ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১১:৩১, ৭ জুলাই ২০২০
কিশোরের শেষ কথা `দোয়া করিস বন্ধু`: হানিফ সংকেত

হানিফ সংকেতের ‘ইত্যাদি’তে অসংখ্যবার গেয়েছেন অ্যান্ড্রু কিশোর। ব্যক্তিগত জীবনে তারা ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এক শোক বার্তায় হানিফ সংকেত জানান, এখনো কানে বাজছে কিশোরের শেষ কথা ‘দোয়া করিস বন্ধু’।
ফেইসবুকে তিনি লেখেন, “অ্যান্ড্রু কিশোর আর নেই’, প্রিয় বন্ধুর মৃত্যু সংবাদটি নিজের হাতে এত তাড়াতাড়ি লিখতে হবে কখনো কল্পনাও করিনি। এই মুহূর্তে কানে বাজছে রাজশাহী থেকে বলা কিশোরের শেষ কথাগুলো, ‘দোয়া করিস বন্ধু, কষ্টটা যেনো কম হয়, আর হয়তো কথা বলতে পারবো না’। এর পরই খুব দ্রুত শরীর খারাপ হতে থাকে কিশোরের। আর আমারও যোগাযোগ বেড়ে যায় রাজশাহীতে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে।”
আরও লেখেন, “অবশেষে সবাইকে কাঁদিয়ে আজ সন্ধ্যায় এই পৃথিবী থেকে বিদায় নেয় অ্যান্ড্রু কিশোর-বাংলা গানের ঐশ্বর্য, যার খ্যাতির চাইতে কণ্ঠের দ্যুতিই ছিলো বেশি। যার মৃত্যুতে সংগীতাঙ্গনের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেলো। অনেক কষ্ট পেয়েছি বন্ধু, এতো তাড়াতাড়ি চলে যাবি ভাবিনি-কিশোরের আত্মার শান্তি কামনা করছি।”
কণ্ঠশিল্পী অ্যান্ড্রু কিশোর সোমবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন।
অসুস্থ অবস্থায় গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছিলেন এই নন্দিত গায়ক। সেখানে গিয়ে গত ১৮ সেপ্টেম্বর তার শরীরে ক্যানসার ধরা পড়ে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক লিম সুন থাইয়ের অধীনে ছিলেন তিনি। গত ১১ জুন একটি বিশেষ ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফেরেন অ্যান্ড্রু কিশোর। এরপর তিনি রাজশাহীতে বসবাস করছেন।
অ্যান্ড্রু কিশোর বাংলাদেশে ‘প্লেব্যাক সম্রাট’ নামে পরিচিত। কয়েক হাজার সিনেমার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে— জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প, হায়রে মানুষ রঙের ফানুস, ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে, আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি, আমার বুকের মধ্যে খানে, আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান, ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা, সবাই তো ভালোবাসা চায় প্রভৃতি।
এ শিল্পী ১৯৫৫ সালের ৪ নভেম্বর রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগে পড়াশোনা করেছেন। আব্দুল আজিজ বাচ্চুর অধীনে প্রাথমিকভাবে সংগীত পাঠ গ্রহণ শুরু করেন অ্যান্ড্রু কিশোর। মুক্তিযুদ্ধের পর নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, আধুনিক, লোক ও দেশাত্মবোধক গানে রেডিওতে তালিকাভুক্ত শিল্পী হন।
অ্যান্ড্রু কিশোরের চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৭ সালে আলম খান সুরারোপিত ‘মেইল ট্রেন’ সিনেমার ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তার কেউ’ গানটি। এরপর ‘এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী’তে কণ্ঠ দেন। এর পর বেশ কিছু গান তাকে ভীষণ পরিচিত করে তোলে। তবে তুমুল জনপ্রিয়তা পান বেলাল আহমেদের ‘নয়নের মনি’ সিনেমার গান দিয়ে। ওই সিনেমার পুরো অ্যালবামই হিট, পরে কলকাতায় রিমেকও হয়।
অ্যান্ড্রু কিশোর বড় ভালো লোক ছিল, সারেন্ডার, ক্ষতিপূরণ, পদ্মা মেঘনা যমুনা, কবুল, আজ গায়েহলুদ, সাজঘর, কি যাদু করিলা সিনেমায় কণ্ঠ দিয়ে মোট আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। এ ছাড়া বাচসাস, মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারসহ অনেক স্বীকৃতি পেয়েছেন।
আরও পড়ুন
বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
- নিউ জার্সির চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রীমঙ্গলের ২ নির্মাতার ৬টি চলচ্চিত্র
- ‘হাওয়া’ দেখতে দর্শকদের ভিড়, খোদ নায়িকা সিঁড়িতে বসে দেখলেন সিনেমা
- লুঙ্গি পরায় দেওয়া হয়নি সিনেপ্লেক্সের টিকেট, সেই বৃদ্ধকে খুঁজছেন নায়ক-নায়িকা
- সেরা পাঁচ হরর মুভি
- বিয়ে করেছেন মারজুক রাসেল!
- শোকের মাসে শ্রীমঙ্গলের স্কুলগুলোতে প্রদর্শিত হলো ‘মুজিব আমার পিতা’
- শাকিবের সঙ্গে বিয়ে-বাচ্চা তাড়াতাড়ি না হলেই ভাল হত: অপু বিশ্বাস
- গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃত্যুতে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর শোক
- নারী বিদ্বেষীদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নতুন যাত্রা শুরু : জয়া আহসান
- প্রিন্স মামুন এবং লায়লার বিচ্ছেদ
সর্বশেষ