Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শুক্রবার   ০১ আগস্ট ২০২৫,   শ্রাবণ ১৭ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:৩২, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০
আপডেট: ১৩:৫৫, ২৫ ডিসেম্বর ২০২০

৫৬ বছরে পা রাখল ‘বিটিভি’

বিটিভি এখন পৌঁছে গেছে বিশ্বব্যাপী

বিটিভি এখন পৌঁছে গেছে বিশ্বব্যাপী

১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর ঢাকার ডি.আই.টি ভবনের (বর্তমান রাজউক ভবন) ছোট স্টুডিওতে ফেরদৌসী রহমানের গাওয়া গান দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল দেশের সরকারি গণমাধ্যম বাংলাদেশ টেলিভিশন। তারপর কেটে গেছে ৫৫ টি বছর। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিটিভি এখন পৌঁছে গেছে বিশ্বব্যাপী।

দর্শকের কাছে পৌঁছতে যুগোপযোগী পরিবর্তনের অঙ্গীকার আর প্রত্যয়ের মধ্য দিয়ে আজ শুক্রবার ৫৬ বছরে পা রাখছে বাংলাদেশ টেলিভিশন। 

১৯৬৪ সালে পাকিস্তান টেলিভিশন করপোরেশন নামে সম্প্রচার শুরু করে বিটিভি। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর এর নাম বদলে হয় বাংলাদেশ টেলিভিশন। ১৯৭৩ সালে করপোরেশন থেকে অধিদপ্তরে পরিবর্তিত হয়। ১৯৭৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ডিআইটি ভবন থেকে রামপুরায় নিজস্ব ভবনে স্থানান্তরিত হয় বিটিভি।

১৯৬৪ সালে যাত্রার দিন থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত বিটিভির পর্দা ছিল ধ্রুপদি সাদাকালো ধারায়। ওই বছর ২৫ ডিসেম্বর থেকে বিটিভিতে রঙিন অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু হওয়ার মধ্য দিয়ে নতুন যুগের সূচনা হয়। 

২০০৩ সালে এসে ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রামে পৃথক স্টেশনসহ দেশজুড়ে ১৪টি রিলে স্টেশনের মাধ্যমে ৫৬ হাজার বর্গমাইলের ৯৩ শতাংশ এলাকায় পৌঁছে যায় বিটিভির অনুষ্ঠানমালা। শুরু থেকেই বিটিভি টেরিস্ট্রিয়াল বা ভূ-কেন্দ্রিক সম্প্রচার করে।

২০০৪ সালের ১১ এপ্রিল থেকে স্যাটেলাইট সম্প্রচারে যাত্রা শুরু করে বিটিভি ওয়ার্ল্ড। পাশাপাশি টেরিস্ট্রিয়াল সম্প্রচার কেবল নেটওয়ার্কেও যুক্ত হয়।

বর্তমানে একই সঙ্গে স্যাটেলাইট ও টেরিস্ট্রিয়াল সম্প্রচারে থাকা দেশের একমাত্র টেলিভিশন চ্যানেল বিটিভি। এক সময় মাত্র ছয় ঘণ্টার অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা বিটিভি বর্তমানে ১৭ ঘণ্টার টেরিস্ট্রিয়াল সম্প্রচার এবং ২৪ ঘণ্টা স্যাটেলাইট সম্প্রচারে থাকছে। 

আশির দশকে বিটিভির ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ও নাটক ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান 'যদি কিছু মনে না করেন', 'কথার কথা', 'ইত্যাদি' প্রভৃতি ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পায়। পাশাপাশি 'কোথাও কেউ নেই', 'ঢাকায় থাকি', 'বহুব্রীহি, 'এইসব দিনরাত্রি', 'প্রতিশ্রুতি'র মতো মানসম্পন্ন এবং তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক প্রচারিত হয় বিটিভিতে।

বিশেষ অনুষ্ঠান 'আনন্দ মেলা' ছিল ঈদের বড় আকর্ষণ। এক সময় বিটিভির সাপ্তাহিক নাটক দেশের মানুষের কাছে সপ্তাহের সেরা বিনোদন হিসেবে বিবেচিত হতো।

বর্তমানে শুধু বাংলাদেশ নয়। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে বিটিভির সম্প্রচার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যৌথ উদ্যোগে এখন ভারতেও প্রচার হয় বিটিভির অনুষ্ঠান।

২০১৪ সালে বিশ্বের প্রথম বাংলা টেলিভিশন হিসেবে অর্ধশত বছর পূর্ণ করে বিটিভি। শুধু তাই নয়, এই উপমহাদেশের প্রথম বাংলা টেলিভিশন চ্যানেলের যাত্রা শুরু হয় বিটিভির মাধ্যমেই।

আইনিউজ/এসডিপি

Green Tea
বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ