Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শুক্রবার   ১৮ জুলাই ২০২৫,   শ্রাবণ ৩ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০০:২৪, ১৯ মার্চ ২০২২
আপডেট: ১৩:৫৪, ১৯ মার্চ ২০২২

রোববার বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নির্বাচন

রোববার (২০ মার্চ) অনুষ্ঠিত হবে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নির্বাচন-২০২২। এ নির্বাচনে কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে মোট ১২৩ টি পদের বিপরীতে সাতটি প্যানেলে (ক, খ, গ, ঘ, ঙ, চ, ছ) চার শতাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। 

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের একটি পেশাজীবী সংগঠন।  বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৭ সালে। সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৬ সালের ১ জুন। দুই বছর অন্তর অন্তর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও বিশেষ কিছু কারণে এবং বর্তমান মহাসচিবের অনাগ্রহের কারণে ছয় বছর অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি যা সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাবৃন্দের মধ্যে এক প্রকার চাপা ক্ষোভের জন্ম দেয়। এর প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তবৃন্দের এক মহাসমাবেশে মিলিত হলে নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়। 

নির্বাচনী দৌড়ে এগিয়ে থাকা প্যানেলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছে চ প্যানেল বা প্রফেসর আবেদ নোমানী ও শওকত হোসেন মোল্লা প্যানেল। প্রফেসর নোমানী বর্তমানে সরকারি আজিজুল হক কলেজ, বগুড়াতে কর্মরত আছেন। মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সন্তান প্রফেসর আবেদ নোমানী ১৪ তম বিসিএসের একজন কর্মকর্তা। অধ্যাপকগণের তৃতীয় গ্রেড প্রাপ্তির মামলায় তিনি একজন বাদী। 

চ প্যানেলের মহাসচিব পদপ্রার্থী শওকত হোসেন মোল্লা ২৪ তম বিসিএসের একজন কর্মকর্তা। কর্মরত আছেন সরকারি হাজী এবি কলেজ, সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম।  তিনিও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুশাসন অনুযায়ী আত্তীকরণ বিধিমালা প্রণয়ন করার ক্ষেত্রে তাঁর ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। শওকত হোসেন মোল্লা এবং একই বিসিএস ব্যাচের কামাল আহমেদসহ বেশ কিছু তরুণ কর্মকর্তার ঐকান্তিক পরিশ্রম ও সাহসিকতায় "নো বিসিএস নো ক্যাডার" আন্দোলন অনুষ্ঠিত হয়। এবং এরই প্রেক্ষিতে প্রণীত হয় আত্তীকরণ বিধিমালা-২০১৮। 

উক্ত আন্দোলনের সাফল্যের কারণে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সব ব্যাচের কর্মকর্তাবৃন্দের কাছে শওকত হোসেন মোল্লা ও কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কামাল আহমেদসহ চ প্যানেলের সব প্রার্থীরই তুমুল জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা। 

নির্বাচনী দৌড়ে এগিয়ে থাকা আরও দুটি প্যানেল যথাক্রমে খ ও ঘ প্যানেল চ প্যানেলের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করে আসছে। খ প্যানেল হলুদ সাংবাদিকদের সহায়তায় মিথ্যা কুরুচিপূর্ণ বানোয়াট তথ্যপ্রমাণ অসমর্থিত সংবাদ করিয়ে চ প্যানেলকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।  কিন্তু চ প্যানেল সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাবৃন্দের ব্যালটের রায়ে আস্থা রাখতে চান। 

চ প্যানেল মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী একটি প্রগতিশীল প্যানেল। চ প্যানেলে বিভিন্ন পদের বিপরীতে যেসব প্রার্থী আছেন তাঁদের অনেকেই মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। এমন অনেকে আছেন ছাত্রজীবনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল রাজনীতি করে আসছেন। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফরিদপুর বিভাগের একজন প্রার্থী বলেন, এই বিভাগে দুইজন প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। একজন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ছিলেন। অন্যান্য বিভাগে আছেন মুক্তমনা কিছু কর্মকর্তা। 

দেশের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের দৃষ্টি এখন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি নির্বাচন-২০২২ এর দিকে।

আইনিউজ/এসডিপি 

Green Tea
সর্বশেষ