Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শুক্রবার   ১১ জুলাই ২০২৫,   আষাঢ় ২৭ ১৪৩২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৫০, ৮ এপ্রিল ২০২৩

কানাডায় বিদ্যুৎবিহীন কয়েক লাখ মানুষ 

কানাডার পূর্বাঞ্চলে তুষার ঝড়ের দুই দিন পরও কয়েক লাখ বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে। তুষার ঝড়ের এ ঘটনার এ পর্যন্ত তিনজনের প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, বিশেষ করে মন্ট্রিয়লে ব্যাপ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে এএফপি। 

বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঝড়ের পরপর কুইবেকের প্রায় ১১ লাখ ঘরবাড়ি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হলেও শুক্রবার তা প্রায় চার লাখে নেমে এসেছে।

কুইবেকে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হাইড্রো-কুইবেক জানিয়েছে, বিভ্রাটের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ শতাংশেরও বেশি গ্রাহকের কাছে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় শুরু হয়েছে।

ইউটিলিটি কোম্পানিটির পক্ষ থেকে আরো বলা হয়েছে,‘আমাদের দলগুলো কঠোর পরিশ্রম করছে এবং আমরা নিশ্চিত যে দিনের শেষ নাগাদ আরও দুই লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ ফিরে পাবে।

হাইড্রো-কুইবেকের মুখপাত্র রেগিস টেলিয়ার বলেন, কিছু বাড়ি রোববার এবং কিছু কিছু বাড়ি সোমবার পর্যন্ত বিদুৎবিহীন থাকবে। তবে অনুকূল আবহাওয়া পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারকে ত্বরান্বিত করবে।

কুইবেকের রাজ্য প্রধান ফ্রাঁসো লেগল্ট বলেছেন, মন্ট্রিয়লের প্রায় ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে তৃতীয় একজনের মৃত্যু হয়। ঘরে বহনযোগ্য জেনারেটর ব্যবহার করার সময় কার্বন মনোক্সাইডের বিষক্রিয়ার তার মৃত্যু হয়।

এর আগে বুধবার পূর্ব অন্টারিওর এক বাসিন্দার গাছ চাপা পড়ে মারা যান। এছাড়া বৃহস্পতিবার ভোরে কুইবেকের ৬০ বছর বয়সী এক বাসিন্দা জমি পরিষ্কার করতে গিয়ে গাছের ডাল পড়ে মারা যান।

বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকা জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধেকই মন্ট্রিয়লের বাসিন্দা। সেখানে ছয়টি অস্থায়ী জরুরি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বাসিন্দারা এসব আশ্রয়কেন্দ্রে রাত কাটাচ্ছেন।

ঝড়ের আঘাতে কানাডার দুটি সর্বাধিক জনবহুল রাজ্য কুইবেক ও অন্টারিওতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। মন্ট্রিয়েলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা পরিবারগুলো উষ্ণ থাকার জন্য ঘরের ভেতরে বারবিকিউ ব্যবহার করায় কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়ার প্রায় ৬০টি ঘটনার খবর পেয়েছেন।

শুক্রবার মন্ট্রিয়ল নগরীর শত শত কর্মচারীকে ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে দেখা গেছে, বিশেষ করে বরফের ভারে ভেঙে পড়া ডাল ও আবর্জনাপূর্ণ পার্কগুলো পরিষ্কার করছেন তারা।

প্রায় এক ডিগ্রি সেলসিয়াস (৩৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট) তাপমাত্রায় বরফ গলতে শুরু করেছে। তবে ঝড়ো হাওয়ায় গাছগুলো কাঁপছে। এতে আরও গাছের ডাল ভেঙে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। কর্তৃপক্ষ এখনও মানুষকে বিদ্যুতের লাইন থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছে।

আই নিউজ/এইচএ 

Green Tea
সর্বশেষ