Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বুধবার   ১৬ জুলাই ২০২৫,   আষাঢ় ৩১ ১৪৩২

খেলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৩:০২, ১০ জুলাই ২০২০

সুয়ারেজের পায়ে ভর করে শিরোপার কক্ষপথে বার্সা

দলের সেরা তারকা লিওনেল মেসির দল ছাড়ার গুঞ্জণে অস্থির হয়ে উঠেছিল কাতালান শিবির। এমন সময় পা হড়কালেই হতে পারতো বিপদ, আরও ফিকে হয়ে যেত শিরোপা স্বপ্ন। তবে সে শঙ্কা ঊড়িয়ে দিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান কমিয়ে এনে শিরোপার কক্ষপথে ফিরেছে কিকে সেতিয়েনের দল।

গতপরশু রাতে ক্যাম্প ন্যু’য়ে লা লিগায় বার্সার ঘামঝরানো জয়টি ১-০ গোলের। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দুই লাল কার্ডের নাটকীয়তার পরপরই গোলটি করেন লুইস সুয়ারেজ। নগর প্রতিদ্ব›দ্বীদের বিপক্ষে বার্সেলোনার এটি শততম জয়। আর এই হারে ১২০ বছরের ইতিহাসে পঞ্চমবারের মতো স্পেনের শীর্ষ লিগা থেকে অবনমিত হলো দলটি। সবশেষ এমনটি হয়েছিল ১৯৯৩ সালে। ৩৫ ম্যাচে পাঁচ জয় ও নয় ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট মাত্র ২৪।

অবনমনের শঙ্কায় দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া এস্পানিওল শুরুটা করেছিল ভালোই। প্রতি-আক্রমণে দশম মিনিটে প্রতিপক্ষের রক্ষণে ভীতি ছড়ায় তারা। গতিতে ডিফেন্ডারদের পেছনে ফেলে ডান দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে আদ্রি এমবার্বার নেওয়া শট গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেন পা দিয়ে না ঠেকালে বড় বিপদ ঘটে যেতে পারতো। ৪৩তম মিনিটে প্রতিপক্ষের আরেকটি প্রতি-আক্রমণে আবারও ফুটে ওঠে তাদের রক্ষণের দূর্বলতা। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে উল্টো নিজেদের জালে পাঠাতে বসেছিলেন ক্লেমোঁ লংলে। বল সরাসরি টের স্টেগেনের গায়ে লাগে, আলগা বল পেয়ে দিদাক ভিলার শট পোস্টে লাগলে আরেক দফা বেঁচে যায় স্বাগতিকরা।

এরই মধ্যে দুঃসংবাদ হয়ে আসে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে নেলসন সেমেদোর বদলি হিসেবে মাঠে নামার পাঁচ মিনিটের মাথায় আনসু ফাতির লাল কার্ড পাওয়া। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার ফের্নান্দো কালেরোকে ফাউল করে শুরুতে হলুদ কার্ড দেখেন বার্সেলোনার এই ফরোয়ার্ড। তবে ভিএআরে দেখে সরাসরি তাকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। অবশ্য তিন মিনিট পর ঠিক একইভাবে এস্পানিওলের মিডফিল্ডার পল লোসানোও লাল কার্ড দেখেন। জেরার্ড পিকেকে ফাউল করায় শুরুতে হলুদ কার্ড পেয়েছিলেন তিনি; এবারও ভিএআরের সাহায্যে সিদ্ধান্ত বদলে তাকে বহিষ্কার করেন রেফারি।

নাটকীয় মোড় নেওয়া লড়াইয়ে ৫৬তম মিনিটেই গোল পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। গ্রিজমানের ব্যাকহিলে বল পেয়ে মেসির নেওয়া শট প্রতিহত হওয়ার পর আলগা বল ফাঁকায় পেয়ে জালে পাঠাতে ভুল হয়নি সুয়ারেজের। আসরে এটা তার ১৫তম গোল। বার্সেলোনার হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলে সুয়ারেজের গোল হলো ১৯৫টি। লাজলো কুবালাকে (১৯৪) ছাড়িয়ে দলটির ইতিহাসের গোলদাতাদের তালিকায় এককভাবে বসলো তৃতীয় স্থানে।

৬৯তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারতো; তবে মেসির জোরালো ভলি রুখে দেন গোলরক্ষক দিয়েগো লোপেস। যোগ করা সময়ে বার্সেলোনার রক্ষণে চাপ বাড়ায় এস্পানিওল।  শেষ মিনিটে আবারও ভালো একটি সুযোগ নষ্ট হলেও জয়ের হাসি নিয়েই মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।

এই জয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ব্যবধান এক-এ নামিয়ে এনেছে বার্সা। ৩৫ ম্যাচে ২৩ জয় ও সাত ড্রয়ে তাদের অর্জন ৭৬ পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলা জিনেদিন জিদানের রিয়ালের সংগ্রহ ৭৭ পয়েন্ট। আজ রাতেই অবশ্য ব্যবধান ফের বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে লস ব্লাঙ্কোসদের। ঘরের মাঠ আলফ্রেদো দি স্তেফানো স্টেডিয়ামে তারা আতিথ্য দেবে আলাভেসকে।

জেএ/আই নিউজ

Green Tea
সর্বশেষ