Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০১ মে ২০২৫,   বৈশাখ ১৮ ১৪৩২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:১৩, ৯ নভেম্বর ২০২৩
আপডেট: ১২:১৬, ৯ নভেম্বর ২০২৩

হামাস-ইসরায়েলে দুই পক্ষই যুদ্ধাপরাধী

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ভোলকের তুর্ক। ছবি- সংগৃহীত

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ভোলকের তুর্ক। ছবি- সংগৃহীত

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারের দফতর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) উভয়কেই যুদ্ধাপরাধী বলে মনে করে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ভোলকের তুর্ক বলেছেন, “গত ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলে যে সহিংসতা চালিয়েছে, তা কেবল ঘৃণ্য, নিষ্ঠুর এবং বেদনাদায়কই নয়; বরং যুদ্ধাপরাধ। কারণ, তারা এখনও শতাধিক জিম্মিকে আটকে রেখেছে।”

একইভাবে সেই হামলার জবাবে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) গত এক মাস ধরে গাজায় বোমা বর্ষণ ও সাধারণ ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরের মাধ্যমে যে সামষ্টিক শাস্তি দিয়ে চলেছে, তা ও যুদ্ধাপরাধের পর্যায়ে পড়ে, যোগ করেন তিনি।

মঙ্গলবার গাজা ও মিশর উপত্যকার সীমান্তপথ রাফাহ ক্রসিং পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন ভোলকের তুর্ক।

জাতিসংঘের হাই কমিশনার বলেন, ইসরায়েল, গাজা ও পশ্চিম তীরের বাসিন্দারা যে অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, তাকে এই অঞ্চলের গত ৫৬ বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে বিপজ্জনক পর্যায় বলা যায়। 

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। সেই অভিযান এখনও চলছে।

হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছে দেড় হাজারেরও বেশি ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। এছাড়া হামলার প্রথম দিনই ইসরায়েল থেকে প্রায় আড়াইশ’ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যায় হামাস। অন্যদিকে, ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর অভিযানে গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১০ হাজার। এই নিহতদের অর্ধেকেরও বেশি শিশু ও নারী।

এই যুদ্ধ শুরুর এক সপ্তাহ পর জাতিসংঘের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর সংস্থা নিরাপত্তা পরিষদে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাব উত্থাপন করে রাশিয়া। সেই প্রস্তাবে সমর্থন জানায় চীনও। বর্তমানে জাতিসংঘ, ইসলামি বিশ্ব ও বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তের দেশও গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য সোচ্চার আহ্বান জানিয়ে আসছে। 

আই নিউজ/এইচএ 

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়