Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫,   আশ্বিন ৮ ১৪৩২

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২:৩৫, ২৬ ডিসেম্বর ২০২১

কক্সবাজারে পর্যটক ধর্ষণ : প্রধান আসামি আশিকুল গ্রেফতার

আশিকুল ইসলাম

আশিকুল ইসলাম

কক্সবাজারে নারী পর্যটককে তুলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি আশিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। রোববার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

খন্দকার আল মঈন বলেন, কক্সবাজারে এক নারীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’ মামলার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলামকে মাদারীপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আশিকুলের বিরুদ্ধে এই মামলা ছাড়াও নারী নির্যাতন, অস্ত্র, ইয়াবার কারবারসহ বিভিন্ন অভিযোগের আরও ১৭টি মামলা রয়েছে। চার মাস আগে কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন- কক্সবাজারে পর্যটক ধর্ষণ : তিনজন শনাক্ত, ম্যানেজার আটক 

এ নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচজনে। এর আগে রোববার দুপুরে বাকি চারজনকে গ্রেফতারের কথা জানান টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান।

 গত বুধবার (২২ ডিসেম্বর) স্বামী-সন্তানকে জিম্মি ও হত্যার ভয় দেখিয়ে এক নারী পর্যটককে দলবেঁধে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। অভিযোগ পেয়ে রাত দেড়টার দিকে কক্সবাজারের কলাতলীর ‘জিয়া গেস্ট ইন’ নামে একটি হোটেল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে র‌্যাব-১৫। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে হোটেলের ব্যবস্থাপক রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত তিনজনের মধ্যে দুইজনকে শনাক্তও করা হয়েছে।

ওই নারীর বরাত দিয়ে র‍্যাব জানায়, গত বুধবার সকালে ঢাকা থেকে স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজার বেড়াতে আসেন ওই নারী। এরপর কক্সবাজার শহরের হলিডে মোড়ের একটি হোটেলে উঠেন। সেখান থেকে বিকেলে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে ঘুরতে যান। লাবণী পয়েন্টে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে ওই নারীর স্বামীর ধাক্কা লাগে। পরে কথা কাটাকাটি হয়। 

আরও পড়ুন- কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে দলবেধে গৃহবধূকে ধর্ষণ

এরই জেরে সন্ধ্যায় স্টেডিয়াম সংলগ্ন পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে কয়েকজন যুবক তার স্বামী ও ৮ মাসের সন্তানকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়। অপর একটি অটোরিকশায় তিন যুবক গৃহবধূকে তুলে নেয়। পরে তারা পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।

সেখান থেকে তাকে জিয়া গেস্ট ইন নামে একটি হোটেলে নেওয়া হয়। সেখানেও তাকে আরেক দফা ধর্ষণ করে ওই যুবকরা। ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করা হবে জানিয়ে হোটেল কক্ষটি বাইরে থেকে বন্ধ করে পালিয়ে যায় তারা।

ওই নারীর দাবি, তিনি জিয়া গেস্ট ইনের তৃতীয় তলার জানালা দিয়ে এক যুবকের সহায়তায় কক্ষের দরজা খুলে ৯৯৯-এ ফোন দেন। পুলিশ তাকে থানায় এসে সাধারণ ডায়েরি করার পরামর্শ দেয়। তারপর অপর এক ব্যক্তির সহযোগিতায় কল দেন র‍্যাবকে। পরে র‍্যাব এসে তাকে উদ্ধার করে। পর্যটন গলফ মাঠের এলাকা থেকে তার স্বামী ও সন্তানকেও উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেন। কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকার আশিকুল ইসলাম আশিকসহ এজাহারে চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া তিনজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- আশিকের দুই সহযোগী ইস্রাফিল খুদা জয়, মেহেদী হাসান বাবু এবং হোটেলের ব্যবস্থাপক রিয়াজ উদ্দিন ছোটন।

আইনিউজ/এসডিপি 

গ্রিসে পাঁচ বছরের ভিসা পাবে বাংলাদেশিরা

ঐতিহ্যবাহি আদিবাসি সাঁওতাল নৃত্য

দু’সপ্তাহে সাতটি হাতির মৃত্যু, বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্তির আশঙ্কা

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ