Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০১ মে ২০২৫,   বৈশাখ ১৮ ১৪৩২

প্রকাশিত: ১৬:৪৬, ৮ জুন ২০১৯
আপডেট: ১৭:১৪, ৮ জুন ২০১৯

পৃথিবীর আসন্ন ধ্বংসের সাক্ষ্য দিলো স্যাটেলাইট ইমেজ

আইনিউজ ডেস্ক : বনাঞ্চলে চোখ পড়লেই দেখা যায় কালো কালো গাছের গুঁড়ি। অথচ এই গুঁড়ির উপরে ছিলো সবুজে ঘেড়া অক্সিজেনের খনি। সাইক্লোন বিনাশী হাতিয়ার। প্রকৃতি রক্ষাকারী এসব গাছ হত্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সেই গাছ হত্যার সাক্ষ্য দিচ্ছে বিভিন্ন জায়গার কালো গুঁড়িগুলো। আর এরফলে হচ্ছে পরিবেশের পরিবর্তন। বাড়ছে ভূপৃষ্ঠের উষ্ণতা। বৃষ্টিপাতও কমছে তার সাথে। এক কথায় বলতে গেলে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বাড়ছে সমুদ্রের জলস্তর, সাইক্লোনের শক্তি মাথা চারা দিয়ে উঠছে। স্যাটেলাইট ক্যামেরায় ধরা পড়েছে পৃথিবীর আসন্ন ধ্বংসের সেই ছবি। জলবায়ূর এ উষ্ণায়নের পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে আছে দক্ষিণ এশিয়া। ভারতের রাজস্থানের তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি পেরিয়ে গেছে। কেরালায় যেখানে জুন শুরুর আগেই বর্ষা শুরু হয়ে, সেখানে ৮ তারিখেও বর্ষার দেখা নেই। শুকিয়ে গেছে হিমালয়ের অনেক নদী। মাত্রাতিরিক্তভাবে গলছে তুষার। পরিবেশবিদগণ বারবার বলেছিলেন, উষ্ণায়নের ফলে অনেক স্থানের জল শুকিয়ে যাচ্ছে। তার প্রমাণ  দিয়েছে স্যাটেলাইট ইমেজ। মধ্য চিলির অ্যাকুলিওর নামক একটি লেকের ছবিতে দেখা গেছে হ্রদ একেবারে শুকিয়ে গিয়েছে। ছবিটি এ বছরের। ২০১৪ সালে একটি ছবি নেওয়া হয়েছিল যাতে হ্রদের জল কিছুটা হলেও ছিল। কিন্তু এবছর তা সম্পূর্ণ খালি। বাংলাদেশও এর বাইরে নেই। কবি সৈয়দ শামসুল হক এর  'তেরো শত নদীর দেশ' এর নদীর পরিমান এখন হাতে গুণা যায়। সমুদ্রের উচ্চতাও দিনদিন বেড়ে যাচ্ছে। যার ফলে ঘনঘন ভূকম্পন, বন্যা, খরা, জলোচ্ছ্বাস, সাইক্লোন, সিডর এবং ফনীর মত মরন ঘাতক দূর্যোগের মুখোমুখী হতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির একটি স্যাটেলাইট ইমেজে খয়েরি রং ধারণ করেছে অনেক এলাকার পার্ক। সবুজতা হারিয়েছে উদ্ভিদ জগৎ। ১৯৮৪ ও ২০১২ সালের মধ্যে সমুদ্রের অবস্থা অনেক বদল হয়েছে। আর সবটাই হয়েছে উষ্ণায়নের প্রভাবে। ২০১২ সালে সুমেরু মহাসাগরে সবচেয়ে কম বরফ জমেছে। সুমেরুর ১৯৭৯ সাল থেকে এত কম কখনও হয়নি  ২০১২ সালে যে পরিমান টা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা ধারণা, এবার গরমে হয়তো সম্পূর্ণ বরফহীন হয়ে যাবে সুমেরু মহাসাগর। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও আবহাওয়ার পরিবর্তন প্রাকৃতিক সম্পদ, বিশেষত পানির সমস্যাটা অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই প্রকৃতি তার ভার্সাম্য রক্ষা করতে পারছে না। এর প্রমাণস্বরূপ লস ভেগাস শহরের নিয়ত বেড়ে ওঠা দেখিয়েছে স্যাটেলাইট ইমেজ। ১৯৭২ সালের লস ভেগাস,২০১৭ সালে আকারে, আয়তনে অনেক বেড়ে গেছে। উষ্ণতা বৃদ্ধির সাথে সুমেরুর বরফ গলতে শুরু করে দিয়েছে। খুব দ্রুতহারে গলে যাচ্ছে বরফ। এর ফলে শৈল প্রাচীরের ঘনত্ব কমছে। এন্টার্কটিকার ব্র্যান্ট আইস সেল্ফ এ গত ৩৩ বছরে একটি পরিবর্তন এসেছে। বরফ ক্রমশ গলছে আন্টার্কটিকাতেও। এর মধ্যে অনেক জায়গার বরফ শূন্য হয়ে গিয়েছে। এসটি/ইএন
Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়