Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, রোববার   ০৩ আগস্ট ২০২৫,   শ্রাবণ ১৮ ১৪৩২

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮:৩১, ১৫ জুলাই ২০২৩

ভারতে দাম কম 

কমলগঞ্জের বাজারে মিলছে অবৈধ ভারতীয় চিনি 

সম্প্রতি আটক করা ভারতীয় চিনি ভর্তি ট্রাক। ছবি- সংগৃহীত

সম্প্রতি আটক করা ভারতীয় চিনি ভর্তি ট্রাক। ছবি- সংগৃহীত

ভারতে বর্তমানে চিনির বাজারে চিনির দাম কমে যাওয়ায় সক্রিয় হয়েছে দেশের চোরাজারবারীরা। সরকারকে রাজস্ব না দিয়েই লুকিয়ে এসব চিনি অবৈধভাবে এনে বিক্রি করা হচ্ছে বাংলাদেশে। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের হাটবাজারগুলোতে মিলছে এসব অবৈধ চিনি। এতে সরকারের পাশাপাশি ক্ষতির শিকার হচ্ছে ভোক্তারাও। 

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, কুলাউড়ার ফুলতলা, চাতলাপুরসহ সীমান্তের কয়েকটি স্থান দিয়ে প্রতিদিন আনা হচ্ছে ভারতীয় চিনি। সাধারণত ভোর রাতে অবৈধ চিনি আনা হয়। শমশেরনগরের স্থানীয় চোরাকাবারীসহ কমলগঞ্জ ও কুলাউড়ার একটি প্রভাবশালী মহল অবৈধ চিনি ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত। সীমান্ত অতিক্রম করেই তারা ভারতীয় বস্তা
পরিবর্তন করে দেশীয় বস্তা দিয়ে চিনি পরিবহন করে। ফলে প্রশাসন ইচ্ছে করলেও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছে না। সীমান্ত এলাকার নিরীহ সাধারণ লোকদের দৈনিক ভিত্তিতে মজুরি প্রদান করে এই ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বর্তমানে ভারতে প্রতি কেজি চিনির দাম ৪৪ রুপি। ৫০ কেজি বস্তার দাম ২ হাজার ২০০ রুপি। দেশের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকায়। মোদি দোকানীরাও অবৈধ চিনি কিনে দেশীয় চিনির তুলনায় লাভবান হচ্ছেন। তবে ভোক্তারা ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা দরে এই চিনি কিনছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শমশেরনগর বাজারের দু’জন ব্যবসায়ী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় চিনি কিনে বিক্রি করছি। শমশেরনগর ভেতর বাজারের এক ব্যবসায়ীর দোকান থেকে তুলনামূলক কম দামে ভারতীয় চিনি পাওয়া যাচ্ছে। তিনি যদি একবার অকশনের মাল ক্রয় করেন পরে পুরো মাস অবৈধভাবে আসা চিনি সরবরাহ করেন।

পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একটি সূত্র জানায়, কিছুদিন আগে মৌলভীবাজারে ১৬০ বস্তা চিনিসহ ট্রাক র‍্যাবের গোয়েন্দা আটক করে। পরে উচ্চ মহল থেকে ফোন আসার কারণে ছেড়ে দিতে হয়েছে। দেশীয় চিনি দাম অধিক থাকায় আর তুলনামূলক ভারতীয় চিনির দাম কম থাকায় চোরাকারবারীরা কৌশলে অবৈধ চিনি কিনে আনছে।

এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার এর সহকারী পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, আসলে এই বিষয়টি পুলিশ দেখলে ভালো হয়। সেখানে মামলার বিষয়ও সম্পৃক্ত। তারপরও অভিযানে আসলে তা খতিয়ে দেখা হবে।

এ বিষয়ে কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, বিষয়টি আমাদের নলেজে রয়েছে এবং আমরা লোক লাগিয়ে রেখেছি। পাওয়া গেলেই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আই নিউজ/এইচএ 

Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ