Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০১ মে ২০২৫,   বৈশাখ ১৮ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:১৭, ৯ মার্চ ২০২৩
আপডেট: ১৯:০৪, ৯ মার্চ ২০২৩

প্রথম টি ২০ : ইংলিশদের হারিয়ে ৬ উইকেটের বড় জয় পেল বাংলাদেশ

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম টি টোয়েন্টিতে ৬ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। নাজমুল হাসান শান্তর হাফ সেঞ্চুরি এবং সাকিব-আফিফের নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিংয়ে সহজেই বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

শুরুতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করে ইংলিশ ব্যাটাররা। নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিং এবং ধারাবাহিক বাউন্ডারির ফলে ভালো পরিমাণ রান সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড। কিন্তু সাকিব-নাসুমদের যৌথ আক্রমণ এবং ভুলহীন বোলিং থোপে খেলার দ্বিতীয়ভাগে ধরাশয়ী হয় ইংল্যান্ড। কমে আসতে থাকে রান। শেষ পর্যন্ত ১৫৬ রান তোলতে সক্ষম হয় বাটলাররা। 

এদিকে নিজেদের ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বাউন্ডারি মেরে নিজেদের রানের খাতা খোলেন লিটন এবং দীর্ঘদিন পরে ফেরা রনি তালুকদার। 

ইংলিশদের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু করছে টাইগাররা। শান্ত ও হৃদয়ের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে স্বাগতিকরা জয়ের পথে এগোচ্ছে ভালোভাবেই।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ১১ ওভারে দুই উইকেটে ১০৭ রান। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেটে ১৫৬ রান সংগ্রহ করেছে ইংল্যান্ড।

বাংলাদেশের হয়ে রান তাড়া করতে নামেন লিটন দাস ও রনি তালুকদার। দীর্ঘ ৮ বছর পর দলে সুযোগ পাওয়া রনি প্রথম বলেই চার হাঁকিয়ে ফেরাটা রাঙান। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকেন তিনি।

দারুণ ব্যাটিংয়ে প্রথম ৩ ওভারে ৩২ রান যোগ করেন লিটন ও রনি। তবে চতুর্থ ওভারে এসেই প্রথম ছন্দপতন। লেগস্পিনার আদিল রশিদের মুখোমুখি প্রথম বলেই বোল্ড হন রনি। গুগলিতে পরাস্ত হওয়ার আগে তিনি ২১ রান করেন।

পরের ওভারে সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। জোফরা আর্চারকে পুল করতে গিয়ে ১২ রানে ক্রিস ওকসের তালুবন্দী হন এ ওপেনার। এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ও তৌহিদ হৃদয় মিলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন।

উইকেটের চারদিকে বাহারি সব শটে ২৭ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন শান্ত। তার ফিফটির পরই ২৪ রানে ফিরছেন হৃদয়।

এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এ ম্যাচে বিপিএল মাতানো তৌহিদ হৃদয়ের অভিষেক হয়েছে। এছাড়া দীর্ঘ আট বছর পর জাতীয় দলে ফিরেছেন রনি তালুকদার।

ইংল্যান্ডের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন ফিল সল্ট ও জস বাটলার। শুরু থেকেই ভালো বল দেখে খেলার পাশাপাশি বাজে বলগুলো সীমানাছাড়া করছিলেন দুজন। ডত বল কম রেখে সিঙ্গেলসের ওপরেও গুরুত্ব দিয়ে খেলতে থাকেন দুই ব্যাটার।

তার ফলও ইংল্যান্ড পেয়েছে ভালোভাবেই। যদিও ষষ্ঠ ওভারে বাটলার ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন। তবে তা তালুবন্দী করতে পারেননি সাকিব। জীবন পেয়ে আরো আক্রমণাত্মক খেলতে থাকেন ইংলিশ অধিনায়ক।

অন্যপ্রান্তে সল্ট এগোচ্ছিলেন ফিফটির দিকে। তবে নাসুম আহমেদের করা চতুর্থ ওভারের একদম শেষ ডেলিভারিতে লিটন দাসের তালুবন্দী হন তিনি। এর আগে ৩৫ বলে করেন ৩৮ রান।

তিনে নেমে মাত্র ৪ রানে আউট হন ডেভিড মালান। বেন ডাকেটও ২০ রানের বেশি করতে পারেননি। তবে একপ্রান্ত আগলে আপন গতিতে রান করতে থাকেন বাটলার। সাগরিকায় রীতিমতো ঝড় তোলেন তিনি।

মাত্র ৩২ বলে অর্ধশতকের দেখা পান বাটলার। সাজঘরে ফেরার আগে ৪২ বলে ৬৭ রান করেন তিনি। যেখানে ছিল সমান ৪টি করে বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারি। শেষদিকে ইংল্যান্ডের আর কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি।

বাংলাদেশের হয়ে হাসান মাহমুদ দুটি এবং তাসকিন আহমেদ, সাকিব আল হাসান, নাসুম আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান প্রত্যেকে একটি করে উইকেট শিকার করেন।

আই নিউজ/এইচএ 

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়