Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শুক্রবার   ২০ জুন ২০২৫,   আষাঢ় ৭ ১৪৩২

মো. ফাহাদ আহমদ, মৌলভীবাজার

প্রকাশিত: ১৫:৪৬, ৮ জুলাই ২০২২
আপডেট: ১৬:৩৯, ৮ জুলাই ২০২২

২৪ ঘন্টার মধ্যে হাত-পা বাঁধা লাশের রহস্য উন্মোচন, আটক ৩

গত মঙ্গলবার (৫ জুলাই) রাত আড়াইটার দিকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের খঞ্জনপুর এলাকার সড়কের পাশে একটি বাক্স থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ হত্যাকন্ডে জড়িত তিন আসামীকে হবিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একজন আসামীর বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

আটকৃতরা হলো- নবীগঞ্জ উপজেলার দত্তগ্রামের মৃত শফিকুর রহমান ছেলে মনসুর রহমান(৩০), একই গ্রামের মৃত অহি ভোষন দাসের ছেলে অনুপ দাস(৪০) ছানু মিয়ার ছেলে মামুদ ইকবাল।

শেরপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই ইফতেখার ইসলাম জানান, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে পারেন যে, মৌলভীবাজার সদর মডেল থানাধীন খলিলপুর ইউনিয়নস্থ খঞ্জনপুর নামক গ্রামে জনৈক জাহাঙ্গীর আলম এর মালিকানাধীন ইমাদ ভ্যারাইটিজ ষ্টোর এর সামনে বারান্দার উপর কাগজের কার্টুনের ভিতর হাত-পা রশি দিয়ে এবং মুখমন্ডল সাদা পলিথিন দিয়ে প্যাঁচানো অবস্থায় একজন অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির লাশ ফেলে রাখা রয়েছে। সংবাদ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে খুন করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে বর্ণিত ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে যায় মর্মে মৌলভীবাজার সদর থানায় এজাহার দায়ের করে শেরপুর ফাঁড়ির পুলিশ। এ বিষয়ে মৌলভীবার সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে মামলার তদন্তে টিমসহ পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস) মো. মশিউর রহমান এর উপর অর্পন করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জিয়াউর রহমান ও মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইয়াছিনুল হক সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ ঘটনায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া এর নিদের্শনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায় (ক্রাইম এন্ড অপস) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জিয়াউর রহমানের প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে অফিসার ইনচার্জ জনাব মো. ইয়াছিনুল হকের সমন্বয়ে গঠিত পুলিশের বিশেষ তদন্ত টিম মাঠে নামে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জিয়াউর রহমান আই নিউজকে জানান, ২৪ ঘন্টার মধ্যে ক্লু-লেস লোমহর্ষক হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতারে সক্ষম হয় পুলিশ। পুলিশ অজ্ঞাতনামা লাশের পরিচয় সনাক্তের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে। পরবর্তীতে অজ্ঞাতনামা লাশের পরিচয় জানা যায় হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানাধীন দত্তগ্রাম সাকিনের মৃত আয়না মিয়ার ছেলে আইয়ুব আলী(৫৫) শনাক্ত করে পুলিশ।  ভিকটিম আইয়ুব আলীর আত্মিয়-স্বজন এবং দত্তগ্রামের অন্যান্য লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদে এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকান্ডের ঘটনার সাথে জড়িত মনসুর রহমান ও অনুপ দাসসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের সম্পৃক্ততার প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেলে তথ্য প্রযুক্তি সহায়তা নিয়ে বিশেষ অভিযানে নবীগঞ্জ উপজেলার দত্তগ্রাম এলাকা থেকে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের লক্ষে গ্রেফতারকৃত আসামীদের নিবিড় এবং কৌশলীভাবে আটক করে পুলিশ।  জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আসামীরা জানায় যে, ভিকটিম আইয়ুব আলীর সাথে টাকা-পয়সার লেনদেন এবং পুর্ব বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকান্ডটি ঘটায়।

গ্রেফতারকৃত আসামী মনসুর রহমান (৩০)  এবং অনুপ দাস (৪০) কে  আদালতে সোর্পদ করা হলে আসামী মনসুর রহমান নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেয়।

আইনিউজ/ এসকেএস

আইনিউজ ইউটিউব চ্যানেলে ‍দেখুন আকর্ষণীয় সব ভিডিও

কুরবানীর জন্য চা বাগানের গরু ক্রেতাদের আকর্ষণ

যে পানিতে মানুষের মল পড়ে, সে পানি খাচ্ছেন নারায়ণগঞ্জবাসী | Narayanganj | শীতলক্ষ্যা নদী | Eye News

মৌলভীবাজারে কেমন চলছে রেলওয়ে সেবা, মিলছে কী টিকেট?

কোরবানির গরু সরাসরি ওজনে বিক্রি করবেন বিক্রেতা

মৌলভীবাজারের যে সীমান্তে এক হাটে বাজার করে ভারত-বাংলাদেশের মানুষ | Eye News

Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়