Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ০৭ জুলাই ২০২৫,   আষাঢ় ২২ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:৩৮, ২৩ অক্টোবর ২০২০

বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে সৈকতে পর্যটকরা

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

কক্সবাজারে টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। উত্তাল রয়েছে সাগরও। রয়েছে ৩নং হুঁশিয়ারি সংকেত। কিন্তু আগত অধিকাংশ পর্যটকরা বিধিনিষেধ না মেনেই সৈকতে নামছে। 

এদিকে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বেড়াতে এসে অনেক পর্যটক হোটেল কক্ষে বন্দি রয়েছেন। বৈরী আবহাওয়ার কারণে বেকার সময় পার করছেন সৈকতের সহস্রাধিক ফটোগ্রাফার ও হকার।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় সৈকতে বিপুল সংখ্যক পর্যটক আগমনের কথা। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে হোটেলে বন্দি অনেক পর্যটক। আবার অনেকেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে নেমে পড়ছেন সৈকতের পানিতে। তারা ৩ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত মানছেন না।

রবিউল হুসাইন নামে এক পর্যটক বলেন, আবহাওয়া খারাপ এটা জানতাম। কিন্তু কক্সবাজার এসে এতো পরিস্থিতি খারাপ হবে এটা জানতাম না। বৃহস্পতিবার থেকে হোটেলেই বসে দিন কাটিয়েছি। কিন্তু অবশেষে শুক্রবার বৃষ্টি উপেক্ষা করে সৈকতে চলে এলাম।

জাকিয়া নামে এক পর্যটক বলেন, কিছু ভাল লাগছিল না। তাই বৃষ্টিতে ভিজে সৈকতের বালিতে হাঁটছি আর সৈকতের বিশাল বিশাল ঢেউ উপভোগ করছি।

বিভিন্ন এলাকা থেকে ভ্রমণে আসা পর্যটকরা  বলেন, সৈকতে গোসল করতে নেমে পড়েছিলাম। কিন্তু লাইফগার্ড কর্মী ও ট্যুরিস্ট পুলিশ গোসল করতে দিলেন না। তারা নিরাপত্তার কথা বলে সৈকত থেকে উঠিয়ে দিলেন। বৈরী আবহাওয়ার কারণে আর আনন্দ করা গেল না।

পর্যটক আগমনের ওপর নির্ভর করে সংসার চলে সৈকতের ফটোগ্রাফার ও হকারদের। কিন্তু দুদিন ধরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে বেকার রয়েছেন তারা।

ফটোগ্রাফার সাকিব বলেন, বৈরী আবহাওয়া সব শেষ করে দিল। বৃষ্টির কারণে পর্যটকরা সৈকতে কম নামছে। ফলে পর্যটকদের ছবি তুলতে না পেরে মার্কেটে বসে আছি।

শামুক-ঝিনুক ব্যবসায়ী সজীব আহমেদ বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে বেচা-বিক্রি বন্ধ। এখন দোকান খুললেও পর্যটকের দেখা নেই। গত দুইদিনই বেচা-বিক্রি শূন‌্য।

আর ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় সৈকতে পর্যটকদের নামতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন লাইফ গার্ড কর্মী।

সি-সেইভ লাইফ গার্ড সংস্থার ইনচার্জ মোহাম্মদ জহির জানান, গভীর নিম্নচাপের কারণে কক্সবাজারকে ৩ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। তাই সৈকতের প্রতিটি পয়েন্টে লাল পতাকা টাঙানো হয়েছে। আর পর্যটকদের সৈকতে নামতে নিষেধ করা হচ্ছে। মাইকিংও করছি। কিন্তু অনেক পর্যটক নিষেধ অমান্য করে সৈকতে নেমে পড়ছে। তারপরও চেষ্টা করছি পর্যটকদের নিরাপত্তা দিয়ে যেতে।

কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান জানান, গভীর নিম্নচাপের কারণে সাগর উত্তাল রয়েছে। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২-৩ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। কক্সবাজারকে ৩ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আর গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ১১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এই বৃষ্টিপাত আগামী দুই/একদিন অব্যাহত থাকবে।

এদিকে, বৈরী আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় সেন্টমার্টিনে ভ্রমণে গিয়ে আটকা পড়েছেন সাড়ে ৪ শতাধিক পর্যটক।

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়