নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট: ১৪:৪২, ৭ নভেম্বর ২০২০
জেনে নিন বেগুন চাষের নিয়ম
বেগুন একটি সুস্বাদু সবজি। এর রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। প্রায় সারা বছরই চাষ করা যায় এই সবজি। বেগুন চাষে দৈনন্দিন চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি আর্থিক স্বচ্ছলতাও ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
জেনে নেই বেগুন চাষের নিয়ম-
মাটি
সব মাটিতেই বেগুন জন্মে। তবে দো-আঁশ, এটেল দো-আঁশ ও পলিমাটি বেশি উপকারী। এছাড়া শীতকালে ফলন বেশি হয়।
রোপণ
প্রথমে বীজতলায় চারা তৈরি করে নিন। এরপর ৫-৬ সপ্তাহ বয়সের চারা ৭৫ সেন্টিমিটার দূরত্বে সারি করে ৬০ সেন্টিমিটার দূরে দূরে লাগাতে হয়। গাছের আকার অনুযায়ী দূরত্ব ১০-১৫ সেন্টিমিটার কম-বেশি করা যায়।
সময়
মাঘ-ফাল্গুন মাসে গ্রীষ্মকালীন, বৈশাখ মাসে বর্ষাকালীন, ভাদ্র-আশ্বিন মাসে শীতকালীন ফসলের জন্য চারা রোপণ করতে হয়।
সার
প্রতি হেক্টর জমিতে ৩৭০-৩৮০ কেজি ইউরিয়া, ১৪৫-১৫৫ কেজি টিএসপি, ২৪০-২৬০ কেজি এমপি এবং ৮-১২ টন গোবর প্রয়োগ করতে হবে।
প্রয়োগ
অর্ধেক গোবর সার জমি তৈরির সময় প্রয়োগ করতে হয়। বাকি অর্ধেক গোবর, সম্পূর্ণ টিএসপি এবং এক তৃতীয়াংশ ইউরিয়া ও এমপি সার পিট তৈরির সময় প্রয়োগ করতে হয়। বাকি ইউরিয়া ও এমপি সার ৩টি সমান কিস্তিতে রোপণের ২১-৩৫ ও ৫০ দিন পর প্রয়োগ করতে হয়।
পরিচর্যা
মাঝে মাঝে গাছের গোড়ার মাটি আলগা করে দিতে হয়। শীতকালীন ও আগাম লাগানো বর্ষাকালীন বেগুনের জন্য প্রচুর পানি প্রয়োজন হয়। বেলে মাটিতে ১০-১৫ দিন পর সেচ দিতে হয়। বর্ষাকালীন ও বারোমাসী বেগুনের জন্য পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থাও করতে হয়।
ঢলে পড়া
ফিউজেরিয়াম নামক ছত্রাক দ্বারা এ রোগ হয়। গাছের গোড়া ও শেকড় বিবর্ণ হয়ে যায়। এ রোগ হলে পাতা নেতিয়ে পড়ে এবং গাছ ঢলে পড়ে। পরবর্তীতে গাছ মারা যায়।
প্রতিকার
এ জন্য রোগ প্রতিরোধক জাত লাগাতে হবে। আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলতে হবে। আক্রান্ত জমিতে শস্য পরিক্রমা অনুসরণ করতে হবে।
আইনিউজ/এসপি
- এলাচ চাষ করবেন যেভাবে
- প্লাস্টিক বোতলে সহজেই চাষ করুন পুঁই শাক
- ঔষধি গুণধর কালো মোরগের চাষ হচ্ছে বাংলাদেশেও
- বঙ্গবন্ধু ব্রি ধান ১০০ চাষে সময় কম লাগে, খরচ বাঁচে
- বাড়ির ছাদে ড্রাগন ফলের চাষ পদ্ধতি
- কমলগঞ্জে,
আমন ধানে মাজরা পোকার আক্রমণ, চিন্তায় আছেন কৃষকরা - মাটি ছাড়া শুধু পানি দিয়ে ঘাস চাষ
- বাড়ির টবে ক্যাপসিকাম চাষ পদ্ধতি
- দেশের বাজারে সারের দাম বেড়েছে আরও ৬ টাকা
- ভাদ্র মাসে চাষ করতে পারেন যেসব সবজি