Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শনিবার   ১৯ জুলাই ২০২৫,   শ্রাবণ ৪ ১৪৩২

শাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:০৩, ২২ জানুয়ারি ২০২২
আপডেট: ২০:১১, ২২ জানুয়ারি ২০২২

শাবি ভিসির গৃহবন্দীর ৭ দিন

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনশনকারীদের ৭০ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও সমস্যার সমাধান হয়নি এখনো।

জানা যায়, গতকাল শুক্রবার (২১ জানুয়ারী) আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল এর মধ্যস্থতায় আন্দোলনকারীরা শিক্ষামন্ত্রীর সাথে আলোচনায় রাজি হয়। তবে, প্রথমদিকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সাথে ঢাকায় যেয়ে আলোচনায় রাজি হলেও পরে তা পরিবর্তন করে। অনশনকারীরাও শিক্ষামন্ত্রীর সাথে আলোচনায় বসতে চায় জানিয়ে তারা বলে, এখনই যেহেতু শিক্ষামন্ত্রী সিলেটে আসতে পারবেন না। তাহলে তিনি আমাদের সাথে ভার্চুয়ালি আলোচনা করতে পারেন।

কেননা, এ মুহূর্তে অনশনকারীরে শরীরের যে অবস্থা তাতে করে তারা ঢাকায় যেয়ে আলোচনা করতে পারবেন না।

নানার মরা মুখ দেখেনি 'রুবি'

গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে অনশনকারী শিক্ষার্থী রুবি সংবাদ পায় তার নানা মারা গেছে। মৃত নানার মুখখানি দেখানোর জন্য রুবিকে নিতে আসে তার ছোট ভাই।  

তবে, ভাইকে ফিরিয়ে দিয়ে অনশনেই থেকে রুবি। সাফ জানিয়ে দেয় উপাচার্যের পদ থেকে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ পদত্যাগ না করা পর্যন্ত রুবি অনশনেই থাকবে।

উপাচার্যের গৃহবন্দীর ৭ দিন

গত রবিবার (১৬ জানুয়ারি) অবরুদ্ধ উপাচার্যকে পুলিশ উদ্ধার করতে এসে শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড এবং রাবার বুলেট ছুড়লে প্রভোস্ট পদত্যাগের আন্দোলন উপাচার্য পদত্যাগের আন্দোলনে রূপ নেয়। 

এদিন থেকে আন্দোলনকারীরা দফায় দফায় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনকারীরা আন্দোলন শুরু করে। কার্যত এদিন থেকেই উপাচার্যের গৃহবন্দীর দিন শুরু হয়।

জানা যায়, গতকাল শুক্রবার আওয়ামী লীগ নেতা গৃহবন্দী উপাচার্যকে বাইরে আসতে দেওয়ার ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের মতামত চান। এসময় আন্দোলনকারীরা তাকে জানায়, বাসভবনের বাইরে আসতে চাইলে ক্ষমা চেয়ে উপাচার্যের পদ থেকে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে পদত্যাগ করতে হবে। অন্যথায় তার গেইটের সামনে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের গায়ের উপর দিয়ে আসতে হবে।

অনশনে ৭৪ ঘন্টা, হাসপাতালে ১৬ জন

শিক্ষার্থীদের উপর লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছাড়ার পর পুলিশ ২০০-৩০০ শিক্ষার্থীকে অজ্ঞাতনামা আসামী দিয়ে মামলা করে। এ ঘটনার পর গত মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) রাত ৮টায় শিক্ষার্থীরা ঐ দিন রাত ১০টার মধ্যে মামলা প্রত্যাহারের আল্টিমেটাম দেয়।

নির্দিষ্ট সময়ে মামলা প্রত্যাহার না হলে ঐদিনই রাত সাড়ে ১১টার দিকে গতকাল বুধ (১৯ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার মধ্যে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেয়।

তবে, বুধবার বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ পদত্যাগ না করায় আমরণ অনশনের কর্মসূচি নেয় শিক্ষার্থীরা।

ঐদিন দুপুর প্রায় ২টা ২০ মিনিট হতে এখন পর্যন্ত চলা এ কর্মসূচি প্রায় ৭০ ঘন্টা পার হয়ে গেছে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১৭ জন অনশনকারীর শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে, উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ পদত্যাগ না করায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েও অনশন ভাঙেনি তারা।

Green Tea
সর্বশেষ