প্রথম ওয়ানডে : জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ২১৬ রান

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ প্রায় সাত মাস পর ওয়ানডে খেলতে নেমেছে টাইগাররা।

যেখানে টাইগারদের বোলিং তোপে খুব বেশি রান করতে পারেনি আফগানরা। নির্ধারিত ৫০ ওভারও খেলতে পারেনি আফগানিস্তান। ৪৯.১ ওভারে অল আউট হওয়ার আগে দলটির সংগ্রহ ২১৫ রান।

বাংলাদেশ এই সিরিজ জিতলে থাকছে ওয়ানডে সুপার লিগের শীর্ষে উঠার সুযোগ। এমন সমীকরণের সামনে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদী।

আফগানিস্তানের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই আসে সাফল্য। মুস্তাফিজুর রহমানকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে তামিম ইকবালের তালুবন্দী হন গুরবাজ। এর আগে তিনি করেন ৭ রান।

আরও পড়ুন- বুস্টার ডোজ নেওয়ার পর পাঁচ গুণ অ্যান্টিবডি : গবেষণা

তবে এরপর রহমত শাহ ও ইব্রাহিম দুজন মিলে দলকে ধীরে ধীরে এগিয়ে নিতে থাকেন। দুজনে গড়েন ৪৫ রানের জুটি। ১৯ রান করা ইব্রাহিমকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন শরিফুল ইসলাম।

এরপর রহমত শাহ ৩৪ ও শাহিদী ২৮ রানে আউট হলে ১০২ রানেই ৪ উইকেট হারায় আফগানরা। এমন সময় আফগানদের অল্পেই অল আউট হওয়ার হাত থেকে বাঁচান নাজিবুল্লাহ জাদরান ও মোহাম্মদ নবী।

নাজিব ও নবীর ৬৩ রানের জুটিতে ম্যাচে ফেরে আফগানিস্তান। নবী আউট হন ২০ রানে। এরপর একই ওভারে গুলবাদিন নাইব ও রশিদ খানকে সাজঘরে ফেরান সাকিব আল হাসান। নাইব ১৭ রান করলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি রশিদ।

আরও পড়ুন- স্ট্রোকের আগের যে সংকেত দেয় হাত-পা

পরের ওভারে মুজিব উর রহমানকে আউট করেন মুস্তাফিজুর রহমান। এর মাঝে একপ্রান্ত আগলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন নাজিবুল্লাহ। নবম উইকেট হিসেবে আউট হওয়ার আগে এই ব্যাটার খেলেন ৮৪ বলে ৬৭ রানের ইনিংস।

নিজের শেষ ওভারের প্রথম ডেলিভারিতেই আহমাদজাইকে আউট করেন মুস্তাফিজ। এর মাধ্যমে শেষ হয় আফগানদের ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে মুস্তাফিজ তিনটি এবং তাসকিন, শরিফুল ও সাকিব দুটি উইকেট নেন। বাকী উইকেটটি শিকার করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।