Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, রোববার   ১১ মে ২০২৫,   বৈশাখ ২৮ ১৪৩২

সাগর শুভ্র, শাবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮:৩১, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
আপডেট: ১০:৪৪, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

`উপাচার্যের বক্তব্য পশ্চাৎপদ চিন্তা ও তালেবানি শাসনকে সমর্থন`

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া বক্তব্যেকে পরোক্ষভাবে তালেবানি শাসনকে সমর্থন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন  বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতারা।  

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট শাবিপ্রবি শাখার নেতারা এক যৌথ বিবিৃতিতে এই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে 'তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ' জানিয়েছে। 

বিবৃতিতে সংগঠনটির নেতারা বলেন, 'গোটা দুনিয়ার গণতান্ত্রিক চেতনাসম্পন্ন মানুষের কাছে তালেবানি শাসন একটি অগণতান্ত্রিক শাসন হিসেবে পরিচিত। সেখানে তিনি (উপাচার্য)  তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে সে শাসনকেও পরোক্ষভাবে সমর্থন জানালেন। অর্থাৎ শাবিপ্রবি উপাচার্যের বক্তব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশের পরিপন্থী।'

বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘উপাচার্যের এ বক্তব্য শিক্ষার্থীদের জন্য চরম অপমানজনক শুধু নয়; এতে চূড়ান্ত পশ্চাৎপদ চিন্তারও বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে একটি মুক্তবুদ্ধি ও গণতান্ত্রিক চর্চার জায়গা। এখানে ছাত্র-শিক্ষকদের পারস্পারিক বিনিময়ের মধ্যে দিয়ে জ্ঞানের সৃজন ও বিকাশ ঘটবে। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সিনিয়র স্কলার আর শিক্ষার্থীদের জুনিয়র স্কলার হিসেবে দেখা হয়। কিন্তু শাবিপ্রবির উপাচার্যের বক্তব্যে চূড়ান্ত কর্তৃত্বের প্রকাশ পেয়েছে।'

উল্লেখ্য গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্য অধিকার বিষয়ক সেমিনারে শাবিপ্রবি উপাচার্য মন্তব্য করেন, 'সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয়, এখানে (বিশ্ববিদ্যালয়) ওপেন কালচার ছিল, ছেলেমেয়েরা যা খুশি, তাই করতে পারত। কেউ কিছু বলতে পারত না। কারণ, তাঁদের বয়স ১৮ বছর। কিন্তু আমি বলেছি, সাড়ে ১০টার মধ্যে হলে ঢুকতে হবে। তারা (শিক্ষার্থী) এটার নাম দিয়েছে তালেবানি কালচার। তালেবানি কালচার নিয়ে আমি খুবই গৌরবান্বিত, এটা নিয়ে থাকতে চাই। আমি ওপেন কালচার চাই না।' 

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আলোচনা সমালোচনা দেখা গেছে। উপাচার্যের এ মন্তব্যের বিরুদ্ধে দেশের লেখক-গবেষকরাও মন্তব্য করতে দেখা যাচ্ছে।

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়