Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, মঙ্গলবার   ২২ জুলাই ২০২৫,   শ্রাবণ ৭ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:৪৭, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১
আপডেট: ২৩:০২, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১

শিক্ষার্থীদের চুল কাটা নিয়ে হাইকোর্টের রুল জারি

রবীন্দ্রনাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কাটার ঘটনায় কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। ৩০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এ ধরনের আচরণ রোধে একটি আচরণবিধি তৈরি করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন উচ্চ আদালত।

এছাড়া শিক্ষার্থীদের প্রত্যেককে কেন ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ এবং শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা কেন নেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

এর আগে বুধবার কাউছার ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব এবং ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউছার।

আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে তাদের শাস্তি দিয়েছেন, যা শুধু বেআইনি নয় শিক্ষার্থীদের প্রতি চরম অবমাননাকর। এই অপমান সহ্য করতে না পেরে একজন আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন। ভাগ্যক্রমে তিনি এখনো বেঁচে আছেন। তাই আমরা রিট করেছি।

১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন। ঘটনার পর তিনি তিনটি পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

গত মঙ্গলবার ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান পদ, সহকারী প্রক্টর পদ ও প্রক্টরিয়াল বোর্ডের সদস্য পদ থেকে লিখিতভাবে পদত্যাগ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান লায়লা ফেরদৌস হিমেল বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে অপসারণ বা পদত্যাগ না করায় শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন।

ভুক্তভোগী ছাত্ররা জানান, রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের প্রথম বর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরিচিতি বিষয়ের ফাইনাল পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষার হলে ঢোকার সময় ওই বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন আগে থেকে কাঁচি হাতে পরীক্ষার হলের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। শিক্ষার্থীরা হলে ঢোকার সময় যাদের মাথার চুল হাতের মুঠোর মধ্যে ধরা যায়, তাদের মাথার সামনের অংশের বেশ খানিকটা কেটে দেন। এভাবে একে একে ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেন তিনি। 

আইনিউজ/এসডি

Green Tea
সর্বশেষ