার্থনায় রাখবেন।’

মিতা হক ১৯৬২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রয়াত অভিনেতা খালেদ খানের স্ত্রী। তার চাচা দেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অগ্রপথিক ও রবীন্দ্র গবেষক ওয়াহিদুল হক। মেয়ে জয়িতাও রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী।

মিতা হক প্রথমে তার চাচা ওয়াহিদুল হক এবং পরে ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খান ও সনজীদা খাতুনের কাছে গান শেখেন। ১৯৭৪ সালে তিনি বার্লিন আন্তর্জাতিক যুব ফেস্টিভালে অংশ নেন। ১৯৭৬ সাল থেকে তবলা বাদক মোহাম্মদ হোসেন খানের কাছে সংগীত শেখা শুরু করেন। ১৯৭৭ সাল থেকে আমৃত্যু তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে সংগীত পরিবেশন করেন।

সুরতীর্থ নামে একটি সংগীত প্রশিক্ষণ দল গঠন করে সেখানে পরিচালক ও প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেন মিতা হক। এছাড়া তিনি ছায়ানটের রবীন্দ্রসংগীত বিভাগের প্রধান ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ বেতারের সর্বোচ্চ গ্রেডের তালিকাভুক্ত শিল্পী ছিলেন। ১৯৯০ সালে বিউটি কর্নার থেকে প্রকাশিত হয় তার প্রথম রবীন্দ্রসংগীতের অ্যালবাম ‘আমার মন মানে না’।

ক্যারিয়ারে প্রায় ২০০টি রবীন্দ্রসংগীতে কণ্ঠ দিয়েছেন মিতা হক। তার এককভাবে মুক্তি পাওয়া মোট ২৪টি অ্যালবাম আছে। এর মধ্যে ১৪টি ভারত থেকে ও ১০টি বাংলাদেশ থেকে। তিনি ২০১৬ সালে শিল্পকলা পদক লাভ করেন। সংগীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০২০ সালে একুশে পদক প্রদান করে।

আই নিউজ/এইচএ 

Green Tea
বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ