Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫,   আশ্বিন ৭ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:১০, ১০ জুন ২০২২

‘যারা পদ্মা সেতুর সমালোচনা করে তাদের মধ্যে দেশপ্রেম নেই’

পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেছেন, যারা পদ্মা সেতু নিয়ে সমালোচনা করে তাদের দেশ প্রেম নেই। তারা জাতির শত্রু। কারণ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের মর্যাদা বাড়িয়েছে। প্রমাণ হয়েছে বঙ্গবন্ধুর বীরকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যে ওয়াদা করেন তা বাস্তবে পালন করেন। 

শুক্রবার (১০ জুন) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে শরীয়তপুর সাংবাদিক সমিতি, ঢাকার দ্বি বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। 

এনামুল হক শামীম বলেন, পদ্মা সেতুর আরেক নাম শেখ হাসিনার সাহসের প্রতীক। পদ্মা সেতুর আরেক নাম বাংলাদেশের সক্ষমতা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন আমাদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। পদ্মা সেতু হচ্ছে দাবিয়ে না রাখার প্রতীক। পদ্মা সেতু বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। বিশ্ববাসী প্রশংসা করছে। 

আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০০১ সালের ৪ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে মাওয়া ফেরিঘাটের কাছেই পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করেন। কিন্তু সেতুটির নির্মাণকাজ থমকে যায় বিএনপির রাজনৈতিক হীনম্মন্যতার কারণে। এখন বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছেন, খালেদা জিয়া নাকি পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেছিলেন। অথচ তাদের যোগাযোগ মন্ত্রী নাজমুল হুদা বলেছেন, খালেদা জিয়া পদ্মা সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেনি। বিএনপির কাজ ই মিথ্যাচার করা। 

তিনি বলেন, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর বিপুল বিজয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু নির্মাণকে জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে অগ্রাধিকার তালিকায় নিয়ে আসেন। বিশ্বব্যাংক দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রে পা দিয়ে অযথাই একটি নোংরা বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল মনগড়া দুর্নীতির অভিযোগ তুলে। বেলাশেষে সেই অভিযোগ কানাডার আদালতসহ কোথাও টেকেনি। এই মহান জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়েই বঙ্গবন্ধুকন্যা নিজস্ব অর্থায়নের পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা করেন। সে সময় অনেকেই বিদ্রুপ করেছিল। কিন্তু আজকে বাস্তবতা। আজকে সেই সেতু শুধু সেতু, নয়, আমাদের সক্ষমতার প্রতীক।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে এনামুল হক শামীম বলেন, সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলাই হচ্ছে সাংবাদিকদের কাজ। সমালোচনার জন্য সমালোচনা না করে গঠনমূলক সমালোচনা করলে সরকার সংশোধনের সুযোগ পায়। কিন্তু মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য জনগণের কাছে তুলে ধরলে গণমাধ্যমেরই ক্ষতি হয়। সাংবাদিকরা রাজনীতিবিদদের পরমবন্ধু। দুঃসময়ে আমাদের পাশে থাকেন। 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সাংবাদিক বান্ধব সরকার। আওয়ামী লীগ সরকারই একমাত্র সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করেছে। অন্যরা সাংবাদিকদের উপর জুলুম নির্যাতন চালিয়েছে। 

পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে দক্ষিণবঙ্গের কি কি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে সেগুলো তুলে ধরতে শরীয়তপুরের সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। 

তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর সব সুবিধা যাতে শরীয়তপুরবাসী পায়, আমরা সে চেষ্টা করছি। ফোরলেন উদ্বোধন হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব ফোরলেনের কাজ শেষ হবে। শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আগামী জুলাই মাসে কেবিনেট সভায় পাস হবে আশা করছি। সুরেশ্বর হতে তারাবুনিয়া পর্যন্ত সড়ক হবে। শরীয়তপুরের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে যখনই যা চেয়েছি, তিনি তাই দিয়েছেন, না করেননি। 

আইনিউজ/এসডি

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ