Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বুধবার   ২৩ জুলাই ২০২৫,   শ্রাবণ ৮ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:৫৯, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১
আপডেট: ২৩:৩৯, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১

দেড় বছর পর শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর অবশেষে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দ্বার। রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান শুরু হবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হবে প্রতিষ্ঠানগুলো। ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে ফিরবে প্রাণচাঞ্চল্য।

করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনায় এনে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে প্রায় আঠারো মাস কয়েক দফায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। অবশেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার খবরে শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

এদিকে শিক্ষার্থীরাও বিশেষ করে চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি সমমানের শিক্ষার্থীদের মাঝেও এসেছে উৎকন্ঠাহীন আনন্দ। চলতি বছরের শুরুতে নানা নির্দেশনার মধ্য দিয়ে এসএসসি বা সমমানের এবং এইচ এসসি বা সমমানের পরীক্ষা নেয়ার কয়েক দফা সিদ্ধান্ত হলেও তা সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি কোভিড-১৯ এর প্রাদুভার্বের কারণে।

গত ৫ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ের মন্ত্রী পরিষদ সম্মেলন কক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনির সভাপতিত্বে আয়োজিত এক বৈঠকে রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি এবং পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসতে হবে। আর বাকি শ্রেণির ক্লাস সপ্তাহে একদিন হবে। 

শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, চলতি বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ইতোমধ্যেই প্রস্তুত করা হয়েছে। তারা প্রতিদিন ক্লাস করলে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেয়া হয়ে যাবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলে জেএসসি, জেডিসি, পিইসি পরীক্ষাসহ বার্ষিক পরীক্ষাও সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার শতকরা ৫ শতাংশের নিচে নামলে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কথা থাকলেও জুলাই মাসের সংক্রমণ ৭০ শতাংশ কমেছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী শ্রেণি কক্ষে পাঠদান শুরুর ঘোষণা দেন। এদিকে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর(মাউশি) এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) থেকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে পাঠদান কর্মসূচি কঠোরভাবে মনিটরিংসহ নানা সচেতনতামূলক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

দীর্ঘদিন পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা ও শ্রেণি কক্ষে পাঠদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে আনতে সারাদেশেই সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চলছে জোর প্রস্তুতি। শিক্ষক-কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন ও সমন্বয় সভা করে শিক্ষার্থীদের জন্য নানা কার্যক্রম নিচ্ছেন। 

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটকে স্যানিটাইজেশন করা, থার্মোমিটারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রতিষ্ঠানে কিউ মেনে সারি বদ্ধ ভাবে  প্রবেশ, মাস্ক পরিধান নিশ্চিকরণ,শরীরের তাপমাত্রা চেক করাসহ বিভিন্ন নির্দেশনার পাশাপাশি তাদেরকে ‘জেড’ শেপে শ্রেণিকক্ষে আসন বিন্যাস উল্লেখযোগ্য। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের করোনাকালীন সময়ের জন্য দিনভিত্তিক শ্রেণিবিন্যাস করা হলেও থাকছে না চেনা দৈনিক রুটিন। প্রতিদিন দুটো ক্লাস শেষে একটি শরীরচর্চা বা বিনোদন ক্লাস নেয়ার কথা রয়েছে। পর্যায়ক্রমে শ্রেণিতে পাঠদানের সময়সীমা বাড়ানো হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণায় প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষ পরিস্কার করাসহ মোট ১৯ দফা নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় জনস্বার্থ ও বিষয়ে চারটি প্রামাণ্য চিত্র প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কার্যক্রম চালু করার বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রধান, শিক্ষক মন্ডলী, শিক্ষার্থী, কর্মচারী, পরিচালনা পর্ষদ-অভিভাবকদের জন্য নির্দেশনামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিষয়েও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। 

আইনিউজ/এসডিপি 

Green Tea
সর্বশেষ