Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০১ মে ২০২৫,   বৈশাখ ১৮ ১৪৩২

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:০২, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২

মেসির পর যাকে ঘিরে বিশ্বকাপ ট্রফি জয়ের স্বপ্ন দেখছে আর্জেন্টিনা

জুলিয়ান আলভারেজ। ছবি- সংগৃহীত

জুলিয়ান আলভারেজ। ছবি- সংগৃহীত

আজ রাত ৯টায় কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। তাদের প্রতিপক্ষ এই আসরের অন্যতম শক্তিশালী দল ফ্রান্স। কিলিয়াম এমবাপ্পে, ডেমবেলে, জিরুদদের মতো শক্তির উপর ভর করে যারা এসেছে ফাইনালে। আর্জেন্টিনার সকল স্বপ্নের নায়ক লিওনেল মেসি। কিন্তু এই আসরে মেসি ছাড়াও আর্জেন্টিনা সমর্থকদের নজড় কেড়েছেন আরেকজন। আজকের ফাইনালে যার কাছ থেকে আর্জেন্টিনার প্রত্যাশাও কম নয়। বলছিলাম জুলিয়ান আলভারেজের কথা।

তিনি সাইড বেঞ্চের সদস্য থেকে বনে গেছেন দলের প্রাণভোমরা। এই আসরে ৪ গোল দিয়ে এই চমকবয় আর্জেন্টিনাকে কতোখানি সাফল্য এনে দিয়েছে তা সমর্থকদের জানা। তাইতো ফাইনালে ট্রফি জয়ের ভক্ত-সমর্থকদের ভরসার অনেকখানি জায়গা জুড়ে ঠাই করে নিয়েছেন জুলিয়ান আলভারেজ। দারুণ গতিময় এই তরুণ খেলোয়াড় ইতিমধ্যে জানান দিয়েছেন নিজের সক্ষমতা।

ফাইনালে আজ কাতারের লুসাইন স্টেডিয়ামে রাত ৯টায় শুরু হবে ফিফা বিশ্বকাপের এবারের আসরের ফাইনাল খেলা। নিজের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ হবে এটিই, এমন ঘোষণা মেসি দিয়ে দিয়েছেন। তবে প্রত্যাশা ভালো কিছুর মধ্য দিয়ে ফুটবলের জাতীয় অঙ্গণ থেকে বিদায় নেয়ার। কেননা, লিওনেল মেসির ঝুলিতে সকলকিছু এসে ধরা দিলেও এখনো অধরা রয়ে গেছে বিশ্বকাপের ট্রফি। সেই ট্রফি জিতে দিতে মেসির সাথে যুদ্ধ করবেন আলভারেজও।

এইতো বছর দশেক আগেও আলভারেজের স্বপ্ন ছিল লিওনেল মেসির সঙ্গে দেখা করে ছবি তোলা, অটোগ্রাফ নেয়া। তার সেই স্বপ্নটা অপূর্ণ থাকেনি। কিশোর বয়সেই সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছিল তার। তবে স্বপ্নকে ছাড়িয়ে তিনি পেয়েছেন আরো বড় কিছু।

গত বছরের জুনে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের এক ম্যাচে বদলি হিসেবে নেমে শৈশবের তারকা মেসির সঙ্গে আলভারেজের খেলার স্বপ্ন পূরণ হয়ে যায়। সেই শুরু, এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। আর্জেন্টিনার স্বপ্নযাত্রায় মেসির সঙ্গে তিনিও দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন আপন মহিমায়।

আর্জেন্টিনার প্রদেশ কর্ডোবার শিল্পাঞ্চলের উত্তর-পূর্বের একটি সমৃদ্ধ প্রত্যন্ত গ্রাম কালচিন। স্থানীয় আঞ্চলিক ভাষায় কালচিন শব্দের অর্থ ‘লবণাক্ত স্থান’। গ্রামটিতে মোটে ৩ হাজার লোকের বসবাস। গ্রামটির প্রতিটি ভবন একতলা এবং রাস্তাগুলোর দুই পাশে রয়েছে সবুজ গাছের সারি।

একটি ফুটবলকে নিয়ন্ত্রণে রেখে জালে পাঠানোর অসাধারণ দক্ষতার কারণে আলভারেজকে ডাকা হতো ‘স্পাইডার’ নামে। মাকড়সা যেমন মাছি ধরে জালে আটকে রাখে, সেরকমভাবেই বল ধরতে পারতেন তিনি। এছাড়া গ্রামবাসীরা তাকে ‘নায়ক’ ও ‘দূত’ হিসেবেও ডাকে।

স্থানীয় ক্লাব অ্যাটলেটিকো কালচিনের হয়ে খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেন আলভারেজ। যেখানে শুধু একটি প্রধান স্ট্যান্ড ছিল, ধারণ ক্ষমতা ছিল মাত্র ১৫০ জন দর্শক। আর দোহার লুসাইল স্টেডিয়ামে ফ্রান্সের বিপক্ষে বিশ্বকাপের ফাইনালে ৮৯ হাজার দর্শকের সামনে দেশের জন্য লড়বেন তিনি।

আলভারেজকে নিয়ে গর্বিত তার বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। কালচিনের রিভোরা ইন্দারতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্যাট্রিসিয়া ম্যাগনিনো এএফপিকে বলেন, ‘সাত বছর বয়স থেকেই আলভারেজ ছিল খুবই সহায়ক, দায়িত্ববান, অধ্যয়নশীল ও সঙ্গীদের উপকারে এগিয়ে আসতেন। এখন সে তারকা, লিওনেল মেসির সঙ্গী।’

আরেকজন সাবেক শিক্ষক গ্রাসিয়েলা ডি বারবেরিস বলেন, ‘নম্রতা ও স্বল্পভাষী হবার কারণে আলভারেজ সব সময় আলাদা ছিলেন। আপনি যদি কাজ করেন তাহলে স্বপ্ন সত্যি হবে।’

বদলি হিসেবে কাতার বিশ্বকাপ শুরু করলেও কয়েকটি ম্যাচজয়ী পারফরম্যান্সের বদৌলতে এখন মূল একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন আলভারেজ। রোববার (১৮ ডিসেম্বর) ফ্রান্সের বিপক্ষে শিরোপার লড়াইয়ে আর্জেন্টিনা একাদশে স্থান প্রায় নিশ্চিত ২২ বছর বয়সী এই উদীয়মান তারকার।

গ্রামের প্রবেশপথে অবস্থিত স্কুলের দেয়ালে আলভারেজের প্রশংসা করে একটি বিলবোর্ড লাগানো হয়েছে। সেখানে লেখা রয়েছে,‘ আলভারেজ কালচিনের গৌরব।’ তবে এখন তারা গর্ব করে বলতে পারবেন, আলভারেজ শুধু কালচিন নয়, সমগ্র আর্জেন্টিনারই গৌরব।

আইনিউজ/এইচএ

আইনিউজে আরও পড়ুন-


দুবাইয়ে লটারি জিতে একরাতে কোটিপতি বাংলাদেশী যুবক | দুবাই প্রবাসী

মানুষ হত্যা করেছে মা হাতিকে, দুধের জন্য কাঁদছে বাচ্চা হাতিটি

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়