কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
আপডেট: ১৪:১৫, ৮ এপ্রিল ২০২১
বাবা ভ্যানচালক, মেডিকেলে চান্স পেয়েও ভর্তির বিষয়ে অনিশ্চয়তা
বাবা মায়ের সাথে তামান্না
রংপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েও এক অনিশ্চয়তার মাঝে দিন কাটছে তারজিনা আক্তার তামান্নার। দিন আনতে দিন যায় যাদের, ডাক্তারি পড়া তাদের জন্য সোনার হরিণ।
গত ২ এপ্রিল (শুক্রবার) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ৪ এপ্রিল রোববার বিকেলে ঘোষণা করা হয, এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল। এতে তামান্না টেস্ট স্কোর ৭১.৫, মেরিট স্কোর ২৭১.৫ পেয়ে মেধা তালিকায় ২২৬৭ নম্বরে স্থান পায়।
তামান্না জয়মনিরহাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৮ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ ৫ ও ভূরুঙ্গামারী মহিলা ডিগ্রী কলেজ থেকে ২০২০ সালে এইচএসসিতে আবারও জিপিএ ৫ পায়।
সে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের পশ্চিম বেলদহ গ্রামের তারা মিয়ার মেয়ে।
তামান্নার বাবা তারামিয়া জানান, বাড়ির ভিটেটুকু ছাড়া চাষাবাদ করার মতো কোন জমি নেই। সংসার চালাতে ভ্যানগাড়ীতে করে বিভিন্ন হাট বাজারে কাপড় ফেরি করে বিক্রি করেন তিনি। তা দিয়ে কোন মতে সংসার চললেও সঞ্চয় বলতে কিছু নেই।
এছাড়াও তিনি বলেন, মেয়ের লেখা পড়ার খরচ চালাতে আরডিআরএস নামক একটি এনজিও থেকে ঋণ নেন। মেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পাওয়ায় ২ বছরের জন্য ঐ এনজিওটি ২৪ হাজার টাকা বৃত্তি প্রদান করে। বৃত্তির টাকা খরচ না করে সেই টাকা দিয়ে মেয়েকে রেটিনা কোচিং সেন্টারে ভর্তি করান। মেয়ের অনলাইনে ক্লাস করার জন্য মালয়েশিয়া প্রবাসী তার এক পরিচিত ব্যক্তি একটি মোবাইল ফোন কিনে দেন। এভাবে ধারদেনা করে পড়ালেখা করেছে তামান্না।
দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া দুই বোনের মধ্যে বড় তামান্না। অজপাড়াগাঁ থেকে তামান্না মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় পরিবারে পাশাপাশি গ্রামবাসীর মাঝে যেমন আনন্দের বন্যা বইছে। অন্যদিকে ভর্তি হওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। তামান্নার দরিদ্র বাবার কপালে পড়েছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ।
তামান্না বলেন, মেডিকেলে ভর্তি সুযোগ পেয়ে খুব আনন্দিত হয়েছিলাম। কিন্তু দুশ্চিন্তা রয়েছে। কারণ ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থান হলেও দারিদ্রের বাধা অতিক্রম করে মেডিকেলে ভর্তি হওয়াটা দুঃসাধ্য।
তামান্নার মা লাইলি বেগম বলেন, তাদের মাঠে কোনো জমি নেই। শুধু ভিটেটুকু আছে। স্বামীর সামান্য আয়ে কোনো রকমে সংসার চলে। মেডিকেলে ভর্তি ফি ও আনুসঙ্গিক খরচ বাবদ নগদ প্রায় ৯০ হাজার টাকার প্রয়োজন। যা তাদের পক্ষে ব্যবস্থা করা প্রায় অসম্ভব। এ অবস্থায় মেয়ে কীভাবে ডাক্তারি পড়বে তা তারা ভাবতে পারছেন না।
ভূরুঙ্গামারী মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ খালেদুজ্জামান বলেন, মেয়েটি অসম্ভব মেধাবী। কলেজে পড়ার সময় আমরা তাকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেছি। এমন এক প্রতিভা যেন দারিদ্রের কষাঘাতে হারিয়ে না যায় সে জন্য তিনি সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান।
আইনিউজ/এসডি
- মাস্টার্স পরীক্ষার ফলাফল ২০২৩
- এসএসসি বোর্ড চ্যালেঞ্জ এর রেজাল্ট ২০২৩
- এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩ | এসএসসি ফলাফল
- অনার্স ১ম বর্ষ পরীক্ষা রুটিন ২০২৩
- এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩ কবে হবে
- চবি ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩
- ‘বাঁচতে চাইলে পরীক্ষায় এ্যাটেন্ড কর’, ছাত্রীকে শাবি শিক্ষক
- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩
- কেন পড়ব সমাজকর্ম?
- মধ্যরাতে শাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ