Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১০ জুলাই ২০২৫,   আষাঢ় ২৬ ১৪৩২

শাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১১:০৬, ১৫ জুলাই ২০২৩

কিন স্কুলের শিশুদের বিনামূল্যে আম খাওয়ালেন শাবির শিক্ষার্থী রাসেল

ছবি- আই নিউজ

ছবি- আই নিউজ

নিজ উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত প্রায় অর্ধশতাধিক শিশুদের ৬০ কেজি হাড়িভাঙা আম বিনামূল্যে খাওয়ালেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রাসেল আহমদ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘কিন’ দ্বারা পরিচালিত ‘কিন স্কুল’ এ এসব শিশুরা অধ্যয়ন করেন। রাসেলের বাড়ি রংপুরের লাল মাটির পদাগঞ্জ এলাকায়। সেই সুবাদে প্রত্যেক সিজনে ক্যাম্পাসের শিক্ষক, শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন জনের কাছে নিজ এলাকা থেকে আম এনে বিক্রি করে থাকেন। তবে এবারই শিশুদের মাঝে আম বিতরণ করার ব্যতিক্রম কাজ করেন তিনি।

শুক্রবার (১৪ জুলাই) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনের সামনে ‘কিন’র স্বেচ্ছাসেবীদের সহযোগিতায় নিজ হাতে কিন স্কুলের শিক্ষার্থীদের হাতে আম তুলে দেন রাসেল। এসময় প্রত্যেক শিশুর হাতে এক কেজিরও বেশি আম বিতরণ করেন তিনি।

রাসেল আহমদ বলেন, প্রায় প্রত্যেক সিজনে ক্যাম্পাসে আম বিক্রি করে থাকি। সামর্থ্যবান মানুষ এসব আম কিনে নেন। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত অসহায় মানুষ মৌসুমী ফল খাওয়া তো দূরের কথা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে অনেক হিমশিম খায়। তাই এবার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে বিনা টাকায় আম বিতরণ করার পরিকল্পনা করি।

তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘কিন স্কুল’ এ সমাজের অসহায় ও দরিদ্র শিশুরা পড়ালেখা করে। তাদের দেখলে আমার ছোট ভাইবোনদের কথা মনে পড়ে। আমার ভাইবোনেরা আম খেতে পারছে অথচ এসব শিশুরা বঞ্চিত হচ্ছে। তাই আমার সামর্থ্য অনুযায়ী প্রায় ৬০ কেজি আম ৫০ জনেরও অধিক শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করেছি।

আম বিতরণ করতে পারার অনুভূতি ব্যক্ত করে রাসেল বলেন, আম পেয়ে শিক্ষার্থীদের মুখে যে হাসি ফুটেছে সেটাই আমার ভালো লেগেছে। দরিদ্র শিশুদের মাঝে আম বিতরণ করতে পেরে অনেক তৃপ্তি পেয়েছি।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কিন’র সভাপতি মাধূর্য চাকমা কৌশিক বলেন, সমাজের সুবিধাবঞ্চিত ও অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে আমরা ‘কিন স্কুল’র মাধ্যমে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছি। এসব শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে আমরা সহযোগিতা করার চেষ্টা করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়ে রাসেল আহমদ যে কাজ করেছেন সত্যিই প্রশংসনীয়। এসব কাজ আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়।  

সার্বিক বিষয়ে কিনের উপদেষ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. হিমাদ্রি শেখর রায় বলেন, এটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আমি তার (রাসেল) উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।

আই নিউজ/এইচএ 

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়